আদিল মাহমুদ মুভিটি দেখিনি তবে অনেকের কথা শুনে মোটামুটি ধারনা হয়েছে জিনিসটি কী। যে মুভির তারকাগনকে ধোঁকা দিয়ে একটিং করিয়ে মুখের কথা ডাব করে পরিবর্তন করা হয় সেটার পেছনে ধর্ম সংস্কার জাতীয় মহত কোন উদ্দেশ্য আছে মানা যায় না।
সত্য কথা প্রকাশ করতেও রুচির ব্যাপার আসে, আসে ফেয়ারনেসের প্রতি শ্রদ্ধা। সত্য কথা হলেও সেটা কুরুচিপূর্ন ভাবে বা ভাওতাবাজি করে প্রকাশ করলে সত্য প্রকাশ থেকে পেছনের উদ্দেশ্য বড় আলোচনার জন্ম দেয়। নবী মোহাম্মদের চরিত্র নিরপেক্ষ চোখে ইতিহাস ও নানান ইসলামী সূত্র পাঠ করলে এক একজনের কাছে এক একভাবে ফুটবে, সেটাই স্বাভাবিক। সেটা প্রকাশ করার অধিকার তার আছে। তেমনি যে সেই মূল্যায়নে একমত নয় সেটাও তার প্রকাশ করার স্বাধীনতা আছে। দুই পক্ষেরই উচিত রুচি, ফেয়ারনেস এসবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। এখানে কোন পক্ষই সেটা রাখেনি। তবে ক্ষতির দিক চিন্তা করলে ক্ষতি হচ্ছে চরম প্রতিক্রিয়া দেখানো দেশগুলিরই। দাংগা হাংগামা, নিজেদের সম্পদ ধ্বংস এসব ছাড়াও আমেরিকা ইতোমধ্যেই লিবিয়া, মিশর, পাকিস্তানে অর্থ সাহায্য বন্ধ ঘোষনা করেছে।
তবে ইসলামে বিশ্বাসীদের এটা পারলে নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করা উচিত তারা বা তাদের ধর্ম অপর ধর্মবিশ্বাসের প্রতি কতটুকু শ্রদ্ধাশীল, অপরের শ্রদ্ধা পেতে অপরকেও শ্রদ্ধা করতে হয়। অমূকের বিশ্বাস বাতিল, অমুকের মুশরিক তার পরকালে ভয়াবহ শাস্তি, তমূকের পবিত্র গ্রন্থ বিকৃত, কেউ অভিশপ্ত জাতি এসব প্রচার করে যাবেন আর অন্যরা নীরবে হজম করবে এটা আশা করা ঠিক না। অপরের ধর্মবিশ্বাস বাতিল বিকৃত ঘোষনা করা নিজেদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় পড়লে নিজেদের বিশ্বাসের নবী নিয়ে মশকরা ফাজলামি অপরের স্বাধীনতাতে কেন পড়তে পারে না তার গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দরকার।