ঠুনকো ঠাঁটবাট বা তথাকথিত সামাজিক সম্মান বজায় রাখাই অপচয় প্রবণতার কারণ। অনেক ক্ষেত্রে বুঝতেও পারি না যে, আমরা অপচয়ে লিপ্ত। অথচ পৃথিবীর ইতিহাসে সে জাতিরাই সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছে যারা হিসেবি, সংযমী ও অপচয়কে প্রশ্রয় দেয় না। আর যারা তা করতে পারে না, তারাই নিয়ন্ত্রিত পদদলিত শোষিত হয় অন্যের দ্বারা। তিনি বলেন, ইদানিং আমাদের সমাজে মোবাইল প্রবণতা এই অপচয়ের একটা উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। প্রয়োজনের চেয়ে অহেতুক গাল-গল্প এবং সময় নষ্টের জন্যে আমরা প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করি এই মোবাইল ফোনের পেছনে। এর সবচেয়ে করুণ শিকার ছাত্র-ছাত্রী এবং তরুণ- তরুণীরা। জাঁকজমক দেখাবার জন্যে ব্র্যান্ড পোশাক এবং ফাস্টফুড ও প্যাকেটজাত খাবারেও প্রচুর অপচয় করি আমরা। অথচ অর্থনাশ এবং স্বাস্থ্যহানি ছাড়া ওতে আর কোনো লাভ হয় না। আর অপচয়ের সবচেয়ে প্রচলিত প্রবণতা হলো সামাজিক অনুষ্ঠানের নামে বিলাসবহুল সব আয়োজন এবং তাতে নিমন্ত্রিত অতিথিদের দামী গিফট প্রদানে এক ধরনের বাধ্যতা। একটি সুস্থ, পরিকল্পিত এবং সমৃদ্ধ ব্যক্তি ও জাতীয় জীবন গড়তে হলে অবিলম্বে আমাদের এসব সামাজিক ব্যাধি ও ক্ষতিকর প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কৃতজ্ঞতায়ঃ
http://www.quanfey.org/
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১:১৮