মায়ের গর্ভ থেকেই এবার হাতে হাত
ধরেই পৃথিবীতে এলো দুই যমজ বোন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও
অঙ্গরাজ্যের
একটি হাসপাতালে হাতে হাত ধরে ওই দুই
যমজ বোন জন্ম নেয়। জানা যায়, গত শুক্রবার ওহিওর
অ্যাকর্নের জেনারেল মেডিকেল
সেন্টারে সারাহ দিসটিলেথওয়াইট
নামে এক মা যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম
দেন। জিলিয়ান ও জিনা নামে ওই দুই যমজ
একই ডিম্বাসয় ও গর্ভফুলে জন্ম নেয়।
যা প্রজনন বিদ্যায় একটি বিরল ঘটনা।
চিকিৎসকরা একে বলে থাকেন
‘মনোঅ্যামিনোটিক বার্থ’। যা শিশু জন্ম
সংক্রান্ত ঘটনার প্রতি ১০ হাজার
বারের মধ্যে এক বার ঘটে থাকে।
হাত ধরে পৃথিবীতে আসা জিলিয়ান ও
জিনা বর্তমানে সুস্থ আছে।
চিকিৎসকরা তাদের হাত
ছাড়িয়ে উভয়কেই মায়ের
কোলে তুলে দিয়েছেন। তাদের মা সারাহ
জানিয়েছেন, দুই বোনের মধ্যে বন্ধুত্ব এখনও অটুট আছে।
তারা এখনই একে অপরের
সেরা বন্ধু।
০২।
অবিশ্বাস্য সমুদ্রের নিচের নদী!!!
আচ্ছা নদী চিনেন?
কি পাগলের মত প্রশ্ন
করছি নদী মাতৃক
বাংলাদেশে নদী চেনে না এমন কেউ
কি আছে? মনে হয় নেই।
নদী বলতে আমরা যা বুঝি তা হল,
ভূমি চিড়ে বয়ে চলা মিষ্টি পানির ধারা যার উৎপত্তি কোন এক হিমালয়ের
বরফ গলা পানির ধারা থেকে আর যা শেষ
হয়েছে নোনা পানির সমুদ্রের
সাথে মিলিত হয়ে।
কিন্তু আজ আপনাদের এমন এক নদীর
সাথে পরিচয় করিয়ে দিব
যে নদীকে দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সমুদ্রের
নিচে। আর এই নদীর উপর
দিয়ে বয়ে চলেছে নোনা পানির সমুদ্র।
কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাহলে চলুন এবার জেনে নেই
এই অবিশ্বাস্য সমুদ্রের নিচের
নদী সম্পর্কে। এই নদীর আবাস স্থান মেক্সিকোতে।
ফটোগ্রাফার "এনাটলি বেলাশিন" (Anatoly
Beloshchin) প্রথম এই নদীর ছবি তোলেন। এই
নদী মেক্সিকোর Cenote Angelita তে,
যা মেক্সিকোর পূর্ব সমুদ্র সৈকত Yucatan
Peninsula তে অবস্থিত।
এখন আরেকটু মজার তথ্য দেই।
আচ্ছা আপনার কি মনে হয়
সত্যি সত্যি এরকম নোনা পানির সমুদ্রের
নিচে কোন নদী আছে?
নাকি এটা অন্য কোন
কিছু? আচ্ছা তাহলে খুলে বলি এই নদীর
আসল রহস্য।
পানির নিচে যে নদীর
ছবি এনাটলি বেলাশিন তুলে এনেছেন
তা আসলে খুবই নিখুত চোখের ভুল। এখন একটু
বিস্তারিত বলি তাহলে আপনাদের
বুঝতে সুবিধা হবে। আমি আগেই বলেছি প্রতিটি নদীর শেষ হয়
সমুদ্রের সাথে মিলে। আর নদীর
মিষ্টি পানি আর নোনা পানি কিন্তু কোন
না কোন এক জায়গায় মিলে যায়। ঠিক
এরকম একটা জায়গায় এই নদীর অবস্থান।
মানে যেখানে সমুদ্রের নোনা পানির সাথে নদী দিয়ে বয়ে আসা মিষ্টি পানির
মিলন ঘটেছে। আর এইখানেই ৩০ মিটার
পানির গভীরে লুকিয়ে আছে একটা রহস্য।
আর তা হল এখানে পাওয়া যায়
হাইড্রোজেন সালফাইড।
আর এই
হাইড্রোজেন সালফাইডের সাথে পানির রাসায়নিক ক্রিয়ার কারনে তৈরি হয়
কুয়াশা। যা এমন একটা পরিবেশ
সৃষ্টি করে মনে হয় যেন পানির নিচ
থেকে বয়ে চলেছে অন্য আরেক কোন
জলাশয়।
আর মিষ্টি পানির রহস্য
হচ্ছে নিচের পাথরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা নদীর পানির ক্ষর
স্রোতার কারনে বেশ
কিছুটা এলাকা জুড়ে এই নোনা পানি আর
মিষ্টি পানির মধ্যে পার্থক্য
থাকে কিন্তু অবশেষে এই
মিষ্টি পানি পরিনত হয় সমুদ্রের নোনা পানিতে।
০৩।
চীনাদের নকল শহর !
বিশ্বে চীনাদের একটি খ্যাতি আছে যে, তারা যে কোন জিনিস সুনিপূনভাবে নকল করতে পারে। বর্তমান বাজারে মোবাইল, কম্পিউটার, ঘড়ি, গাড়ী থেকে শুরু করে যে কোন জিনিস চীনারা অত্যন্ত সূচারুভাবে নকল করে থাকে। বাজারে নতুন কোন পণ্য আসলে হয়, অমনি সেটি চীনাদের নকলবাজির খপ্পরে পড়ে যায়। নকল করার এই প্রতিযোগীতায় এবার যেন তারা নিজেরাই নিজেদের হার মানিয়ে দিয়েছে। কম্পিউটার, ঘড়ি গাড়ী থেকে এবার তারা আস্ত দুটি শহর নকল করে ফেলেছে।
চীনের সাংহাই শহর থেকে মাত্র এক ঘন্টা পথ গেলেই দেখা যাবে বার, রেস্তোরা, আলিসান শপিং মল ঘেরা সেই শহর। চমৎকার নির্মাণশৈলীর সারি সারি বাড়ি চোখে পড়ার মতো। পাশ্চাত্য ধাচেঁর সেই সব বাড়ী দেখে কৌতুহলী ব্যক্তি মাত্রই হোচট খাবেন। চমকের এখানেই শেষ নয়, বৃটিশ রাজনীতিক উইনষ্টন চার্চিলের ব্রোঞ্জের মূর্তি দেখে খনিকের জন্য হলেও বিভ্রান্ত হতে পারেন - একি ভুল করে কোন ব্রিটেনের শহরে এসে পড়লাম নাকি!
ধাঁধার মতো মনে হলেও এমনই কাজ বাস্তবে সম্পন্ন করেছে চীনারা। ব্রিটেনের ঐতিহাসিক লিম রেজিস ও বাথ শহর দুটো নকল করে চীনারা যে শহরটি নির্মাণ করেছে তার নাম টেমস। শহরটি ঘুরে মনে হবে বৃটেনের শহর দুটিকে যাদু বলে তুলে আনা হয়েছে সূদুর চীনে। চীনের পাঁচটি রিয়েল এষ্টেট ডেভেলপারসের অদম্য পরিশ্রমে তৈরি করা হয়েছে টেমস শহরটি। যার নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৬৩ কোটি মার্কিন ডলার। গোটা শহরে ১০ হাজার লোকের বসবাসের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
এই শহরে ভিক্টোরীয় যুগের ব্রিটেনের শান-শওকত, মনোরম স্থাপত্যকলা ও নিদর্শন চোখে পড়ার মতো। ব্রিটেনের লিম রেজিস ও বাথ শহর দুটি ঠিক যেভাবে, যে নকশা ও সৌন্দর্যে গঠিত টেমস শহরটি ঠিক সেই নকশা ও সৌন্দর্যে তৈরি করা হয়েছে। শহরের সকল ঘর-বাড়ী, রাস্তা-ঘাট, শপিং মল এমনকি তাদের ডিজাইন ও রং সমূহ নকল করা হয়েছে। মোট কথা বৃটেনের শহর দুটোর রেপ্লিকা তৈরি করা হয়েছে চীনে। টেমস শহরটি কেমন অবিকল নকল করা হয়েছে ছোট্ট একটা উদাহরন দ্বারা সেটা বুঝা যাবে। ব্রিটেনের লিম রেজিস শহরে কোব নামে একটি দোকান আছে। যার মালিক গেইল ক্যাডি। টেমস শহরে ঠিক এই দোকানের অনুকরণেও তৈরি করা হয়েছে কোব নামক আরেকটি দোকান। এখানেই নকলবাজী শেষ নয়। গেইল ক্যাডির দোকানের দরজা থেকে শুরু করে ভিতরে সাজসজ্জা, মাছ রাখার পাত্র, তাকিয়া সহ আস্ত দোকানটিই নকল করা হয়েছে।
বর্তমানে মানুষ এই শহরে বসবাস করা ছাড়াও অন্যান্য শহর হতে এই শহরে ঘুরতে আসে চীনাদের নকলের চমৎকারিত্ব দেখার জন্য। চীনাদের এই শহর নকল করার কৃতিত্বটা মোটেও পছন্দ হয়নি ব্রিটিশদের। হবেও বা কেন? কারন, ব্রিটিশদের সৌন্দর্য দেখতে তো এখন আর ব্রিটেনে যেতে হবে না চীনে গেলেই যথেষ্ঠ। তবে চীনারা তাদের কর্মকান্ডে দারূন খুশি। নকলবাজির দৃষ্টান্তকে তারা বেমালুম চেপে গেছে। তাদের দাবী এখানে কিছুই নকল করা হয়নি বরং সবই ভুল বোঝাবুঝি। নকল হোক আর যাই হোক টেমস শহরকে নিয়ে চীনারা এখন দারুন গর্বিত।
০৪।
০৫।
০৬।
০৭।
০৮।
০৯।
১০।
'amazon water lily' এর পাতার ব্যাস প্রায় ৩মিটার পর্যন্ত হয়। এতো বিশাল আকারের কারনে এর পাতা নিজের উপরে প্রায় ৭০ পাউন্ড ওজন সহ্য করে ভেসে থাকতে পারে
১১।
১২।
১৩।
১৪।
১৫।
[img|http://cms.somewhereinblog.net/ciu/image/188984/small/?token_id=a3d82aecba9b9f5043257fe57458bc1e
১৬।
১৭।
১৮
বিড়াল এবং বিড়ালের মালিক দুই জনই 'Multi-Colored Heterochromic Eye' এর অধিকারী