০] ট্রানজিটের নামে তিতাসের মাঝখানে বাঁধ-রাস্তা তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল দেশবাসীর মধ্যে, আমার মধ্যেও [১]। এ ক্ষোভ-বেদনা কেবল দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। দেশ ছাড়িয়ে প্রবাসেও ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার-হাজার মাইল দূরে থেকেও এই সব প্রবাসী মানুষদের মমতা দেখে বুকের ভেতর থেকে এক অজানা কষ্ট পাক খেয়ে উঠে!
পরের লেখায় আমি আরও বলেছিলাম, [২] যে খোঁজ রাখা প্রয়োজন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জিনিসপত্র কবে নেওয়া শেষ হবে? কারণ বছরের-পর-বছর লাগিয়ে দিলে তো সমস্যা! নেওয়া শেষ হলে এবং সব ঠিক থাকলে তখন এই বাঁধ-সড়কের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। যদি না..., যদি না আমাদের দেশের কোনো মাথামোটা আবারও নতুন করে জানালায় মাথা আটকে ফেলেন!
আজকের প্রথম আলো থেকে জানা যাচ্ছে [২], "...ভারী সব যন্ত্রপাতি ত্রিপুরায় চলে গেছে...১৭টি বৃহৎ কনটেইনার রয়েছে ..."।
অর্থাৎ এখনও নেওয়ার বাকী আছে ১৭টি বৃহৎ কনটেইনার।
ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু ভারতীয় পরিবহন সংস্থা এবিসি-এর প্রতিনিধি জনাব ফারুকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। মূলত তিনিই এর দায়িত্বে আছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন ইতিমধ্যে পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমস্ত যন্ত্রপাতি নেয়া শেষ হয়েছে। মোদ্দা কথা, বিদ্যুৎকেন্দ্র সংক্রান্ত নেওয়ার মত কিছুই আর অবশিষ্ট নাই।
আরও জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী হাতে অনেকটা সময় থাকলেও যেহেতু বিষয়টা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ আছে তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে তাঁরা অচিরেই এই বাঁধ-রাস্তা অপসারণ শুরু করবেন।
এবং এটা এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু করা হবে।
তাঁর কথামতে, আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত এমন ১৫টি প্রতিবন্ধকতা আছে। একে একে সবগুলোই অপসারণ করা হবে। যেহেতু এই বিষয়টা নিয়ে আমাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ-বেদনা-অবিশ্বাস কাজ করছে তাই আমি তাঁকে অনুরোধ করেছি কোড্ডা সেতুটাই (যেটার ছবি আমরা অনেকেই ব্যবহার করেছি) প্রথমে অপসারণ করার জন্য। যাতে করে আমাদের মধ্যে ক্ষোভের বাষ্পটা কমে আসে।
প্রথমে তিনি আমার এই আবদারে বিরক্ত হয়েছিলেন। তাঁর বিরক্তি আমি বুঝি, নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো শেষ বা প্রথম প্রতিবন্ধকতা থেকে অপসারন শুরু করার কথা। কিন্তু দীর্ঘসময় তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন এমনটাই হবে। তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
আমার প্রবল আশা, সব ঠিকঠাক থাকলে অচিরেই (সম্ভবত সব মিলিয়ে ১৫ দিন লাগবে) আমরা তিতাসকে দেখব সেই অগের মত।
সেই মেয়েটার মত যাকে ঈশ্বর গড়েছেন যত্ম নিয়ে। সেই মেয়েটা যে এটা ফেলে সেটা ফেলে! যে হাঁটলে নুপুরের শব্দ হয় না এ সত্য কিন্তু এক পা ফেললেই কলক্কল, কলকল-ছলছল করে জল বয়ে যায়!
মূল পোস্ট :> Click This Link