শনিবার উত্তেজিত এলাকাবাসী খৃষ্টান মিশনারীর কর্মকর্তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।
উপজেলার পঞ্চকোশী ইউনিয়নের মাটিকোড়া গ্রামের ২০ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ অন্তর্ধান হয়ে বাড়ী ফেরার ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নগদ অর্থ, বাড়ী, গাড়ীর লোভ দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি গ্রুপ গ্রামের সহজ সরল নারী ও পুরুষদের খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করাতে উৎসাহিত করছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চকোশী ইউনিয়নের মাটিকোড়া গ্রামের প্রভাবশালী আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ নগদ অর্থ, বাড়ী ও গাড়ীর লোভ দেখিয়ে গত বুধবার গ্রামের ২০ জন নারী ও ৫ জন পুরুষকে একটি রিজার্ভ বাসে করে ঢাকায় খৃষ্টান মিশনারীতে নিয়ে যায়। শুক্রবার তারা একযোগে গ্রামে ফিরে আসে। তারা ঢাকায় যাবার পর থেকে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়। এর পর থেকে তাদের স্বজনরা খোঁজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে খৃস্টান হওয়ার ঘটনা সত্য বলে ধর্মান্তরিতদের স্বজনরা জানতে পারে এবং এলাকায় তা ছড়িয়ে পড়ে।
গ্রামের প্রভাবশালী আব্দুল মজিদ জনতা ব্যাংকের একজন সাবেক কর্মকর্তা। অনিয়মের কারনে চাকরীচ্যুত হবার পর তিনি এলাকায় মাতব্বরী শুরু করেন। তার মাধ্যমে ধর্ম ত্যাগ করে খৃষ্টান ধর্মে যাবার প্ররোচনা করা হয় বলে জানা গেছে। ঐ গ্রামের উত্তরপাড়া জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন পর্বত হাজীর দুই পুত্র এবং এক পুত্রবধু ৩ দিন ঢাকায় থেকে খৃষ্টান হবার শর্ত পূরন করেছেন। এর পর থেকে তাকে মোয়াজ্জিনের চাকরী থেকে বাদ দেয়া হয়। ঢাকায় অবস্থানকালে প্রত্যেককে নগদ এক হাজার টাকা করে দিয়ে তিন দিনের কর্মশালা সমাপ্ত করে। দ্বিতীয় দফা প্রশিক্ষন শেষে প্রত্যেককে নগদ দশ হাজার টাকা, বাড়ী ও গাড়ী দেয়ার কথা বলে ধর্মান্তরিত করার প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে প্রভাবশালী আব্দুল মজিদ ও তার সহযোগীরা গাঢাকা দেয়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মাটিকোড়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার ১২ নং পঞ্চকোশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জানান, গ্রামের দরিদ্র লোকদের অর্থের লোভ দেখিয়ে এ কাজ করা হচ্ছে। বিষয়টি জানার পর এলাকায় এসে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, এব্যাপারে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। যে কারনে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫২