বার বার চেষ্টা করেও প্রথম থেকে দেখতে পারছিনা। একদম প্রথম থেকে। তবু যেখান থেকে দেখলাম এটা প্রায় প্রথম থেকেই হয়তো বলা যায়। এই লেখা লেখার আগে কিছু গুগলে খোঁজ করলাম। আমার মনে হওয়ার সাথে অন্যান্যদের বক্তব্যগুলো মিলিয়ে দেখতে চাইলাম। আমি একেবারে ভুল ভাবিনি। ছবির বিষয়বস্তুর আগে এর কলাকুশলীদের একটু চিনে নিই।
Directed by- Rajkumar Hirani
Produced by Vidhu Vinod Chopra & Rajkumar Hirani
Screenplay by Abhijat Joshi & Rajkumar Hirani
Starring - Aamir Khan
- Anushka Sharma
- Sushant Singh Rajput
- Boman Irani
- Saurabh Shukla
- Sanjay Dutt
Narrated by Anushka Sharma
Music by Ajay Atul
- Shantanu Moitra
- Ankit Tiwari
Cinematography -C. K. Muraleedharan
Edited by Rajkumar Hirani
Production company Vinod Chopra Films & Rajkumar Hirani Films
Distributed by UTV Motion Pictures
Release dates -19 December 2014
Running time 153 minutes[1]
Country -India
Language -Hindi
Budget -INR85 crore (US$13 million)
Box office -INR607 crore (US$95 million)
রাজকুমার হিরানী এর আগে তিনটি ছবি বানিয়েছেন। মুন্নাভাই এম,বি,বি,এস (২০০৩) লাগে রাহো মুন্নাভাই (২০০৬) থ্রি ইডিয়ট (২০০৯)। পাঁচ বছর পর এসে আবার তিনি বানালেন পি কে। পি কে ছবির মূল চরিত্রে আমির একজন এলিয়ন। এই এলিয়ন পৃথিবীতে আসে একটা গবেষণার কাজে। জায়গাটা ভারতের গুজরাট। কিন্তু প্রথমেই সে পরে যায় এক চোরের খপ্পরে। চোর তার কমিউনিকেটর চুরি করে। এলিয়েন তার পিছন পিছন ধাওয়া করে একটা পুরাতন আমলের ক্যাসেট প্লেয়ার পায়। এখান থেকেই ঘটনার শুরু।
এরপর দৃশ্যপট চলে আসে বেলজিয়ামে। এখানে জাজ্ঞুর সাথে দেখা হয় ইউসুফের। তারপর ভুল বুঝাবুঝির জের ধরে ফিরে আসে ভারতে। চাকরি করা শুরু করে একটা টিভিতে। একদিন দেখা হয় জাজ্ঞুর আর পি-কের সাথে। পি কে একটা লিফলেট বিলি করছে। এই দেখে জাজ্ঞু ট্রেন থেকে নেমে পরে। কথা বলে। এরপর থেকে শুরু হয় আসল গল্প।
আসল গল্প কি? দেখ নিন। আমি বিস্তারিত বলতে চাই না। কারণ আমি মূল আনন্দটি দিতে পারবোনা। তবে এই ছবির পরিচালক নিজেই জানাচ্ছেন এটি একটি স্যাটায়ার। সমাজের ভুল ব্যবস্থা গুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া। সে যে ধর্মেরই হোক। এখানে অনেকের ধর্মিয় অনুভূতি রয়েছে। তবে একটু খোলা মন নিয়ে চিন্তা করলেই বোঝা যাবে এটা অসঙ্গতিগুলোকে কতটা নাটকীয়তার সাথে তুলে ধরেছে। পোশাকে, পরিচ্ছদে রং ব্যবহারে কারো আনন্দের তো কারো বিষাদের। একই কথার অর্থ কত মানে! কত অদ্ভুত নিয়ম এখানে। কত বিচিত্র বিধাতে খুশি করার। আর এই সব দেখতে হলেই দেখতে হবে পি, কে।
পি কে মানে কি? মাতাল? এখানে মাতাল অর্থেই এসেছে। একজন এলিয়েন যখন এখানকার সংস্কৃতি বুঝতে প্রশ্ন করছে তখন সে হয়ে যাচ্ছে মাতাল। তার প্রশ্ন গুলো অদ্ভুত লাগে সুস্থ মানুষের কাছে। কিন্তু আসলেই কি তারা সুস্থ? সবাই ধান্দা করছে। অর্থ কামাইয়ের উপায় হিসেবে যার যা ইচ্ছা করছে।
পি কের চলতে চলতে টের পায় সে জাজ্ঞুকে পছন্দ করে ফেলেছে। ঠিক তারপরই সে জানতে পারে জাজ্ঞু পছন্দ করে ইউসুফ কে। হৃদয় ভঙ্গের এই বেদনা পেতে হয়না এলিয়ানদের। কিন্তু পি কে এই বেদনা টের পায়। এটা এলিয়নকে মানবিক পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে এসেছে। আর সে রপ্ত করে এই মানবিক গুণ। তা মিথ্যে বলা। মিথ্যে বলা মাঝে মাঝে যে কতটা জরুরী হয়ে পরে বা তা দোষের পর্যায়ে পরে না অথবা প্রেমের প্রকাশ লুকাতে যে মিথ্যা তা যে সরল তাই কি দেখাতে চাইলেন পরিচালক? প্রেম একমাত্র মানবিক গুণ যা লুকাতে মিথ্যা বলতে হয় তা এলিয়ন হলেও।
আমার কাছে যে দিকটি চোখে পড়েছে তা হলো, আমির খানের অভিনয় এর স্টাইল। এটা অনেকটা চার্লি চ্যাপলিনের মতো। চার্লি চ্যাপলিন যেমন সেই সময়ের সমাজের অসঙ্গতিগুলো নির্বাক চলচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন। রাজকুমার হিরাণীও তেমনি তুলে ধরেছেন ভারতের সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি। তবে তা ধর্মীয় হয়ে গেছে। কেবল ধর্মীয় বিষয়কেই বেশি করে তুলে ধরেছে। আরো কিছু অসঙ্গতি যদি দেখানো যেতো যেগুলো ধর্মীয় নয় তবে এই যে এতো সমালোচনা হচ্ছে তা হয়তো হতো না।
এই ছবির গানগুলো হয়েছে অসাধারণ! আসুন দেখে নিই
১ চার কদম (সান আর শ্রেয়া ঘোষাল)
২ নাঙ্গা পোঙ্গা (শ্রেয়া ঘোষাল)
৩ ঠাকরি ছোকরো
৪ ভগবান কাহারে তু
৫ লাভ ইজ ওয়াস্ট অব টাইম
৬ দিল দরবাদার
ব্যস এই পর্যন্তই।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭