আমাদের তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীরা বলেন, আল্লাহর রাস্তায় গিয়ে যে কোন নেক আমল করলে ঘরে বসে আমল করার চেয়ে ৪৯ কোটি গুন সওয়াব পাওয়া যায় । এ প্রেক্ষিতে কিছু প্রশ্ন :
১। আমরা প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে যাই । শুক্রবার মাদ্রাসার ছেলেরা একদিনের জামাতে বের হয়ে থাকে । আবার ৩ দিনের বেশীর ভাগ জামাত ও ছুটির কারণে এই দিন-ই বের হয় । মাদ্রাসার ছাত্র যারা ১ দিনের জামাতে বের হয়ে জুমা আদায় করে বা যারা ৩ দিনের জামাতে গিয়ে জুমা পড়েন তারা কি মহল্লায় বা মাদ্রাসায় জুমা পড়ার তুলনায় ৪৯ কোটি গুন সোয়াব পান ? অথবা তিন -দিন / চিল্লার জামাতে নুসরতে গিয়ে জুমা পড়লেও কি মহল্লার জুমা থেকে ৪৯ কোটি গুন সোয়াব পাওয়া যাবে ?
২। প্রতি বছর অনেক হাজী সাহেবরা হজে যান । তাবলীগী ভাইয়াও অনেকে জামাত বন্দী হয়ে ২ মাসে জন্য হজের মেহনতের জন্য হজে যান । যারা তাবলীগী জামাতের সাথে হজে যান, তারা কি অন্যদের তুলনায় ৪৯ কোটি হজের সোয়াব পান ?
৩। বৃহস্পতিবার কাকরাইল মসজিদ বা অন্যান্য শবগুজারীর পয়েন্টগুলোতে বয়ান শুনার জন্য গিয়ে এশা বা মাগরিব নামাজ পড়লে মহল্লার মসজিদে নামাজ আদায় করার তুলনায় ৪৯ কোটি গুন সওয়াব হবে ? ঢাকা শহরে বেশ কয়েকটি শবগুজারীর পয়েন্ট আছে , যেগুলো আবার অনেক সাথীদের মহল্লার মসজিদ । ঐ মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করার ফজীলত কেমন হবে ?
৪। কোন সাথী ভাই যদি আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে জাকাত আদায় করেন তবে কি ঘরে বসে জাকাত আদায় করার তুলনায় সাত লক্ষ বা উনপঞ্চাশ কোটি গুন সোয়াব পাওয়া যাবে ?
৫। পার্শবর্তী মহল্লায় দ্বিতীয় গাস্তে গিয়ে আছর- মাগরিব - এশা নামাজ আদায় করলে কি মহল্লার নামাজের তুলনায় ৪৯ কোটি গুন সওয়াব পাওয়া যাবে ? মোকামী গাস্তের দিন গাস্তের উদ্দেশ্যে মসজিদে গিয়ে আছর-মাগরিব নামাজ পড়লে অন্যান্য দিনের নামাজের তুলনায় ৪৯ কোটি গুন সওয়াব হবে ?
তাবলীগ জামাতে
৪৯ কোটি ফজীলতের কথা শুনে, আমার মনে কয়েকটি এশকাল ( প্রশ্ন ) তৈরী হয়েছে । কারো জানা থাকলে উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন ।
আগেও এ বিষয়ে বিভিন্ন হুজুরদের কাছে জানতে চেয়েছি , ভাল কোন জবাব পাই নি ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪