ভোর ৬টা ২৬ মিনিটে এভারেষ্ট সামিট থেকে ছবিটি তোলার দাবী ওয়াসফিয়ার ওয়াসফিয়ার আরেকটি ছবিতে দেখা যায় সূর্য অনেকটা উপরে । দুটো ছবিতেই "লো-সে"-" নুপ -সে" ওয়ালটা দেখা যাচ্ছে । একটা আলোকিত , আরেকটা ছায়ায় ঢাকা ।
সূর্যের অবস্হান এতটুকু ভিন্ন হওয়াতেও কোন সমস্যা নেই , যদি তিনি সামিটে বেশ অনেকটা সময় অবস্হান করেন।তবে সমস্যাটার শুরু এখানেই "চুড়ায় বেশ অনেকটা সময় অবস্হান" করা নিয়ে । সাধারণত ডেথ যোনের এতটা উপরে ক্লাইম্বাররা বেশী সময় থাকেন না । কিংবদন্তীর পর্বতারোহী রেইনহোল্ড মেসনার তার জগদ্বিখ্যাত বইঅল ফরটিন এইট থাউজেন্ডারস এ লিখেছেন তিনি দ্রুত এভারেষ্ট চুড়া থেকে নেমে আসেন । ইন টু থিন এয়ার বই তে জন ক্র্যাকার -ও বলেছেন বেশ তাড়াতারি-ই তিনি এভারেষ্ট চুড়া থেকে নেমে আসেন । ক্রেকার বা মেসনার কেউ-ই চুড়ায় খুব ভাল অবস্হায় ছিলেন না, খুব ভাল বোধ করছিলেন না । তাই তাড়াতাড়ি নেমে আসাটাই ছিল তাদের আরোধ্য ।
তবে এভারেষ্ট চুড়ায় ডেথ যোনেরও প্রায় তিন হাজার ফুট উপরে আপনি যদি খুব ভাল অনুভব করেন তবে সেখানে ঘন্টা পার করে দিয়ে থাকতে পারেন । সেটা সম্ভব । তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে বিরল শারিরিক ক্ষমতার অধিকারী পরবতারোহী বলতেই হবে । ওয়াসফিয়া নাজরীন , যিনি বাংলার গর্ব তার জন্য এটা অবশ্য একদম নতুন বিষয় না । এভারেষ্ট সামিটেও দেখা গেছে তিনি উৎফুল্ল এবং হাসছেন
বিবিসির একটা সক্ষাৎকারে দেখা যায়, সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী বলছেন :" এন্ড ইউ আর স্মাইলিং দেয়ার " । বিষয়টা বিবিসির কর্মকর্তাকে অবিভুত করেছে , আমরাও অভিভুত !
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০২