একজন ‘সচেতন মিথ্যুক’ (conscious liar). নামে অভিহিত করে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে লিখলেন মাহমুদ : http://www.cadetcollegeblog.com/mahmudh/8159
" ইউনুস স্যার ১৯৭৬ সাল থেকে গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে লেগে আছেন। চট্টগ্রামের জোবরা গ্রাম থেকে শুরু, তারপর পর্যায়ক্রমে টাঙ্গাইলের একটা থানা, তারপর পুরো জেলা, সেখান থেকে সারা দেশ এবং সম্প্রতি সারা বিশ্বে (আমেরিকাতেও!) তার এই ক্ষুদ্রঋণ ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি কি জানেন না এটা গ্রহীতার কি কি উপকার+অপকার করে? তিনি সব সময় শুধু উপকারের কথাই শুধু বলেন কেনো? ঋণ-পরিশোধের সামষ্টীক+কোয়ান্টিটেটিভ তথ্য সংগ্রহ করেন, কিন্তু ঋণ-গ্রহীতাদের লাভক্ষতির পরিমাণ দেখাতে গিয়ে তিনি কেনো সামষ্টীক+কোয়ান্টিটেটিভ তথ্য না দিয়ে কেবল কিছু ব্যক্তিগত সাফল্যের কাহিনী শোনান? ঋণ-গ্রহীতা কোন একটি গ্রুপের ৬/৭ জনের মধ্যে একজন সুফিয়া, বা জরিনা, বা নূরজাহান সফল মানেই কি গ্রুপের বাকি সবাই সফল? বাকিদের খবর কি তিনি জানেন না? তিনি সব যায়গায় বক্তৃতায় বলেন যে, ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশে দরিদ্রের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই দারিদ্র্য যাদুঘরে যাচ্ছে। অথচ দেশের হতদরিদ্রের হার গত দুই বছরে প্রায় ১৫% বেড়ে গেছে (প্রথম আলো সহ অনেক পত্রিকাই এটা প্রথম পাতায় ছেপেছে)। এই সময় কি ক্ষুদ্রঋণ বন্ধ ছিলো? আর তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নেই যে, দেশে দারিদ্র্য আসলেই কমছে, সেটা কি ক্ষুদ্রঋণের জন্য? দেশে কি ক্ষুদ্রঋণ ছাড়া দরিদ্রদের জন্য সহায়ক আর কোন সরকারী/যেসরকারী/আন্তর্জাতিক প্রকল্প নেই?
"
মজার ব্যাপার সছেতন ভাবে মিথ্যা বলার ক্ষেত্রে ইউনুস সাহেবের পারদর্শীতা মাহমুদের পোষ্টের চেয়েও ভয়াবহ । মিডিয়াতে জোবরা গ্রামের সুফিয়ার কথা আসে, অথচ সেই সুফিয়াই চরম দারিদ্রে ধুকে ধুকে মৃত্যু বরণ করেছে! আর মৃত্যুর পর দাফনের টাকাও জোগাড় করতে হয়েছে চাদা তুলে, ভিক্ষা করে ! আর এর নাম সাফল্যের মডেল !
মাহমুদ আরো বলেন :
গ্রামীণ শুধু আর্থিকই উন্নয়নই না, সামাজিক উন্নয়নেরও দাবি করে। হিলারী ক্লিনটন যশোরে গ্রামীনের কার্যক্রম পরিদর্শনে গেলে তাকে যে গ্রামে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিলো, সেই গ্রাম হিলারী গ্রাম বলে পরিচিত। সেখানে দুই কন্যাশিশুকে ঘটা করে উপস্থাপন করা হয়েছিলো গ্রামীনের আর্থিক সহায়তায় বাল্যবিবাহ থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হিসেবে। প্রথম আলো সেই বালিকাদেরই একজনের ১৩ বছরে, আরেকজনের ১৪ বছরে বিয়ের সংবাদ ছেপেছে। ডঃ ইউনূস কি এসব জানেন না?
তার প্রতি আমার সব থেকে বড় অভিযোগ, তিনি প্রয়োজন মত তথ্য বিকৃত+গোপন করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর ফলাফল উপস্থাপন করেন যা একজন একাডেমিক হিসেবে প্রফেশনালিজমের মারাত্নক অবমাননা। তিনি আশা’র শফিকুর রহমান বা প্রশিকা’র কাজী ফারুক হলে এই প্রসংগ আসত না। কিন্তু তিনি আমেরিকার একটা টপ-৫০ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রীধারী। তিনি কি বোঝেন না কোন তথ্য দিয়ে কোন দাবী করা যায়? –
উপরোক্ত এইসব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আমি তাকে সচেতন মিথ্যাবাদী বলেছি। তিনি শুধরে নিলে আমিও বক্তব্য প্রত্যাহার করবো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮