নোবেল বিজয়ী ড: ইউনুস, বাংলাদেশের নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের তথা পশ্চিমা বিশ্বের গর্ব । ড: সাহেবের বাটপারীর বহু নজির থাকলেও তার কিছু কিছু চরম অমানবিক। খুবই অস্বস্তিকর আর বেদনাবহ। বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর নারী হিলারী ক্লিনটন, ইউনুস সাহেবের সমর্থক, সহযোগী। তার নামে ও সন্মানে যশোহরে করা হয়েছিল হিলারী পল্লী, দারিদ্র বিমোচনের (!) মডেল হিসেবে ।
যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের পাশে বারোবাজারের মশিয়াহাটি ঋষী পল্লীতে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য ১৯৯৫ সালের ৩ এপ্রিল সেখানে আনা হয় আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হিলারী ক্লিন্টনকে। সেজন্য রাতারাতি পল্লীটির চেহারার পরিবর্তন ঘটানো হয়। নামকরণ করা হয় হিলারী আদর্শ পল্লী। সেই আদর্শ পল্লীর জনগণ সন্তানাদি নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। ঋণের জালে আটকা পড়ে ভিটাবাড়ি বিক্রি করে অভাবের তাড়নায় এলাকা থেকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ঋণগ্রস্ত অনেকের ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অথচ ইতিপূর্বে তারা বুট পালিশ, ঝুড়ি ও কুলা তৈরী এবং কমবেশী আবাদী জমি চাষাবাদ করে সংসার নির্বাহ করতো। হিলারী পল্লীর ভক্ত দাস বলেন, ‘হিলারী ম্যাডাম এসেছিলেন, অনেক স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল আমাদের। কিন্তু বাস্তবে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি। শুধু আমি নই, ঋণ নিয়ে কারোরই ভাগ্য ফেরেনি। ১৯৯১ সাল থেকেই ঋষী পল্লীতে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণদান কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ ২৫ বছরে সেখানকার দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি;
গ্রামীণ শুধু আর্থিকই উন্নয়নই না, সামাজিক উন্নয়নেরও দাবি করে। হিলারী ক্লিনটন যশোরে গ্রামীনের কার্যক্রম পরিদর্শনে গেলে তাকে যে গ্রামে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিলো, সেই গ্রাম হিলারী গ্রাম বলে পরিচিত। সেখানে দুই কন্যাশিশুকে ঘটা করে উপস্থাপন করা হয়েছিলো গ্রামীনের আর্থিক সহায়তায় বাল্যবিবাহ থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হিসেবে। প্রথম আলো সেই বালিকাদেরই একজনের ১৩ বছরে, আরেকজনের ১৪ বছরে বিয়ের সংবাদ ছেপেছে। ডঃ ইউনূস কি এসব জানেন না?
সুত্র : http://www.cadetcollegeblog.com/mahmudh/8159
আর এখানেই ইউনুসের মর্মান্তিক প্রতারণা আর বাটপারীর নমুনা !
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪