জে এম বি, বাংলা ভাই, হিজবুত তাওহীদ - এসব জংগীদের কথা বলছি না, এদের অপতৎপরতার বাইরেও ইসলামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য 'জেহাদ' নামে একটি বস্তু আছে। আর ইসলামী আক্কীদা হচ্ছে হজ ও জেহাদ কেয়ামত পর্যন্ত বাকী থাকবে - ফাসেকের নেতৃত্বে হলেও!
বুঝে না বুঝে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কিছু তাবলীগী ভাইয়েরা জেহাদকেই অস্বীকার করে বসেন । তারা অনেকে বলে ফেলেন নফস বা প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জেহাদ বড় জেহাদ, আর তাবলীগ করলে নফসের বিরূদ্ধে জেহাদ হয় তাই এটাই আসল জেহাদ । ( অস্ত্র নিয়ে মারামারির দরকার নেই )
অস্ত্র নিয়ে মারামারির দরকার নেই - আমরাও বলি, তবে কোন মুসলিম দেশের শাসক জেহাদ ঘোষণা করতে পারে । পাড়া - মহল্লার মৌলবীদের, পাকুন্দিয়ার পীর মতিউর এমন লোকদের জেহাদ ঘোষণার সুযোগ শরীয়তে নেই। শাসক এটা পারে। অন্য কেউ না। তাই বলে শরীয়তের একটা মৌলিক নির্দেশকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।
কেউ কেউ বলেন আসল উদ্দেশ্য দাওয়াত । জেহাদ দাওয়াতের উদ্দেশ্যেই। আর আমরা যেহেতু দাওয়াতে মশগুল আছি, তাই জেহাদের কি প্রয়োজন ?
অনেকে বলেন ঈসা আ: - ইমাম মেহেদীর যুগে যে জেহাদ হবে আমরা তাতে শামিল হব ।
আবার কে্য কে্য বলেন জেহাদের প্রয়োজন হলে মুরুব্বীরাই বলবেন ।
যাই হোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কথার মার প্যাচে জেহাদকে অস্বীকার করা ইসলামী আক্কীদার পরিপন্থী । এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক ভাবে মন্তব্য করা উচিত ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩