আবু বকর রা: খলিফা হওয়ার পর কাপড়ের গাট্টি মাথায় নিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। হজরত ওমর রা: ওনাকে ঠেকান, এই বলে: ' আপনি যদি ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকেন তবে খেলাফতের কাজ চলবে কি ভাব ? ' জবাবে হজরত আবু বকর বলেন তাহলে আমার সংসার চলবে কি করে ?
যেহেতু উম্মতের মাঝে ওনার ইমানই সবচয়ে বেশী তাই বুঝা যায় ' সংসার চলবে কি করে' এটা বলাতে ইমানের ক্ষটি হয় নি।
হজরত ওমর রা: খলীফে হওয়ার পর বলেন আমার জাতি জানে আমি ব্যবসা করি, এ দিয়েই আমার সংসার চলে । তোমরা আমকে খেলাফতের কাজে নিয়োজিত করেছ, এখন আমার জীবিকার কি হবে ?
দৈনন্দিন জীবনে আমরা সাধারণ মানুষেরা এ জাতীয় কথা আমরা হর হামেশাই বলে থাকি । কোরাণ হাদীসেও এর প্রতি নিষেধ করা হয় নি ।
এসব সাধারণ কথাগুলোকে স্বাভাবিক ভাবেই নেওয়া উচিত । কিন্ত আমাদের কোন কোন মুবাল্লিগ ভাইরা এ জাতীয় কথা শুনলে বলেন, দিলের এক্কীন ঠিক হয় নি! কেউ কেউ বলেন অন্তরে আল্লাহর পাশাপাশি মাখলুকের এক্কীন আছে, সুতরাং এগুলোও এক প্রকার শিরক।
এভাবে আমরা কত স হজেই একজন মুসলমানকে শিরকের মাঝে ফেলে দিচ্ছি, অথচ এসব দৈনন্দিন স্বাভাবিক কথাকে সঠিক অর্থে নিলে বিষয়গুলো এত কঠিন না ।
মুসলমান মাত্রই তো আল্লাহ তায়ালাকে পালন কর্তা- রিজিক দাতা মনে করে । কোটি টাকা দিলেও একজন মুসলমান শিকার করবে না যে আল্লাহ ছাড়া আর কে্য রিজিকদাতা আছেন । তাই যখন কোন মুসলমান এ কথা বলবে যে ব্যবসা করেই আমার সংসার চলে, এর অর্থ হবে আল্লাহ আমাকে এর মাধ্যমেই রিজিক দিয়ে থাকেন । ( অন্য কোন ভাবেও আল্লাহ রিজিক দিতে পারেন - এটা সব মুসলমান-ই বিশ্বাস করে থাকে )
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩