অনেক সময় তাবলীগের কিছু কর্মী দাওয়াতের কাজের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করে ফেলে । দাওয়াত -তাবলীগ - জেহাদ এই সমস্ত কাজের হুকুমই শরীয়তে সাধারণ অবস্হায় ফরজে কেফায়া । তবে যেখানে সামর্থ আছে, নিজের অধিনস্তদের ক্ষেত্রে এটা ওয়াজিব বা ক্ষেত্র বিশেষে ফরজে আইন ও হয়ে যায় । তবে সেটা বিশেষ অবস্হা - সাময়িক ক্ষেত্র । সামগ্রিক অবস্হায়, সর্বক্ষেত্রে শরীয়ত এহুকুম দেয় না ।
তাবলীগী ভাইয়েরা অনেক সময় যে যুক্তি খাড়া করেন, তা হচ্ছে যেহেতু সব লোক দ্বীনের উপর আসছে না, তাই যে পরিমাণ তাবলীগ হচ্ছে তা যথেষ্ট নয় । আর তাই সবাইকেই এই কাজ করতে হবে, এবং সব লোক দ্বীনদার না হওয়া পর্যন্ত এই কাজ ফরজে কেফায়ার পর্যায়ে থাকবে না বরং ফরজে আইন এর পর্যায়ে ।
অথচ নির্ভরযোগ্য গবেষক আলেমরা বলেন দাওয়াতের কাজের ফরজ আদায় হয়ে গেছে, সারা দুনিয়ার মানুষ মোটামোটি ভাবে জেনে গেছে ইসলাম নামে একটা ধর্ম আছে, যারা এক আল্লাহর কথা বলে । আর দাওয়াত এতটুকুই ফরজ । এর পর মানা না মানা যার যার দায়িত্ব ।
কিন্তু তাবলীগী ভাইয়েরা অনেকেই মনে করেন সব লোক দ্বীনের উপর না আসা পর্যন্ত সবাইকেই পূর্ন চেষ্টা দিয়ে তাবলীগের কাজ করতে হবে । অন্যথায় 'কেফায়েত' ( যথেষ্ট ) না হওয়াতে ফরজর কেফায়া আর কেফায়া থাকবে না, বরং তা ফরজে আইন হয়ে যাবে ! এ ক্ষেত্রে অন্য সব ব্যস্ততা বাদ দিয়ে ফরজে আইন কাজ যে ভাবে যতটুকু গুরুত্ব দিয়ে, অন্য কাজ ফেলে রেখে আদায় করতে হয় , তাবলীগের কাজটাও সেভাবে করতে হবে ।
কিন্তু সমস্য হচ্ছে মুসলমানদের আরো অনেক দ্বীনি দায়িত্ব রয়েছে । শরীয়ত কর্তিক নির্ধারিত দুনিয়াবী জিম্মাদারী আছে । সবগুলোর দিকে খেয়াল রাখলে তাবলীগের কাজটাকে ফরজে কেফায়ার উপরে স্হান দেওয়া যায় না । তাই শরীয়তেও কাজটাকে ফরজে কেফায়ার স্হানেই রেখেছে - যেটা আমাদের সবারই মেনে নেওয়া দরকার । কেননা সর্ব ক্ষেত্রে শরীয়তের আনুগত্য-ই প্রকৃত দ্বীন ধর্মের পরিচয় ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১