ছেলে ভুলিয়ে কি আনা হয়েছিল তাদের ?
বেলা বরোটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত গুলি, লাশ আর হতাহতের খবর আসছিল, আহত- নিহতদের নিয়ে আসা হচ্ছিল সামনে, চারজন ছিল কাফনে মোড়া । এরপরও যারা সমাবেশে ছিল তারা কি ভুলিয়ে ভালিয়ে আনা ?
মাওলানা ফরীদ কওমী ঘরোনার হয়েও, তার আওয়ামী প্রীতি আর হেফাজত বিরোধীতার জন্য গত কয় মাসে যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছেন। হেফাঝত বিরোধী বক্তৃতা টিভি প্রোগ্রামে নিয়মিত ভাবে দিয়ে, শাহবাগ মন্চে হাজির হয়ে, ইতিমধ্যই তিনি যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছেন । তার মাদ্রাসা ইকরা। সেখান থেকেও ছেলেরা গিয়েছে লং মার্চে। ভুলিয়ে না পালিয়ে ?
মিরপুর ৬ এর মাদ্রাসা কমিটি নিয়ন্ত্রিত, আর কমিটি রাজনৈতিক প্রভাবান্বিত। শোনা যায়, ৫ই মে ছাত্রদের অবোরধে যেতে দেওয়া হবে না, তালা দিয়ে আটকে রাখা হবে । একরাত আগেই ( মে ৩) ছাত্ররা দলবেধে পালিয়ে যায় মাদ্রাসা থেকে, সকালে এসে সবাই দেখে সব ফকফকা !
চৌধুরী পাড়া মাদ্রাসার মোতাওয়াল্লী নোমান, যার হাপট দাপটে হুজুররা সব বিড়াল হয়ে থাকে। মোতাওয়াল্লী নোমান, একান্ত আওয়ামী ভক্ত । যার পর নাই নাখোশ তিনি হেফাজতী কর্মকান্ডে । শিক্ষকদের হুকুম দেন কে্য যেন অবরোধে যেতে না পারে, কাজ হয়নি ।
বাড্ডা ওভার ব্রীজের পাশের মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, একান্ত আওয়ামী প্রেমী, জেফাজতের কাজ কামে উনি ক্ষুব্ধ, বিরক্ত, উত্তেজিত । ফরীদ সাহেবের মতই সঠিক, এটাই ওনার বক্তব্য । ওনার মাদ্রাসা ব্যানার নিয়ে হাজির হয়নি হেফাজতের অনুষ্ঠানে, তবে ঠেকানো যায়নি ছাত্রদের ,উনিও পারেন নি ।
সাঈফী সাহেব টক শোতে সংগী হন ফরীদ সাহেবের । সেখানে হেফাজত বিরোধী প্রচারণা চালানো হয় । অথচ ওনার ছেলেকেই দেখা যায় ব্যানার হাতে বৃষ্টিতে ভিজছেন, যাত্রাবাড়ি । ঠেকানো যায়নি ছেলেকে ।
আর কতগুলো উদাহরণ চান, ছেলে ভুলানো তত্তবাদীরা ?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯