ইন্ডিয়ান ওপেনার শিখর ধাওয়ান টীমে চান্স পায় গত বছর । রোহিত,বিরাট কুলি,সুরেশ রায়না ২০০৭ থেকেই মোটামুটি টীম ইন্ডিয়ায় স্থায়ী। রায়না, ধাওয়ান এরা দুজনে ২০০৪ সালের আন্ডার নাইন্টিন ওয়ার্ল্ডকাপ খেলেছে।
আফতাব আহমেদের কথা মনে আছে ? বাংলাদেশের আফতাব আহমেদও ২০০৪ একই টুর্নামেন্টে খেলেছে। তখনই আফতাবের মারমুখী ব্যাটিং সবার নজরে আসে। পুরস্কার স্বরূপ জাতীয় টিমে চান্স। পরের ৩ বছরে আফতাব বাংলাদেশ জাতীয় টিমের ৮৫ ম্যাচে প্রায় স্থায়ী সদস্য, কিছু ম্যাচ জয়ী দলের সদস্য।৩-৪ নম্বরে ব্যাট করতে নামতেন, কোন সেঞ্চুরি নেই। অল্পবয়সে বিয়ে করেন,এক মেয়ের বাবাও হন। এবং দল থেকে স্থায়ীভাবে বাদ হয়ে নিজের শততম ম্যাচ খেলার আগেই!(বলা বাহুল্য তার দল থেকে বাদ পড়ার ব্যাপারে তার স্ত্রী,সন্তান দায়ী নন, আফতাব নিজেই দায়ী!)
অন্যদিকে যে সময়ে আফতাব বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে তেমন কিছুই বলার মত করছিলেন না সে সময়ে আরো অনেক ঘরোয়া ম্যাচ খেলে নিজেদের শানিত করছিলেন রোহিত,ধাওয়ানরা।
২০১২ সালের আন্ডার নাইন্টিন ওয়ার্ল্ডকাপের সর্বোচ্চ স্কোরার কে জানেন ? বাংলাদেশের আনামুল হক। এটা ২০১৪ সাল। মাত্র ১ বছর লেগেছে তার জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে। মনে প্রাণে আশা করব, আনামুলের অবস্থা আফতাবের মত যাতে না হয়। এবার ফিরে যান ২০০৪ সালে, শিখর ধাওয়ান ভারতীয় আন্ডার নাইন্টি দলে , জাতীয় দলে ২০১৩ সালে । বোঝা গেছে ব্যাপারটা ?
আমাদের জাতীয় দলে ঠাঁই করে নিতে বেগ পেতে হয় না। শুধু তাই না, পৃথিবীর সব টেস্ট প্লেয়িং দেশে জাতীয় দলে যারা চান্স পান তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে ৫০/৬০টা ফিফটি, ২০/৩০টা হানড্রেড থাকে। আমাদের আফতাবের লিস্ট এ ক্যারিয়ারের এভারেজ ২৪, ওডিয়াই এভারেজও ২৪! (অন্যদেরটা আর ঘাঁটাতে ইচ্ছা করছে না, ঘুম পাচ্ছে!)
ভাল খেলতে হলে ঘরোয়া লীগে প্রচুর রানের অভ্যাস থাকা লাগে, আর যারা সেই অভ্যাস করেন তাদেরই নেয়া লাগে। ভাল খেলোয়াড় তৈরি হয় ঘরোয়া লীগেই। তা না করে শুধুমাত্র প্রতিভা খুঁজে বেড়ালে আশরাফুল,আফতাব,রাজিন,তালহারা আসবে আবার সময়ের সাথে সাথে বিলীনও হয়ে যাবে। তা না করলে মাঝে মাঝে ১ টা জয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে আর বাকি সব ম্যাচ হেরে সান্ত্বনা খুঁজতে হবে।