ছবি্ঋণ : গুগল
বিকেলে গালফ্রেন্ডের সঙ্গে অ্যাপয়নমেন্ট। এটা প্রথম নয়, তবে ওই মেয়ের সঙ্গে প্রথম। ভেন্যু অ্যাডভেঞ্চার ওয়াল্ড। খুশিতে যেনো মামা রুবজ এ রহমানের আর তর সইছে না। একটু পর পরই সে ঘড়িতে সময় দেখছে। ঝোপঝাড় বিশিষ্ট পার্ক মামা বেশি পছন্দ করেন। কেন করেন সে জটিল ব্যাখ্যাতে নাইবা গেলাম। আর এই পার্কে গালফ্রেন্ড যেতে ইচ্ছুক হওয়ায় মামা খুশিতে গদগদ হয়ে বললেন—ভাগিনা, শাকিবখানমার্কা চুলর স্টাইল তর কাছে কিলান লাগে? আমি খানিকটা ভাব নিয়ে বললাম—বালাও লাগে। —তাইলে চল, চুল এখটুতা সাইজ খরতাম। আমি কিছু বলার আগেই আমাকে হ্যাচকা টানে ধরে নিয়ে চলল।
অদূরেই ‘শহীদ আশরাফ হেয়ার ড্রেসার’। এয়ারকন্ডিশনিং রুম। মামা সরাসরি একটি খালি চেয়ারে গিয়ে বসলেন। শহীদ আশরাফ স্টামসাইজ প্রকৃতির মানুষ। কিন্তু খুবই পরিপাটি। সে খুব বিনয়ের সঙ্গে বললেন—স্যার, কী কাটবেন? মামা ভিলেনের মতো অট্টহাসি দিয়ে বললেন—হালার গান্ডুস, আমি কাটতাম নায়, কাটাইতাম খরি আইছি। মামার এহেন আচরণে, ভাষার এরূপ প্রয়োগে শহীদ আশরাফ বোধ হয় একটু মনক্ষুণ্নই হলেন; তা সত্ত্বেও তিনি বিনয়ের সঙ্গে বললেন—স্যরি স্যার, বলুন আপনার কী কেটে দিতে হবে? দাড়ি? গোঁফ? দাড়ি-গোঁফ উভয়ই নাকি বগলের…?
বগলের কথা শুনতেই মামা নাক ছিটকিয়ে বললেন—না, না; বগল-ওগলের বা নিচেরও কোনো কিচ্চু কাটা লাগত নায়। আমার মাতার চুল শাকিবর লাখান স্টাইল খরি দিলাউক্কা। —জি আচ্ছা।
শুরু হলো চুল কাটা। একটু কাটে তো আবার গল্প জুড়ে দেয়, আবার একটু কাটে তো পুনরায় নতুন গল্প জুড়ে দেয়। ভোগান্তির যেনো শেষ নেই! ওই যে, ‘পড়েছি মোঘলের হাতে খানা খেতে হবে সাথে’—এমনই অবস্থা আরকি! যাক, শেষপর্যায়ে এসে নরসুন্দর শহীদ আশরাফ বললেন—স্যার, আমাদের কাছে বিদেশি ক্রিম আছে। আপনার মুখ ধুয়ে দিই? মুখে সেইরকম গ্লিজ আসবে! গ্লিজের কথা শুনতেই মামা রাজি হয়ে গেলেন। ফাস্ট ডেটিং বলে কথা! নরসুন্দর আবারও বললেন—স্যার, ক্লিনশেফ করলে উজ্জ্বলতা বেশি ফুটবে। হালকা করে একটু টান দিয়ে দিব কি? মামা কী বুঝে যেনো হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লেন। শুরু হয়ে গেলো নরসুন্দরের ফাঁদপাতার বহুমাত্রিক কাজ!
নরসুন্দর আবারও বললেন—স্যার, আপনার চুলের ওপরের অংশ লাল হয়ে গেছে। একটু শাইন করে দিব কি? একেবারে নায়ক শাকিবের মতো লাগবে! মামা এবারেও কি বুঝে যেনো হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লেন। নুরসুন্দর চুল শাইন করার কাজ শুরু করে দিলেন। বিদেশি ক্রিম। ওদের কাছে বিদেশি মানেই অসাধারণ! যাইহোক, কাজ শেষপর্যায়ে এলে নরসুন্দর পুনরায় বললেন—স্যার, চুল শুকাতে একটু সময় লাগবে। ততক্ষণে আপনার শরীরটা একটু ম্যাসেজ করে দিই? মামা আবারও হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়লেন। আজকে মনে হয় বিশ্ব ‘হ্যাঁ’ দিবস! মামা আবার দিবস পালনে খুবই পটু কিনা তাই!
প্রায় দুই ঘণ্টা পর নরসুন্দর বললেন—স্যার, এদিকটার কাজ ওকে। তবে শাকিবের মতো চুল করতে গেলে চুল রিবন্ডিং করতে হবে। স্যার, একটু সময় লাগবে। আপনার কোনো সমস্যা নেই তো? মামা না-সূচক মাথা নাড়ে।
নরসুন্দর শহীদ আশরাফ তার অপর পার্টনার আপন খানের দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসল। আপন খান চোখের ইশারায় বুঝালেন চালিয়ে যাও। এইরকম মুরগি কালেভদ্রে মিলে!
শহীদ আশরাফ নিরলস গতিতে কাজ করে যাচ্ছে। মাঝেমাঝে নানা প্রশ্ন করে মামাকে ব্যস্ত রাখছে। কোন স্টাইলে কেমন লাগবে তারও ব্যাখ্যা সে করতে দিতে থাকলো। চুলের রিবন্ডিং শেষ হলে নরসুন্দর বিনয়ের সঙ্গে বললেন—স্যার, চুলের রিবন্ডিং-এর কাজ শেষ। অন্যকোনো দিকে কোনো হেল্প লাগবে কি? ব্রাউন কালার করাব? কোনো ট্যাটু বা উলকি এঁকে দিব কি?
নরসুন্দরের প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর না দিয়ে মামা এবার লোকিং গ্লাসের দিকে তাকালেন। হেয়ার স্টাইলটা দেখলেন। একেবারেই নতুন স্টাইল। মন্দ লাগছে না। তবু কনফিউশন দূর করতে নির্ভরযোগ্য বিচারের জন্য তিনি একটু ম্লান হেসে আমার দিকে তাকালেন। আমি চোখের ইশারায় বললাম—খুব ভালো। মামা তখন বিল দেওয়ার জন্য এগিয়ে গেলেন। বললেন—কত দিতাম অইব? নরসুন্দর বললেন—স্যার, ৬০৫০ টাকা মাত্র! —কিতা খইলা? ৬০৫০ টেখা? টাকার কথা শুনে মামার তো চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা! তার গলা শুকিয়ে আসছে। তিনি আমতা আমতা করে বললেন—অত বিল অইলো কিলান? মামার ধারণা ছিল সর্বোচ্চ ১৫০ বা ২০০ টাকা হবে। কিলান?
নরসুন্দর বললেন—স্টাইলিশ চুল কাটা ২৫০, ক্লিন শেফ ১০০, মুখ ধোয়া মানে ফেসিয়াল ৪০০, চুল শাইন থাইল্যান্ডি প্যাক ১৮০০, শরীর ম্যাসেজ ৫০০, চুল রিবন্ডিং ৩০০০। স্যার, এই শহরে আমাদের আরও কয়েকটি ব্রাঞ্চ আছে। সেখানে এর চেয়ে একটু বেশি রেট রাখা হয়। তবে এখানে আমরা নতুন উদবোধন করেছি তো, তাই একটু কনসিডার করে রাখি। অবশ্য শাহানাজ ফেসিয়াল, এলোভেরা ফেসিয়াল, পাল ফেসিয়াল, ডায়মন্ড ফেসিয়াল, স্পা ফেসিয়াল, গোল্ড ফেসিয়াল, ব্ল্যাক মার্কস ফেসিয়াল, চুল স্টেইট, চুল রিবন্ডিং, ব্ল্যাক ব্রাউন কালার, চুল সিলভার কালার এগুলোতেও আমরা একটু বেশি সময় দিয়ে একটু যত্ন সহকারে করি তো , কাজেই এসব কাজের রেটও আমাদের কাছে একটু বেশি।
মামা সহসাই এসির মধ্যে ঘামতে শুরু করলেন। তিনি মানিব্যাগ বের করে আরেকবার ঢুক গিললেন। নরসুন্দর শহীদ আশরাফ এভাবে তাকে মুরগি বানাবে এটা তিনি ভাবতেই পারেননি!
এখন উপায় কী? ডেটিং তো দূরের কথা এখন ইজ্জত বাঁচানোই দায় হয়ে পড়েছে। মামার কাচুমাচু মুখ দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। যুবতী নারীদের নাক ঘামলে যেমন খুব মায়াময় লাগে তেমনই মামার কাচুমাচু মুখ দেখলেও আমার খুব মায়া হয়। আহারে! আমার মাতিলদা (নেকলেস গল্পের উচ্চাবিলাসি মেয়ে মাতিলদা লোইসেল; যে লোভে পড়ে তার সুন্দর যৌবন হারিয়েছিল)!
মামা ইশারায় আমাকে কাছে ডাকলেন। আমি মোবাইলে সাধারণ জ্ঞান পড়ছিলাম। মোবাইল পকেটে ভরে মামার কাছে যেতেই তিনি ফিসফিস করে বললেন—ভাগিনা, বাসা তাকি টেখা আনিয়া আমার ইজ্জতখান বাঁচা! দেখবে আমার ড্রয়ারে টেখার খাম রাখা আছে ডেটিংয়র লাগি! জলদি আইছ। দশ মিনিটে আইবি। দশ মিনিটে আসা যদিও সম্ভব নয়, তবু এই মুহূর্তে কোনোরূপ তর্কে না জড়িয়ে বললাম—জি আইচ্ছা।
আমি রিকশা নিয়ে বের হলাম। একটু দূর যেতেই দেখি তমা ইশারা করে আমাকে ডাকছে। আমি সূর্যের দিকে তাকালাম; গতিপথ ঠিক আছে কিনা তা পরখ করার জন্য। অন্যদিন যে মেয়ে আমাকে পাত্তাই দেয় না, আর আজ সে কিনা নিজেই ডাকছে! নিজের হাতে নিজেই চিমটি কাটলাম। না সবই তো ঠিক আছে। তমা আহ্লাদি স্বরে আধিকারিক কণ্ঠে বললো—এসো তো!
আমার ভেতরে তখন দক্ষিণা বাতাস হুহু করে বইতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, কলেজলাইফে সে আমার এক ইয়ার জুনিয়র। ওর পেছনে ঘুরতে ঘুরতে আমার কত জোড়া জুতা যে শেষ হয়েছে সে হিসাব করতেও এখন ক্যালকুলেটর লাগবে! তবে গত বছর থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছি। এসব মেয়ের পেছনে সময় ব্যয় না করে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।
এক সিনিয়রকে দেখেছি—ভালো ক্যারিয়ার বিল্ডআপ করার পর অনেক মেয়েরাই এখন তার পেছনে লম্বা লাইন দিচ্ছে। এ দেখে আমার ভেতরেও এক বিরাট পরিবর্তন এসেছে। বলতে গেলে কোনো মেয়ের দিকেই এখন আর তাকাই না। সাধু আরকি!
আহা! সকালে যে কার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠেছিলাম! কী লক্ষ্মী একটা দিন গো! কিন্তু পরক্ষণেই আমার ভেতরের সত্তার সঙ্গে দ্বন্ধ শুরু হলো। খানিকক্ষণ নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিলাম—যাওয়াটা ঠিক হবে কিনা। আর না গেলেই বা কী ভাববে! শালার মরতে মরতে ওর দিকেই কেন বা চোখ গেল? একটু অন্যমনস্ক হতেই সে আবার সুরেলা কণ্ঠে বললো—ভয়ের কিছু নেই। এসো তো। একেবারে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন! রিকটার স্কেলে তো ভুমিকম্প মাপে, মনের কম্পাঙ্কটাও যদি এভাবে মাপা যেত! তবে কতই না মজা হতো।
আমি আর সাতপাঁচ না ভেবে নিজেকে ভাগ্যের হাতে সঁপে দিলাম। রিকশা থেকে নেমে তমার কাছে যেতেই আচমকা সে আমার হাত ধরলো। মুহূর্তেই আমার ভেতরে বিদ্যুতের ঢেউ খেলে গেল। সে আমার চোখের দিকে তাকাল। ও চোখে কী অদ্ভুত মায়া। ডাগর কালো আঁখির ভাঁজে ভাঁজে সাজানো সুন্দর উপচে পড়ছে। মায়াময় ও চোখের দিকে তাকিয়ে কয়েক নিঃসন্দেহে কয়েক শতাব্দী পার করে দেওয়া য়ায়। স্টাইলিশ চুল! আহা! ভ্রু-যুগলের কারুকাজের কথা কী আর বলব—যেনো নিখুঁত শিল্পীকেও হার মানাবে অনায়াসে!
তমা কোনো ভণিতা না করেই বলল—আজ আমার জন্মদিন। আমাকে উইশ করবে না? —অবশ্যই করব। —তবে এসো। এই বলেই সে আমাকে একটি সরুগলির শেষমাথায় নিয়ে গেল। কী হচ্ছে সব? আমার সমস্ত শরীরে অদ্ভুত শিহরন ঢেউ খেলে যাচ্ছে। সব শিহরনই ভাষা আর শব্দের ছকে যুতসই করে প্রকাশ করা যায় না। কিছু থাকে বুঝে নেওয়ার, কিছু তাকে উপলব্ধির।
ভেতরেই ঢুকতেই দেখলাম—সে এক এলাহি কান্ড! রুমে অনেক তরুণী। কয়েকজনকে চিনলেও বেশিরভাগকেই অপরিচিত মনে হলো। আমি রুমে ঢুকতেই তারা কেমন স্তব্ধ হয়ে গেল। মনে হলো তমার এ অবিস্মরণীয় কর্মকাণ্ডে তারা মোটেও খুশি হয়নি। তমাও রুমে প্রবেশ করে রেসলিংজয়ীদের মতো হাত উচিয়ে বললো—এবার? সবাই একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলো। তমা পুনরায় বললো—কী! অনুষ্ঠান শেষ হলে সবার কাছে থেকেই বাকী হিসাব পইপই করে বুঝে নেব। আমি কিছু একটা অনুমান করলাম। যাক, এ বিষয়ে আর কথা নাইবা বাড়াই। এইবার ষোলোশত গোপীদের হাতে থেকে উদ্ধার হতে পারলেই বাঁচি!
নানান কথা, খুনসুটি, কেক কাটাসহ আপ্যায়নের পর্ব চলতে লাগলো। তমা মৃদুস্বরে গান গাইছে। তার বেসুরের গানও কেনো যেনো আজ ভালো লাগছে। ওইযে প্রবাদ আছে না—যাকে ভালোলাগে তার নাকি সবই ভালো লাগে! প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর অনুষ্ঠান শেষ হলে আমিও সেখান থেকে বিদায় নিলাম।
রাস্তায় বের হতেই মামার কথা মনে হলো! ওরে সর্বনাশ! তাড়াতাড়ি রিকশায় উঠলাম। বাসায় পৌঁছতে প্রায় বিশ মিনিট সময় লেগে গেল। টাকা নিয়ে বের হলাম। কোনো রিকশাও পাচ্ছি না। যাও পাচ্ছি তার কোনোটাই খালি নেই। হায়রে! মন্দভাগ্য হলে যা হয় আরকি! হেঁটেই রওয়ানা দিলাম। কিছুদূর যেতেই বাংলা স্যারের সঙ্গে দেখা।
স্যার খুবই বন্ধুবৎসল, আন্তরিক এবং রসিক মানুষ। সালাম দিতেই তিনি কুশলাদি জিজ্ঞেস করলেন। তারপর কী মনে করে আমাকে বললেন—এসো, তোমার সঙ্গে জরুরি কথা আছে। এই বলে একরম হাতে ধরেই তিনি আমাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলেন। কিছুই বলারই সুযোগ পেলাম না। অবশ্য আমি এখন প্রাক্তন ছাত্র। স্যার, চা পান করতে করতে আমাকে যা বললেন তা অন্যদিনের জন্য জমা রইলো। স্যারকে শুধু বললাম—আমি ওই বিষয়ে তথ্য দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। প্রায় আধা ঘণ্টা পর সেখান থেকে বের হয়ে সোজা রিকশায় উঠলাম।
রিকশা চলছে। ওমা! সামনে বিরাট জটলা। রোড ব্লক! গাড়িঘোড়া সব বন্ধ! ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট! দোষ ট্রাক ড্রাইভারের। জনগণ তাকে হাতেনাতে ধরেছে। সেকি মাইর! বাপরে বাপ! গণ মাইরের ধরনই আলাদা। যে মারতে পারলো সে তো উৎফুল্লই আর যে সশরীরে মারতে পারলো না সেও দেহমনে জোস এনে সজোরে বলতে লাগলো—মার শালারে! আরও মার!
জটলায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পুনরায় হেঁটে হেঁটে রওয়ানা দিলাম। সেই ‘শহীদ আশরাফ হেয়ার ড্রেসার’-এর সামনে পৌঁছুতেই দেখি—মামা কান ধরে উঠবস করছে! নরসুন্দর শহীদ আশরাফ, আপন খান ও তার সঙ্গীরা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সে দৃশ্যই যেনো গণনার ছলে উপভোগ করছে। …৪৯৫, ৪৯৬, ৪৯৭…! মামার গায়ের সেই সুন্দর জ্যাকেটও নেই! পরনে হাফপ্যান্ট!
অবস্থা বেগতিক দেখে আমি ঘুরে দিলাম দৌড়। আমাকে আড়চোখে দেখে মামা জোরে ডাক দিয়ে তিনিও দিলেন দৌড়। —ওই হালার ভাগিনা! ওবা। আইজ তর খবর অইব।
কথাটি শুনার পর তখন আমার দৌড় আর দেখে কে! আমরা দৌড়াচ্ছি তো দৌড়াচ্ছিই।
১০.০৯.২০২২
উপশহর, সিলেট
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০০