লোকে লোকারণ্য এজলাশ কক্ষ। এক কোণায় কাঠগড়ায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে আসামী সুশীশ্ন মন্ডল। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সরকার, দেশবাসী, মাননীয় আদালত সবাই হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন। সুশীশ্ন মন্ডল যে ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এটা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয়েছে। আদালতের মাননীয় প্রধান বিচারিক এই মুহুর্তে বিচারের রায় বিস্তারিত পড়ে শোনাচ্ছেন-
আসামীর ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে সম্ভাব্য ধর্ষণ মুহুর্তে তিনি শারীরীক ভাবে সম্পুর্ণ সুস্থ ছিলেন। তার শিরায় রক্ত প্রবাহ, রক্তে হরমোন প্রবাহ এবং হরমোনে ধর্ষচেতনা প্রবাহ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল। ধর্ষণের সব আয়োজন অত্যন্ত নিঃখুঁত ভাবে সম্পন্ন করার পর সম্পূর্ণ অবোধগম্য কারনে তিনি ধর্ষণ করা থেকে আকস্মিক ভাবে বিরত হন, যা রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগপত্রে উল্লিখিত শর্ত অবমাননা করার শামিল। আজ থেকে দুবছর আগে মৌখিক, লিখিত এবং ডাক্তারী পরীক্ষার ভিত্তিতে মাননীয় সরকার কর্তৃক তাঁকে ধর্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল- জনাব সুশীশ্ন মন্ডল যে এলাকায় ধর্ষক হিসাবে দায়ীত্ব পালন করবেন সে এলাকার কোন মেয়ের কাপড় চোপড় যদি তার দৃষ্টিতে উত্তেজক মনে হয়, কোন মেয়ের হাঁটাচলা যদি তার দৃষ্টিতে অশালীন মনে হয়, কোন মেয়ের চোখের দৃষ্টি যদি তার কাছে ‘ইশারাপূর্ণ’ মনে হয়, কোন মেয়ের হাসি যদি ‘তার বেঁধে দেয়া খিল খিল’ এর মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, এছাড়াও মেয়েটার অন্যকোন আচরণ দেখে তিনি যদি নিজস্ব বিবেচনাশক্তি প্রয়োগ করে(!) এ সিদ্ধান্তে আসতে পারে যে মেয়েটা ধর্ষণ এর উপযুক্ত তাহলে তাকে ধর্ষণ করা তাঁর রাষ্ট্রীয় কর্তব্য এবং এক্ষেত্রে তিনি যদি কোন কারণে ধর্ষণ না করেন অথবা ধর্ষণে ব্যর্থ হন তাহলে সেটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ বলে গন্য হবে এবং অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। তবে ধর্ষণকালীন সময়ে দায়ীত্বপ্রাপ্ত ধর্ষক শারীরীক ভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে যদি ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমানিত হয় সেক্ষেত্রে আদালতের বিবেচনা অনুযায়ী শাস্তি শিথিল করা যেতে পারে। আসামীর জবানবন্দি অনুযায়ী, তিনি সহ আরো কয়েকজন রাষ্ট্রীয় ধর্ষক সেদিন বেলা এগারটার দিকে তাদের নির্ধারিত এলাকা কামরাঙা পাড়ায় দায়ীত্ব পালন করছিলেন। সেই সময় সতের আঠার বছর বয়েসি একটা মেয়ে বই খাতা নিয়ে সেখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। দায়ীত্ত্বপ্রাপ্ত ধর্ষক রা অত্যন্ত সততা এবং কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে মেয়েটার কাপড়চোপড়ের দৈর্ঘ্য প্রস্থ, তার প্রতিটা পদক্ষেপে অতিক্রান্ত রৈখিক এবং কৌণিক দূরত্ব, তার চোখের দৃষ্টিতে কোন ইশারা আছে কিনা, তার ঠোঁটের কোনায় বা নাকের ডগায় কোনরুপ ছেনালী আছে কিনা বিচার করে দেখছিলেন। তাঁদের চোখে এ ধরণের কিছু পরিলক্ষিত না হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা মেয়েটাকে দেখে যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন এবং অত্যন্ত যৌক্তিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেন যে , তাদের কে যৌন উত্তেজনা অনুভব করানোর জন্য এই মেয়েটা নিশ্চয় গোপনে হলেও কিছু না কিছু ষড়যান্ত্র করেছে(!) এবং মেয়েটার পক্ষে ‘ ধর্ষণের প্রণোদনা দেবার মাধ্যমে পুরুষদের অশান্ত করার মাধ্যমে ’ সমাজ এবং রাষ্ট্রের ইজ্জত নষ্ট করা সম্ভব! সবার সন্মতি তে এবং নিজ্বস্ব বিবেচনাশক্তি প্রয়োগ করে আসামী জনাব সুশীশ্ন মন্ডল তাকে ধর্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং অন্যদের সহযোগিতায় তিনি ধর্ষণে উদ্যোগী হন। কিন্তু ধর্ষণ করতে গিয়ে হঠাৎ অত্যন্ত নিম্নমানের আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়ে তিনি নিজে ত ধর্ষণ করা থেকে বিরত ত হনই, উপরন্তু তাকে ‘বিনাকারণে বিরত হতে দেখে’ কর্তব্যরত অন্য ধর্ষক রা তাৎক্ষণিক ভাবে ধর্ষণে উদ্যত হলে তিনি তাদেরকেও তীব্র ভাবে বাঁধা দেন এবং ‘ দোষী মেয়েটাকে’ নিরাপদে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন!!
(বিচারিকের রায় পাঠের এই পর্যায়ে এজলাশ কক্ষে সোরগোল উঠে। সবাই চিৎকার করে বলে- আসামী কেন ‘বেশ্যা টাকে’ ধর্ষণ করা থেকে বিরত হল জাতি জানতে চায়!! এক যুবক বেশ চিৎকার করে- ‘ব্যাটা তোর যদি না খাড়ায় তাইলে আমগোরে কইলেই অইত! তুই অ বাঁচতি, বেশ্যাটাও শাস্তি পাইত, আমরাও একটু শান্তি পাইতাম! কি কস?’ বলে পাশের যুবকের দিকে তাকায়। পাশের যুবক কাম দৃষ্টি নিক্ষেপ করে এজলাশ কক্ষের মধ্যেই ধর্ষণের উপযুক্ত কাউকে পাওয়া যায় কিনা দেখে! মাননীয় বিচারিক কাঠগড়ায় মাথা নিচু করে থাকা সুশীশ্ন মন্ডল কে উপস্থিত দর্শকের উদ্যেশ্য তার ‘ধর্ষণ না করার কারণ’ ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেন। সুশীশ্ন মন্ডল মাথা নিচু করে দর্শকের দিকে না তাকিয়ে আবেগ রুদ্ধ কন্ঠে তার ভাষণ পেশ করে)
উপস্থিত সন্মানিত ধর্ষক রা! আমার সালাম, আদাব এবং নমস্কার গ্রহণ করুন। আমার বাবা মা র স্বপ্ন ছিল আমি বড় হয়ে খুবই উঁচু মানের একজন ধর্ষক হব। এই কথা চিন্তা করেই শৈশবে আমার নাম রাখা হয় সুশীশ্ন মন্ডল। নামের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে গত ‘সপ্তম ধর্ষক সার্ভিস ক্যাডারে’ পরীক্ষা দিয়ে আমি সপ্তম স্থান অধিকার করি এবং ‘অত্যন্ত ইশারা প্রবণ’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত কামরাঙা পাড়ায় সরকারী দায়ীত্বপ্রাপ্ত প্রধান ধর্ষক হিসেবে নিযুক্ত হই। দায়ীত্ত্ব প্রাপ্তির পর গত তিন বছরে আমি এবং আমার টিম অত্যন্ত সাফল্যের সাথে সতের টা মেয়েকে ধর্ষন করি এবং উক্ত কাজের জন্য রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক স্বীকৃতি স্বরূপ ‘শ্রেষ্ঠ ধর্ষক পুরস্কার ২০২৮’ আমরাই পাই। কিন্তু পরীক্ষিত এবং প্রমানিত ধর্ষক হলেও আমিও একজন মানুষ!ভুল ত্রুটি আমারো হতে পারে!! সেদিন যখন আমি আমার ক্যারিয়ারের আঠারতম মেয়েটাকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হই তখন হঠাৎ করেই আমি ‘মানসিক অসুস্থতা’য় আক্রান্ত হয়ে পড়ি এবং ‘অসুস্থ কিছু চিন্তা’ আমার মাথায় ভর করে। অসুস্থ চিন্তাগুলো আমি হুবহু প্রকাশ করছি যাতে আপনারা এবং মাননীয় আদালত বুঝতে পারেন যে ধর্ষণে ব্যর্থতার জন্য আমি নই, বরং আমার সাময়িক মানসিক অসুস্থতাই দায়ী।
আমি যখন মেয়েটাকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হলাম তখন হঠাৎ করে আমার মনে হল মেয়েটা কোনই অন্যায় করেনি। আমি নিজেই মেয়েটার প্রতি ভয়ানক অন্যায় করছি এবং ধর্ষণ না করলে নয়, বরং আমি যদি মেয়েটাকে ধর্ষণ করি তাহলেই রাষ্ট্রের উচিৎ আমাকে ফাঁসি দেয়া! আমার জন্মের উপর আমার যেমন কোন হাত ছিলনা, মেয়েটার ও তার জন্মের উপর কোন হাত ছিলনা।! আমি যেমন একজন মানুষ সেরকম সেও একজন মানুষ! আমার যেমন ক্ষুধা তৃষ্ণা আছে, তারও সেরকম ক্ষুধা তৃষ্ণা আছে! আমার যেমন ইচ্ছেমত রাস্তায় চলাফেরা করার অধিকার আছে তারও সেরকম ইচ্ছেমত রাস্তায় চলাফেরা করার অধিকার আছে! আমার স্বাধীনতায় বাঁধা দেয়া যেমন ঘোরতর অন্যায় সেরকম তার স্বাধীনতায় বাঁধা দেয়াও ঘোরতর অন্যায়! আমার...আমার...
( এতটুকু বলাতেই এজলাশ কক্ষে ভয়াবহ গন্ডগোল শুরু হয় এবং উপস্থিত জনতার সবাই কাঠগড়ায় উপস্থিত সুশীশ্ন মন্ডলের দিকে তেড়ে যায়- ‘শুয়োরের বাচ্চা’র ত দেখি দুই মাথাতেই গন্ডগোল!! বলে কিনা মেয়েরা ইচ্ছামত কাপড় পরবে, ইচ্ছামত রাস্তায় চলাফেরা করবে, তারপরও তাদের একটু ধর্ষণ করা যাবেনা!! শালার প্যান্ট টা খোল, জিনিষ জায়গামত আছে কিনা দ্যাখ!!’’ পুলিশ এসে জনতাকে শান্ত করলে আসামীর থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে বিচারিক নিজেই বলা শুরু করেন)
দেখলেন ত, আসামী নিজ মুখেই স্বীকার করল সে কি রকম মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়েছিল। মানসিক ভাবে সুস্থ পুরুষ মানুষের মেয়ে দেখলে মুখ দিয়ে লালা ঝরবে, মনে মনে চিন্তা করবে কিভাবে তাকে ধর্ষণ করা যায় এবং সুযোগ পেলেই তাকে ধর্ষণ করবে, এটাই ত স্বাভাবিক! কিন্তু তা না হয়ে যদি মেয়ে দেখে কারো মাথায় আসে সেও তার মত মানুষ, তারও অধিকার আছে নিজের রুচি অনুযায়ী পোষাক পরার, নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী চলাফেরা করার, তাহলে তাকে মানসিক ভাবে অসুস্থ ছাড়া আর কি বলা যায়?? আর আইনে যেহেতু মানসিক অসুস্থতার কারনে শাস্তি রদ হবার কোন নিয়ম উল্লেখ করা নাই কাজেই রাষ্ট্রীয় দায়ীত্ত্বে অবহেলার কারণে সরকারী দায়ীত্ত্ব প্রাপ্ত ধর্ষক সুশীশ্ন মন্ডল কে মৃত্যুদন্ড দেয়া হল।
আসামীর সুবিচার নিশ্চিত হওয়ায় উপস্থিত সবাই( ভিতু দুএকজন ছাড়া) মাননীয় আদালত এবং সরকারের জয়ধ্বনি দেয়। বেশিদিন ত নয়, মাত্র বার তের বছর আরের কথা! তখনো সরকার এবং আদালত ধর্ষণকারীকে বুকে আগলে রেখে ধর্ষণ কে আড়ে ঠারে সমর্থন করলেও প্রকাশ্যে সমর্থন করার সাহস পেতনা। কিন্তু ধর্ষনের পক্ষে দিন দিন মৌন এবং প্রকাশ্য জন সমর্থণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার এবং আদালতের সাহস ও বেড়ে যায়! জনগন প্রকাশ্যেই ঘোষনা করে-‘ মেয়েরা যদি তাদের ইচ্ছেমত কাপড় পরে, ইচ্ছেমত নাটক থিয়েটার করে, ইচ্ছেমত রাত বিরেতে টিউশনি করে, ইচ্ছেমত পুরুষ মানুষের মত কাঁধে ক্যামেরা ঝুলিয়ে সাংবাদিকতা করে, তাহলে আমাদের ছেলেরা কি একটু ধর্ষণ করবেনা? আমাদের ছেলেদের কি নুনু নাই??’
জনগনের এহেন ঘোষনার পরেও ‘বেয়াদপ মেয়েমানুষ’ গুলা ইচ্ছামত কাপড় পরা, ইচ্ছামত নাটক থিয়েটার করা, ইচ্ছামত রাত বিরেতে টিউশনি করা, ইইছামত টিফিন ক্যারিয়ার হাতে গার্মেন্টসে যাওয়া, ইচ্ছামত রাস্তার খোয়া ভাংতে যাওয়া, ইচ্ছামত পুরুষ মানুষের মত কাঁধে ক্যামেরা ঝুলিয়ে সাংবাদিকতা করতে যাওয়া অব্যাহত রাখায় সরকার বাধ্য হয়ে সমাজ কে ‘ ধর্ষনের উস্কানী’ থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেবার জন্য ‘নিজস্ব ধর্ষক বাহিনী’ নিয়োগ করে এবং ‘ আধুনিক এবং শিক্ষিত জনগনের’ কাছে সরকারের এ উদ্যোগ ব্যাপক ভাবে প্রশংশিত হয়। শীশ্নে আলতো হাত বুলাতে বুলাতে ‘শিক্ষিত আধুনিক পুরুষ’ মন্তব্য করে- এর নাম হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা! তুমি ধর্ষনের উস্কানি দিবা, তোমারেই ধর্ষণ করে উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া হবে!! পাশে থাকা ‘শিক্ষিত আধুনিক নারী’ ধর্ষণের খবর শুনে নাউজুবিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ বলে বুকে থু থু দিয়ে মন্তব্য করে মন্তব্য করে- ‘ পড়াশোনা কর ঠিক আছে। কিন্তু তুমি যে একটা মাইয়ামানুষ সেটা ত মাথায় রাখতে হবে! তোমার চলাফিরা, কাপড়চোপড়, ঠিক না থাকলে ছেলেদের ইবা কি দোষ!!’
দ্রুত বিচার নিশ্চিত করনের জন্য এজলাশ কক্ষেই আসামী সুশীশ্ন মন্ডলের ফাঁসির আয়োজন চলছে। বিচারিকের আসন সরিয়ে সেখানে বানানো হয়েছে অস্থায়ী ফাঁসির মঞ্চ। যম টুপি পরে জল্লাদ ঘোরাফেরা করছে মঞ্চে। এজলাশ কক্ষের এক কোণায় এক যুবক আরেক যুবক কে কনুই দিয়ে ঠেলা দিয়ে বলল- একটু ধর্ষণ করতে মন চায়!!
দ্বিতীয় যুবক জিজ্ঞেস করল- ধর্ষণ করবি, কিন্তু ‘মাল’ কই?
প্রথম যুবক হাতের ইশারায় এজলাশ কক্ষের এককোনায় বৃদ্ধা নানীর হাত ধরে বসে থাকা অল্পবয়েসী নাতনী’র দিকে দেখিয়ে দিল- ওই যে!
দ্বিতীয় যুবক শীষ বাজিয়ে বলল- মাল ত খাসা রে!
প্রথম যুবক একটু দ্বিধার সাথে জিজ্ঞেস করল- কিন্তু কুনো ভ, ভয় নাই ত?
দ্বিতীয় যুবক তার কাঁধে ভরসার হাত রেখে বলল- কুনো ভয় নাই। যে সরকার এবং বিচার ব্যবস্থা নিজেই ধর্ষক নিয়োগ করে এবং ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হবার জন্য ফাঁসিতে ঝুলায় সে ধর্ষণ করার জন্য কাউকে কখনো ফাঁসিতে ঝুলায় না। একই রাষ্ট্রে একসাথে বিপরীত দুইটা মানসিকতা কখনো আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনা।
নিঝুম আদালত কক্ষে একদিকে ফাঁসি এবং একদিকে ধর্ষণ দুটাই চলছে। আদালত কক্ষের সিলিং এ বসা কাকটা পায়খানা করতে গিয়ে হঠাৎ থমকে যায়। এতটা অপবিত্র যায়গায় তার পক্ষে পায়খানা করা সম্ভব নয়।