খুব ভোরে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় অভ্যাস বসত সেল ফোনটা হাতে নিয়ে দেখছিলাম কোন জরুরী ফোন বা টেক্সট এসেছে কিনা। ভুলেই গিয়েছিলাম আজ অনেকের চোখে আমার জীবনের একটা বিশেষ দিন। প্রথম টেক্সটাই ছিল, "মানুষের সবচেয়ে বড় অস্ত্র তার ভালবাসা, এই অস্ত্রটি আপনি কতটা মারাত্মক ভাবে ধারণ করেন তা আমাদের চাইতে বেশি কে জানে।" কেউ যেন ঠিক কান ধরে অস্তিত্বকে পরতে পরতে মুড়ে রাখা নির্মোহতার খোলস থেকে টেনে নিয়ে এলো সেই পুরোনো জগৎটাতে!
ঠিক কতটা রোদ্দুর লাগে বীজ ফুটে জীবন বেরুতে?
আমি অনেকদিন ধরেই কাঁটাছেড়া করেচলেছি আমার এই জীবনটাকে। যা কিছু আরাধ্য ছিল, সবই এখন হাতের নাগালে। তবু কেন শরীরটাকে দুম্ড়ে নিয়ে গুম্রে গুম্রে দিন কাটানো!
ম্যাচের বাক্সে বন্দি করে রাখি বিস্ফোরনের বীজ!
কান পাতি, দূর থেকে সমুদ্রের ঢেউয়ের মত কানে বাজে সেই অমোঘ দুটো লাইন, দুনিয়ার মজদুর, এক হও! কতটা কাল হৃদপিন্ডে বাজে না সেই গান, ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথিরে, ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে...., পূবের আকাশ রাঙ্গা হলো সাথী ঘুমায়োনা আর জাগরে.......।
ঘুম এবং জেগে থাকার ভেতর ঠিক কতটা দূরত্ব?
ঘুম ভাঙ্গলে শুরু হয় হিসেব, রিসেশনের গ্রাফ, ব্যালান্স শিটের দুই পাতার দূরত্ব কি ভাবে হ্রাস করা যায় তা নিয়ে আলোচনা আর নৈতিকতার খোলস ঠিক রেখে ঠিক কতটা শোষণ করা যায় তার পরিকল্পনা। রাতে স্বপ্নের ভেতর হানা দেয় রাইফেল, চড়ুই পাখি বাসায় গুলি করতে করতে ফের জেগে উঠি।
ফেস বুক, মেইল, ব্লগ, কোথাওনা কোথাও ঠিক-ই কয়েকজন ওত পেতে ছিল আজ, যেন ঘুম ভাঙলেই গ্রেফতার করে নিয়ে যাবে স্বপ্নের মিছিলে। আমার স্ত্রী জানেন এই সময়টাতে আমি কি ভয়ানক গুম্রে থাকি! আমাকে ও ঘাঁটায় নি।
ফের দেখা হবে!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১৮