somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ভয়ঙ্কর সালাফী মগজ ধোলাই (পর্ব- ১)

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রজ্ঞাবান আমেরিকানরা আজ প্রকাশ্যে স্বীকার করে যে, মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার দুই দোস্ত দেশ আছে। এক হচ্ছে- প্রকাশ্য দোস্ত ইসরাইল আর অপরটি হচ্ছে- অপ্রকাশ্য দোস্ত সৌদি আরব।
Click This Link
সমস্ত পৃথিবী জুড়ে মুসলমানদের আজ যে জিল্লতি তার প্রাথমিক বা মূল ক্রিড়ানক হচ্ছে বর্তমান সৌদি রাজবংশ। বিষয়টা হচ্ছে এ রকম, একজন সাবালক সন্তানকে তার মা যদি বলে, ‘তুমি এতদিন যাকে বাবা হিসাবে জানতে সে আসলে তোমার বাবা নয়।’ অপর এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে যদি বলে, ‘এই হচ্ছে তোমার প্রকৃত বাবা।’ তখন ঐ সন্তানের যেই পরিস্থিতি, ঠিক একই পরিস্থিতি আজ পৃথিবীর সাধারণ মুসলমানদের। সাধারণ মুসলমানরা ইসলামকে বুঝে সমাজে বসবাসরত আলেম ওলামাগণদের কাছ থেকে। তারাই যদি বলে আমাদের পিতা, পিতামহ যেই ইসলাম অনুসরণ করে এসেছে তা ভুল ছিলো, বর্তমানে সৌদি আরব যে ইসলাম প্রচার করছে তাই সঠিক, তখন সাধারণ মুসলমানেরা যাবে কোথায়? সন্তান যেমনিভাবে পিতাকে চিনে মায়ের মাধ্যমে, ঠিক তেমনিভাবে সাধারণ মুসলমান ইসলামের ধারণা লাভ করে আলেম ওলামাদের কাছে।

বর্তমান যামানার মুসলমানদের ধ্বংসের সুত্রপাতটা হয় ঠিক এখান দিয়েই। সৌদী প্ররোচিত সালাফী/ওহাবী চেতনা হচ্ছে বর্তমান যামানার মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। অত্যন্ত সফলতার সাথে প্রতিটি মুসলমান দেশে সৌদী রাজবংশ ইসরাইল ও আমেরিকার প্রত্যক্ষ সহায়তায় এই জঘন্য কাজটি করে যাচ্ছে। প্রতিটি মুসলমান দেশে শাসকরা হচ্ছে ‘তথাকথিত মুসলমান’ ইসলামের শত্রুদের মনস্তান্তিক আগ্রাসন বুঝার কোনো জ্ঞান, দক্ষতা কিছুই নেই তাদের। ফলশ্রুতিতে আমরা দেখতে পাই, প্রতটি মুসলমান দেশে সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক হানাহানি। আজ পৃথিবীতে মুসলমান দেশের সেনাবাহিনী কখনই পার্শ্ববর্তী অমুসলিম দেশের সেনাবাহিনীর বিপক্ষে যুদ্ধ করে না। ওরা সব সময়ই যুদ্ধ করে নিজ দেশের ওহাবী চেতনার বিভিন্ন নামের সন্ত্রাসী দলের সাথে। সুদূর লিবিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত সকল মুসলমান দেশেই সৌদি রাজবংশ সফলতার সাথে মুসলমানদের মধ্যে সন্ত্রাসীদল সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। খোদ এই এলাকাতে ১৯৭১ সালে পাক আর্মি যুদ্ধ করেছে এদেশের মুসলমানদের সাাথে আর তারা এখন যুদ্ধ করছে বেলুচিস্তান ও ফাতাহ অঞ্চলের মুসলমানদের সাথে। ইরাক আর্মি যুদ্ধ করছে নিজ দেশের জনগণের সাথে। একই অবস্থা আফগানিস্তান, সিরিয়া, মিশর, লিবিয়া, মরোক্ক, তিউনিশিয়া এমনি সব দেশে। পৃথিবীতে এমন একটি মুসলমান দেশ নেই যে, এ বিষয়টি কোনো আন্তর্জাতিক আলোচনাতে উত্থাপন করছে। কারণ ক্ষমতায় থাকার সময় এরা থাকে অন্ধ, চোখ কান বন্ধ, অদক্ষ নেতৃত্ব এবং অপেশাদার পেশাজীবিরা ব্যস্ত থাকে চাটুকারীতা আর আনন্দ ফুর্তিতে। কখন এবং কিভাবে দেশের জনগণ শত্রুর মনস্তান্তিক বিশারদের দ্বারা মগজধোলাই হচ্ছে সে সম্বন্ধে তাদের কোনো ধারণাই নেই। বরং তারা টাকার বিনিময়ে কিংবা নির্বুদ্ধিতার কারণে শত্রুর মগজধোলাই কার্যক্রমে অনেক ক্ষেত্রে সহায়তা করে। পরে যখন ভ্রান্ত চেতনার দলসমূহ অস্ত্র, গোলাবারুদ নিয়ে মাঠে অবতীর্ণ হয় তখন তারা ঘুম থেকে উঠে মাঠে নামে সন্ত্রাস দমনে।

ইসলামের শত্রুরা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, একজন জন্মসূত্রের অজ্ঞ মুসলমানকে নাস্তিক করার চেয়ে রেডিকাল কিংবা সন্ত্রাসী করা অনেক সহজ। সে ক্ষেত্রে প্রথম ধাপটিই হচ্ছে সাধারণ মুসলমানদের মাঝে ওহাবী/সালাফী চেতনার অনুপ্রেবেশ ঘটানো। তারপর তাকে প্রচলিত মাযহাব থেকে, আহলে হাদীছ কিংবা লা-মাযহাবী করা। তারপর তাকে জামাত/শিবির, হিজবুত তাহরীর, হিজবুত তাওহীদ, হরকাতুল জিহাদ, জেএমবি, তালেবান, আইএসআইএল এ ধরণের যে কোনো একটি দলে ভিরিয়ে দেয়া। ব্যাস, একদল মুসলমান সন্ত্রাসী তৈরি হয়ে গেলো।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যে দেশের মুসলমান সিআইএ’র তৈরি লাদেনের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করে, যে দেশের মুসলমান ‘র’ এর তৈরি জাকির (কাফির) নায়েককে একজন ইসলাম ধর্মের হাদী মনে করে, তাদেরকে দিয়ে ইসলামের শত্রুরা যা খুশী তাই করাতে পারে।
আমরা পরবর্তী পর্বে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো, কিভাবে বর্তমান সরকারের আমলে সালাফী/ওহাবী চেতনা এদেশের জন সাধারণ এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে অনুপ্রবেশ করানো হচ্ছে, ইনশাআল্লাহ!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যদি এমন হতো.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২৮

যদি এমন হতো....

বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা-দারিদ্র-মহামারী, যুদ্ধবিগ্রহের ধ্বংসযজ্ঞে মানুষে মানুষে, দেশে দেশে সকল বৈরীতা ভুলে একটা সুখী পরিবার গঠন করে দুনিটাকে সত্যিকার ভূস্বর্গ করতে...
শুরু হতো বাংলাদেশ থেকে। সব রাজনৈতিক দল মুক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

নির্বিকার ( কবি দাউদ হায়দার স্বরনে তারি লেখা কিছু কবিতা থেকে উৎসাহিত হয়ে)

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:০৫



জন্মেছি, এও এক ঘটনা মাত্র।
কারও ইচ্ছেতে নয়, কারও অনিচ্ছেতেও নয়।
রক্তের গন্ধে ভরা এক সকালে
আমি নেমে এসেছি, অপ্রত্যাশিত চিৎকারে ।

শহরের ধুলো, গলির বিক্রি হয়ে যাওয়া রোদ,
বাসের পাদানিতে ঝিমিয়ে পড়া শরীর,
সবকিছু দেখেছি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতের পাশে আমেরিকা-ইসরায়েল। পাকিস্তানের পাশে কারা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩


গত রাতে ইসরায়েল থেকে ভারতে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে গেছে একটি কার্গো বিমান। তাতে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গাইডেড মিসাইল বিপুল পরিমাণে আছে। এই মিসাইলগুলো অতি নিখুঁতভাবে মেঘ, বৃষ্টি বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত ও পাকিস্তান উভয় সম্পূর্ণ কাশ্মিরের দখল পেতে মরিয়া

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৩



ভারত হয়ত এবার যুদ্ধকরেই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির দখল করতে চায়। পাকিস্তানও হয়ত যুদ্ধকরেই ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির দখল করতে চায়। এমতাবস্থায় ভারতের পাশে ইসরাইল এবং পাকিস্তানের পাশে চীন থাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবার কমন শত্রু আওয়ামী লীগ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৫৮


শেখ হাসিনা সবসময় তেলবাজ সাংবাদিকদের দ্বারা বেষ্টিত থাকতেন। তেলবাজ নেতাকর্মীরাও বোধহয় তার পছন্দ ছিল। দেশে কী হচ্ছে, না হচ্ছে, সে সম্পর্কে তার ধারণাই ছিল না। সামান্য কোটাবিরোধী আন্দোলন উনার পক্ষে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×