পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য মফিজ থানায় গিয়ে ৭০০ টাকা হাতে গুজে দেয়ায় পরিদর্শক সাহেব ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন...শেষ পর্যন্ত অনেক নাকানি চুবানি খেয়ে ১০০০ টাকায় রক্ষা-দোষ’টা না পরিদর্শক না মফিজের...দোষটা ঐ মূল্য তালিকার...
প্রতিনিয়ত আমাদের বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হয়...সুদীর্ঘ কাল থেকেই এর প্রচলন রয়েছে...হানিফ সংকেতের বাঁশের মতো জন্ম থেকে মৃত্য পযর্ন্ত কোথায় নেই ঘুষ বা উপরি? আর সরকারী ব্যাপার মানেই ঘুষ যা বলাই বাহুল্য
আর আমাদের মতো চ্যাম্পিয়ান দেশে কোন সরকার এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি এমন কি এ ডিজিট্যাল সরকার ও নয়...!
তবে কিছু কিছু প্রাতিষ্ঠানিক বা ব্যক্তি পর্যায়ে এর একটা মূল্য নির্ধারিত হয়ে আসছে যেমন কাষ্টম-পোর্ট ইত্যাদি কোন ডুকুমেন্টস কত “সি এন্ড এফ” এজেন্ট যারা নিশ্চয় সম্যক অবগত আছেন ...এপ্রেইজার কে কত দিতে হবে আর পিয়ন কে কত...বলার কিছু নেই সব ফির্ক্সড...নেই কোন তর্ক দর কষাকষি বাদ বিবাদ
রিকসা চুরি রোধে চট্রগ্রামে চোর সংঘ থেকে হলুদ রংযের একটা আইডি প্লেট দেয় যা নির্ধারিত ফি দিয়ে করতে হয় ও রিক্সার পেছনে সেটে দিয়ে নাক ডেকে ঘুমানো যায় তবে বাত্সরিক অবশ্য নবায়ন ফি আছে!
লেংড়া-খোড়া ভিক্ষুক যে ঠিকাদার প্রতিষ্টানের কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা প্রোডাকশানে কাজ করে! রাস্তার কোন মোড়ে কত-মাজারের গেইটে কত আর ভেতরে কত তারাও খুব ভালো অবগত
ট্রাক ড্রাইভার ঠিক জানে সার্জেণ্টকে কোথায় কত দিতে হয় আর ট্রাফিক অর্থারিটি থেকেই বিভিন্ন ভাউচার-টোকেন দেয়া হয় যা খুবই উপকারী আর পার্সপোর্টের পুলিশ ফেরিফিকেশান ফি ৫০০-১০০০ ডাল ভাত ব্যাপার জানে নবজাতক ও
যেমন চট্রগামে মুনছুরাবাদ পার্সপোর্ট অফিসে একটা ফিক্সড রেট যেদিন ফর্ম জমা দেবেন সেই দিনেই ছবি তোলা সহ যাবতীয় কাজের ফি ১৫০০ টাকা আর যারা ঐদিন ছবি তুলতে না চান বা অত প্রয়োজনীয়তা নেই বা ফি দিতে না চান তারা ফর্ম জমা দিতে গেলেই ৯৯% ভুল হবেই যেমন ঐ কাগজ নেই বা এখানে ঘষা কেন বা কাউন্সিলারের সিল লেপটে গেছে অথবা ভাতে লবন নেই কেন?! জমা নেয়া যাবে না ...নিয়ম নেই
ফর্ম জমা না নেয়ার ও একটা অর্থ হলো “ওয়েটিং লিষ্ট” এর মধ্যে আপনি ম্যানেজ হন কিনা কারন ওখানে দাড়োয়ান-পুলিশ থেকে শুরু করে সবাই এ কাজের সুকর্মী একনিষ্ট পারদর্শী অন্যথায় অন্তত ৩-৪ দিন লেফ্ রাইট করার পর যদি রাইট হয় তা আপনার ভাগ্য! আর সুনির্ধারিত ফি দিয়ে যদি করেন তাতে ৬ খুন মাফ !
আর একটা ডিজিট্যাল ব্যাপার হচ্ছে ঐ ফি দিয়ে জমা দেয়া ফর্মে একটা “সিক্রেট চিহ্ন” দেয়া থাকে যা পরিচালক থেকে শুরু করে অপারেটর পর্যন্ত সবাই জানে তাই ফর্মে ঐ চিহ্ন না থাকলে প্রতি ক্ষেত্রে আপনিই চিহ্নিত হবেন আর বিডম্বনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে যার যা ক্ষমতা করবে সুজোগে হেনস্থা ।
কিন্তু সমস্যা এটা নয় কারন এখানে ফি নির্ধারিত আছে সমস্যা হচ্ছে যেখানে বা যে ক্ষেত্রে এর ফি নির্ধারিত নেই.....................................
তাই ডিজিট্যাল বাংলাদেশের কনসেপ্ট দেয়া এ সরকারের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা ভ্যাট-ট্যার্ক্স ,সি এন জি অটো মিটার- কাঁচা বাজারের মূল্য তালিকার মতো ঘুষ উপরি এর সঠিক ও যৌক্তিক মূল্য তালিকা প্রনয়ন ও এর যথাযথ মনিটরিং এর ব্যাবস্থা করলে ভোক্তা অধিকার-তথ্য অধিকার সংরক্ষিত হবে
প্রয়োজনে টিসিবি’র মতো প্রতিষ্টান করা যেতে পারে আর যে সরকারী পর্যায়ে কেউ যেন এর ব্যার্তয় ঘটাতে না পারে বা তালিকা বর্হিভূত অন্যার্য দাবী করতে পারে তার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করার জন্য ডিজিটাল সরকারে প্রতি জোড় দাবি রইল...........................
ঘুষ বা উপ্রি’র যৌক্তিক ন্যার্য মূল্য তালিকা চাই...............
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর


আলোচিত ব্লগ
সুরের জাদু: গিটার বাজালে কি ঘটবে?
গাজীপুরের পুবাইলের পুরনো গির্জাটি রাতের আঁধারে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। এই গির্জার নির্মাণকালে কিছু না জানা কুসংস্কারের অনুসরণ করা হয়েছিল। গাজীপুরের লোককথায় বলা হয়, এই গির্জার নিচে আটটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা, লোভী এবং সাম্রাজ্যবাদীও বটে.....
শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা এবং লোভীও....
জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের হিংস্র ও আগ্রাসী। পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চাওয়া এবং স্বাধীন থাকতে চাওয়া কিছু অঞ্চল যেমন হায়দ্রাবাদ, ত্রিবাংকুর, ভূপাল, যোধপুর, জুম্ম-কাশ্মীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন
২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র
২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন
শিক্ষকদের দ্বৈত চরিত্র এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা!
বাংলাদেশে শিক্ষার মান নিয়ে সবার মুখে নানা রকম কথা শোনা যায় । কেউ কেউ বলছেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি হচ্ছে , কেউ বলে দিন দিন তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। এপিআই প্ল্যান্ট
ওষুধে দুটো উপাদান থাকে। ওষুধের যে রাসায়নিক উপাদানটি মূলত রোগ সাড়ানোর কাজ করে, সেটিকে বলে এপিআই। দ্বিতীয় উপাদানটিকে সহকারি উপাদান বলে, যেমন— স্টার্চ, রং বা ফ্লেভার।
এপিআইয়ের... ...বাকিটুকু পড়ুন