বহুদিন আগে পলাশির যুদ্ধ নিয়ে একটা সিনেমা দেখেছিলাম,তাতে একটা ডায়লগ ছিলো,’বাংলার আকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা.........। ’ আজ হঠাত শিক্ষাক্ষেত্রে চলমান ট্রেন্ড দেখে মনে পড়ল। আসুন একটু নজর বুলাইঃ
১৯৯০ সালে এদেশে এস এস সিতে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ছিলো ৪২.২১%
২০১০ সালে এদেশে এস এস সিতে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ২২.৩২%
২০১০ সালে এদেশে এইচ এস সিতে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ১৮.১৪%
পৃথীবির অন্যান্য দেশে কি অবস্থা তা আমি জানি না ,জানতেও চাই না। তবে দৃঢভাবে বিশ্বাস করি বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সামান্য অর্জন জাতিকে অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী সুফল এনে দেয়। উদাহরণ চান?
১. আমেরিকায় ইনকারা টিকতে পারেনি শুধুমাত্র অস্ত্রবলের কারণে। তাদের সভ্যতার অন্যান্য অর্জন তথা ভাষা , সাহিত্য, বাণিজ্যতে বড় ধরণের সাফল্য ছিলো।
২.ইউরোপে ছাপাখানার আবিষ্কারের পরেই রেনেসা ত্বরান্বিত হয় বলে মনে করি, কারণ অর্জিত জ্ঞান ধরে রাখা ও ছড়িয়ে দেয়া সহজ হয়ে যায়।
এহেন শত শত উদাহরণ দিতে পারব। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞান বিমুখতার কারণ কি?? কেউ ভেবে দেখেছেন কি ? এখনো ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্রটি চেষ্টা করে বিজ্ঞান নিতে কারণ এতে পরে সহজেই আর্টস/ কমার্সে চলে যাওয়া যায় কিন্তু তারপরেও এ অবস্থা কি করে?? আমি নিজে কিছু কারণ ভেবেছিঃ
কঃ পৃথীবিতে টাকা একটা ফ্যাক্টর। যখন কেউ দেখে স্কুলে তারচেয়ে পেছনের সারির অনেক শিক্ষার্থী বিজ্ঞান না পড়ে তার চেয়ে বেশি আয় করছে তখন সে তার ছোট ভাইকে বলবেই ‘সায়েন্স পড়ে কোন লাভ নাই’।
খঃ যে দেশে গুণীর কদর নাই সেই দেশে গুণি জন্মে না , D: ইউনুস ব্যাতিক্রম মাত্র। আমাদের সায়েন্স ও ইঞ্জিঃ গ্রাজুয়েট দের কাজ দেবার মত অর্থনৈতিক অবস্থায় কি আমরা আছি??
গঃ ‘ যে দেশে মুড়ি ও মুড়কির দর সমান সেই দেশ যথাশিঘ্র ত্যাগ করিবে’- কোথায় যেনো এমন একটা কথা পড়েছিলাম। আমাদের দেশের সায়েন্স গ্রাজুয়েটরা এ কথা খুব মানেন বোঝা যায়। ফলে যাদের সম্ভাবনা ছিলো তারা দেশেই থাকে না। এদের দেখলে হয়তো আরো কিছু ছেলে মেয়ে আগ্রহী হইতো।
ঘঃ আসল কথা হচ্ছে আমাদের জাতীয় কোন প্লান নাই দেশের উন্নতির জন্য, শিক্ষাখাতের উন্নতির জন্য। আল্লাহ যেভাবে চালাচ্ছে চালাক না, এই আমাদের মনোভাব।
যাই হোক সম্মানিত পাঠক হয়তো ভাবছেন এতে অত বিচলিত হবার কি আছে??





তবু একবার ভেবে দেখবেন কি, পরের ধনে পোদ্দারী কতদিন করবেন। ব্যবসা করতে হলেও নিজের প্রোডাক্ট দিয়ে করা উত্তম না ??!!
বিদ্রঃ সংখ্যামুলক তথ্য আজকের the Independent থেকে নেয়া ।
যেকোন ধরণের মন্তব্য বা সাজেশোন সাদরে গৃহিত হবে।