আমরা যারা তেজগাঁও টেক্সটাইল কলেজের ছাত্র তাদের কাছে গতকালকের দিনটি ছিলো স্বপ্নপূ্রণের দিন। তার আগে একটু পেছনের দিকে তাকানো যাক।
প্রায় শতবর্ষ পূর্বে ঢাকার নারিন্দায় ১৯২১ সালে গড়ে উঠে 'উইভিং স্কুল'। এখানে মূলতঃ টেক্সটাইল শিল্পের জন্য দক্ষ জনবল গড়ার লক্ষ্যে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। ১৯৫০ সালে স্কুলটিকে 'ইস্টপাকিস্তান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে' উন্নীত করা হয়। সেখানে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হত। এতে করে দেশে দক্ষ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী গড়ে উঠে এবং টেক্সটাইল শিল্পে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
পরবর্তিতে ১৯৬০ সালে এ প্রতিষ্ঠান বৃহৎ পরিসরে স্থানান্তরিত হয় তেজগাঁও শিল্প এলাকায়। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ায় অবদান রাখা একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই ইনস্টিটিউটের বিকাশের দাবি ওঠে এবং এর আওতায় ১৯৭৮ সালে চার বছর মেয়াদী বিএসসি-ইন-টেক্সটাইল টেকনোলজি ডিগ্রীর কার্যক্রম শুরু হয় এবং এ প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজি।
জাতীয় সংসদে ২৬সেপ্টেম্বর টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়
২০১০ পাস হলো! ফলে সেদিন থেকে ‘কলেজ অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’র জায়গায় লেখা হলো ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়’।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৫ মার্চ ২০১১ এ প্রধা্নমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বধন ঘোষণা করেন। সাথে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ ও স্থানীয় এম.পি কামাল।
এম.পি কামাল তার বক্তব্যে দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বঙ্গবন্ধুর নামে করতে।এতে করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্রদের মাঝে একটা চাপা অসন্তোষ এর জন্ম নেয়। ১০ মিনিট পর শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যেও একই দাবি রাখেন।
তবে শেখ হাসিনা আপাতত কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম বলেই উদ্বোধণ ঘোষণা করেন।
জানিনা সামনে আমাদের নাম নিয়ে আবার কি রাজনীতি দেখতে হয়।তবে এই নোংরা মাণষিকতার পরিবর্তন চাই।
সবাইকে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:০৭