উডন্ত মন আমার। কি যেন মনে হলো। আমার ব্যবহৃত স্যামসাং এম একুশের গুগল ম্যাপে ড্রাগ করে সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর টেপ করলাম। সেট ডেসটিনেশন। পরনে যা ছিল তাই। এটাকে পাগল টাইপের ভ্রমন বলতে পারেন। রওয়ানা করলাম। বাড্ডা থেকে।
ঘন্টাখানেকপর পৌছে গেলাম। এ নিয়ে তিন চার বার যাওয়া হলো। মন চাইলেই এদিক সেদিক যেয়ে অন্তত বিশ পচিশ কিলোমিটার দুরে যেয়ে বেনসন লাল টা পনের টাকা দামের সাথে একটা দুধ চা পান করে পেটে ক্ষুধা লাগলে ঘরে এসে খাই। ভাল্লাগে।
লুঙ্গি পরা দেখে বাইক রাখার আনসার কিছুটা চমকালো বৈকি। পায়ে সেন্ডেল। অবশ্য হেলমেট পড়া ছিল। বাসা থেকে যখন বের হই এলাকার ছোটভাই আক্স করছিলো, লুঙ্গি পরে কই জান? আমি কইলাম লুঙ্গিকে জাতীয় পোশাক করা উচিৎ। উইজার ফ্রেন্ডলি।
গতকাল যেমন এত ফাঁকা পাইলাম এর আগে অত ফাঁকা পাইনাই। গেটে ঢুকেই বামপাশ দিয়ে পুকুরের পাড় ধরে হাটতে থাকি ও এই ছবি গুলি তুলতে থাকি। পুকুরের জলের উপর দালানের প্রতিচ্ছবি অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিল। আমি মুগ্ধ যারপরনাই।
পুরো সোনারগাঁও ঘুরে কম বেশি কয়েক যুগল দেখা পেলাম। তবে শীতে কেমন জানি তারা চুপশে গেছে। অত উত্তেজনা মনে হলো না তাদের দেখে। পুকুর পারের রাস্তা ধরে জাদুঘরের পেছন দিয়ে হাটতে হাটতে মূল ফটক দিয়ে বের হলাম। বাইক আনপার্ক করলাম।
পানাম নগরে আগে গিয়েছিলাম কয়েকবার। এবার অন্যপথে পানাম নগরের কয়েকটি ছবি নিয়ে গুগল করলাম মেঘনার তীরে যাব। পিরোজপুর নামে একটা গ্রাম আছে। ওখানে নদীর পারের দৃশ্য অনেক সুন্দর লাগলো। কোথা থেকে যেন বাঁশের স্তুপ ভেষে এসেছে।
ওর ওপর অনেকক্ষণ বসলাম। মনের অজান্তে কি যেন সব বিড়বিড় করতে লাগলাম। নদীর তীরে একজন কিশোরী মীম অন্যতম রিফা, ওরা দুজন কি কি যেন সব আকছে। পরে বাশের ভোড়ের উপর উছে কুচুরীপানা দিয়ে তারা ছোটকে কি কি অলংকার বানিয়ে বউ সাজায়।
নদীর তীরে দেখলাম অনেক বড় বালুবহন কারী লোহার নৌকা বানাচ্ছে। বাঁশের ভোড়ের নীচে অনেক ছোট ছোট মাছ কিলবিল করতে দেখলাম। নাক থেকে যে ময়লা নির্গত হয় তা ফেলতেই দেখলাম ওরা গলধকরন করছে। হাতে চিপস ছিল তা কিন্তু তারা খেল না!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৮