somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৪০ বছর পর, বাংলাদেশ-বিরোধীরা সামান্য কোণঠাঁসা

০২ রা মে, ২০১৫ রাত ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পাকী মিলিটারী ও পরাজিত জামাত ব্যতিত, দেশে বিদেশে শেখ সাহেবের ব্যক্তিগত শত্রু ছিল না; জাসদ ক্রমেই ব্যক্তি শেখ মুজিবের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিলো; কিন্তু শেখ সাহেবের উপর আঘাত হানার মতো ক্ষমতা তাদের ছিল না। কিন্তু ১৯৭৫ সালে, ছোট একটা শব্দ, "বাকশাল" হঠাৎ করে শেখ সাহেবের প্রাণের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ালো; শব্দটা পশ্চিমের পছন্দ হয়নি; পশ্চিম সব সময় তৃতীয় বিশ্বে কিছু করতে হলে স্হানীয়দের ভাড়া নেয়; আমাদের মিলিটারী থেকে কিছু লোক বিক্রয় হয়ে গেলো।

১৫ই আগস্টে পশ্চিমের ভাড়াটিয়ারা শেখ সাহেবকে হত্যা করলো; যারা হতয়া করলো, এদের সবাই কোন না কোনভাবে শেখ সাহেব দ্বারা উপকৃত হয়েছিল, উনার পরিবারের যাওয়া আসা ছিল এসব ঘেসো-সাপদের।

শেখ সাহেবকে হত্যা করার পর, পশ্চিমের কেনা মিডিয়া ও মলিটারী রটনা করলো যে, শেখ সাহেব রাজার মতো আজীবনের জন্য ক্ষমতা দখল করেছিলেন। মানুষ এই ঘটনার আগে শেখ সাহেবের তুঘলকি কর্মকান্ডে কিছুটা আস্হা হারায়েছিল উনার উপর। শেখ সাহেব কিছু বাংগালী থেকে বুদ্ধিমান হলেও আধুনিক বিশ্বের জন্য একজন সাধারণ বাংগালী ছিলেন মাত্র; কিন্তু সব বাংগালীরা চেয়েছিল যে, উনি যেন সুপারম্যান হয়ে সবকিছুর সমাধান ১ দিনে দিয়ে দেন।

শেখ সাহেবের মৃত্যুর পর, মিলিটারী নিজেই 'বহুদলীয় গণতন্ত্র' আবিস্কার করেন, বাংলার জন্য আলাউদ্দিনের প্রদ্বীপ; এর আগে আমাদের মিলিটারীর পুরাতন আব্বাজান আইয়ুব খান 'মৌলিক গণতন্ত্র' আবিস্কার করেছিলেন; আইয়ুব খান উনার মৌলিক ফৌলিক নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারেননি; তখন মওলানা ভাসানী পুরোপুরি বুড়ো হননি।

যাক, বহুদলীয় গণতন্ত্র ২০০৬ সাল অবধি ভালো ফল দিয়েছে; এমন কি পাকী পক্ষের যুদ্ধাপরাধীরাও আমাদের মন্ত্রী সভায় স্হান পেয়েছিলেন; এর থেকে বড় গণতন্ত্র বিশ্বে আর কোথায় আছে?

এখন মনে হচ্ছে, শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের গণতন্ত্রের আবিস্কারকদের পেটেন্ট আর ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না; অন্ততপক্ষে সাময়িকভাবে হলেও।

বহুদলীয় গণতন্ত্রের আবিস্কারকদের কিছুটা থামাতে প্রায় ৪০ বছর সময় লেগেছে; এবং থামাতে গিয়ে তিনি অনেক নিয়ম ইতয়াদি নিজেও ভাংছেন; আশাকরি, এটা সাময়িক হবে; কারণ, জাতি কাজ করতে চায়, নিজকে গড়তে চায়, এবং সেটার জন্য সঠিক রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরায়ে আনতে হবে।


সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পার্বত্য চট্টগ্রাম- মিয়ানমার-মিজোরাম ও মনিপুর রাজ্য মিলে খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের চক্রান্ত চলছে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০১


মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন । সেখানে তিনি ইন্ডিয়ানা তে বক্তব্য প্রদান কালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী chin-kuki-zo দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×