হীরক রাজা: এসো গবেষক ফিল্টারচন্দ্র, ড্রোনতীর্থ, ড্রোনরত্ন, ড্রোনাম্বুধী, ড্রোনচূড়ামণি! কী খবর গবেষণার?
কবে শূন্যে নামবে পাশের হার?
গবেষক: মহারাজ তীষ্ট,
সামান্য অবশিষ্ট।
গুনীজন বলে,
সবুরে মেওয়া ফলে।
হীরক রাজা: তীষ্ট! তীষ্ট! তীষ্ট! আমি এখন অতীষ্ট!
যবে থেকে তোমাকে করেছি শিক্ষা কমিশনের মেম্বার,
তারপরই বেড়ে গেছে পাশের হার নিয়ে তুঘলকি কারবার।
এই হয় নব্বই এই হয় তিন,
টেনশনে ব্লাড প্রেসার বাড়ছে দিন দিন।
তোমাকে বলেছি বার বার- শিক্ষিত রাখা যাবে না আর,
শুন্যে নামাও শিক্ষিতের হার।
গবেষক: শিক্ষা আর শিক্ষিতের হার এক নয় মহারাজ,
এই নিয়ে নিরন্তর করে যাচ্ছি কাজ।
ছয় বছর শেষ হয়েছে সবে,
১২ বছরেই আপনার ইচ্ছা পূর্ণ হবে।
কেউ আর পড়বেনা,
কেউ কিছু জানবেনা।
না জেনেই হয়ে যাবে A+ পাশ,
এভাবেই শিক্ষাকে দিয়ে দেবো বাঁশ।
১০০% হয়ে যাবে শিক্ষিতের হার,
শূন্যে নেমে আসবে শিক্ষা সবার।
হীরক রাজা: শিক্ষার হার বাড়ুক ক্ষতি নেই তাতে,
বই-পত্র যেন না থাকে কারো হাতে।
এরা যত বেশি পড়ে তত বেশি জানে,
আর যত বেশি জানে তত কম মানে।
দ্রুত শেষ কর কম্ম তোমার,
তা না হলে গবেষক গব্যচন্দ্রকে ডাকবো আবার।
গবেষক: তীষ্ট মহারাজ,
বাঙ্গালীকে বুঝতে পারা অতি কঠিন কাজ।
জোর করে যদি করেন পাঠশালা বন্ধ,
ক্রোধে ক্ষোভে তারা তবে হয়ে যাবে অন্ধ!
উদয়ন পণ্ডিতকে দিয়ে দিছি বাদ,
পাঠশালায় চলছে এখন পরিমল আবাদ।
অলিখিত ঘোষণা দিয়ে দেয়া হবে,
পরীক্ষার আগের রাত্রে প্রশ্ন পাওয়া যাবে।
মগজ ধোলাই করে সম্ভব হয়নি যা,
ছলে বলে কৌশলে করে দেবো তা।
হীরক রাজা: সাবাস গবেষক ফিল্টার চন্দ্র! অনেক বুদ্ধি তোমার!
কে আছিস গবেষককে দিয়ে যা মাল্য হীরার!