একাত্তরের ডিসেম্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি বেশি ছিল না বলে কটাক্ষ করেছেন বিশিস্ট মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আয়োজিত ‘দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কটাক্ষ করেন।
বঙ্গবীর সিদ্দিকী বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সবাই পাকিস্তানপন্থী সুবিধাভোগী ছিলেন। শুধু বেতন-ভাতার জন্য তারা পালিয়ে যাননি, বরং ঢাকায় অবস্থান করেছেন এবং এ কারণেই তারা মৃত্যুবরণ করেছেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করা হয় বলে উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে এইটুকু বোঝার ক্ষমতা ওই বুদ্ধিজীবীদের ছিল না।
গোলটেবিল বৈঠকের অন্য আলোচকরা চলমান রাজনীতির অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেও কাদের সিদ্দিকী হঠাত করেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আক্রমণ করেন।
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে দেশ স্বাধীন হবে- বাংলাদেশের ওই বুদ্ধিজীবীরা যদি এটা বুঝতে পারতেন, এটি যদি তাদের বুদ্ধিতে কুলাতো, অতো বুদ্ধি যদি তাদের থাকতো, তাহলে তারা নভেম্বরের শেষদিকে ঢাকা থেকে পালাতেন। তারা মনে করেছেন, এই দেশ স্বাধীন-টাধিন হবে না, আর হলেও কতদিনে হবে (তার ঠিক নেই)। আমরা আরো দু’চার বছর বেতন-টেতন ঠিকমতো নিয়ে ঢাকা শহরে ঠিকই থাকতে পারবো।”
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, “যে মানুষগুলো পাকিস্তান রক্ষার জন্য (ডিসেম্বরের) ১৩/১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজেদের সমস্ত মেধা পাকিস্তানকে দান করেছেন, তাদেরকে আমরা কি-যে সম্মান দিলাম!”
জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রবের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমূখ।
মঙ্গলবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্যের নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছেন প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি শাহীন রেজা নুর।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩