মাই পরানের পরান জানের জান কৈলজার টুকরা লুল ভাইয়েরা ১ কদম আউগায়া বহেন আর চুশিল সমাজ পর্দার অন্তরালে মাল্টি সহ পজিশন লন।
এই কিচ্ছার জন্মকাল আমি যহন কলেজে পড়ি।ঈদের ছুটিতে ঢাকা থাইক্যা গ্রামে গেলাম কোরবানীর গোশত খাইয়া আমার ২ মণ ওজনের শুকনা শইলডার একটা গতি করতে
আমার এক আব্বাত্তো ভাই আছে নাম আসিফ।গ্রীষ্ম বর্ষা শীতে যার নাক দিয়া বানের পানির লাহান কনডেন্সড মিল্ক পড়ে তিনি আবার পাশের বাড়ির লায়লা আফারে হালকার উফরে ঝাপসা লাইক মারে।তয় লায়লা আফার কেহেরমান মার্কা ভাইয়ের ডরে ইটিশ পিটিশ করতে গিয়াও কামিয়াব হৈতারেনা
উনার গুনের মইদ্যে ১ টাই গুন যে উনি খুব ভালো হাডুডু খেলতে পারে।আমাগো গ্রামে প্রতি ঈদের আগে একটা হাডুডু খেলার এন্তেজাম হয়।ঐবারো ব্যাতিক্রম হইলো না।খেলার আগের দিন সন্ধায় ভাই গেলো লায়লা আফার লগে বাশঁঝাড়ে বাংলা চিনেমার লাহান প্রেমিকার দোয়া লইতে।একটু পরে দেহি ভাই আমার হাতে লায়লা আফার ওড়না হাতে দাত কেলাইয়া কেলাইয়া আইতাছে ।আমি হেরে দেইখ্যাই চিক্কুর শুরু করলাম।ভাই করছো কি ? তুমারে বালা মনে করছিলাম।শেষমেষ তুমি কারে লুটি নিলা? ..
কইতে না কইতেই ভাই দিলো আমারে ঠাডায়া এক বন কয় অরে নাদান,ওরে অবুঝ এইডা লায়লাই আমারে দিছে।কাইলকা মাথায়া বাইন্ধা নারায়ে তাকবীর কইয়া এন্টি পার্টির উফরে ঝাপায়া পড়ুম।দেখবি কেমতে কোপায়া ভাজ কৈরা ফালামু
সেইদিন বুঝলাম বাংলা চিনেমায় যা দেহায় মিছা দেহায় না।রাইতে দেহি আর ভাইয়ের ঘুম আসেনা খালি ওড়না লইয়া ডাইনে বামে গইড় দেয় কৈলাম ভাই ঘুমাও না কেন ? কয় লায়লার কথা মনে পড়ে দেখ দেখ লায়লার ওড়নায় কি সুন্দর গুলাপ ফুলের গন্ধ :#> কইয়াই আমার নাকের সামনে ধরলো ।মনে হৈলো হনুলুলুর ডাস্টবিনের চুক্কা বদ গন্ধ আমার নাকে এটাক দিলো :-& কুনুমতে কৈলাম হ ভাই বিরাট সুবাস !!
যেই মজনু পুরানা ওড়না পাইলে ছাড়েনা সেই লোক আমার নয়া লুংগি পাইলে ছাড়বো কিনা সেই সন্দেহে লুংগিরে আন্ধা গিট্টা মাইরা দোয়া দরুদ পইরা ইজ্জত আল্লাহর কাছে সপেঁ দিয়া ঘুমাইয়া পড়লাম।
পরেরদিন খেলার মাঠে গিয়া খেলা শুরু হইতেই দেখি আমাগো দলের অবস্থা সুবিধার না।হঠাৎ আসিফ ভাইয়ে কয় ঐ চেয়ারম্যান জলদি যা আমার ঘরের বালিশের তলে থাইক্কা জিনিসটা লইয়া আয়।
আমিও বাংলা ছবির সাইড হিরোর লাহান গোবর পাড়ায়া,মুরব্বির চোখ ফাকিঁ দিয়া উসাইন বোল্টের লাহান খিচ্চা লউড় দিলাম।এক লউড়ে বাড়িত আয়া লায়লা আফার প্রেমের নিদর্শন লইয়া ভাইয়ের কাছে জমা দিলাম ভাইয়ে দেহি হেইডা মাথায় বাইন্ধা পুরা লায়কের লাহান খেলা শুরু করলো।৫ মিনিটেই দেহি ভাই আমার এন্টি পার্টির সব সাফা কইরা দিলো।আর পায় কেডা আমরা তো খুশিতে ভাইরে কান্ধে লইয়া বাড়ির দিকে হাটা দিলাম বাড়ির সামনে আইতেই দেহি লায়লা আফার কেহের মান ভাই কন্চি হাতে আসিফ ভাইয়ের উফরে ঝাপায়া পড়লো।
শালা আমার ভইনের নয়া ওড়না তুই পাইলি কৈ? কে বাচাঁবে তোকে ? হু হু হা হা
ভাইয়ে কয় কেন আমার ভাই আছেনা লগে ?
আমি মিনমিন কৈরা কইলাম আমি ছুডু মানুষ ,আমি দুধভাত,খেলতাম না।
আমারে ছাড়ান দেন।
এহেন বিপদজনক অবস্থা দেইখ্যা আমি চামের উফরে ঠ্যাং ২ ডা কান্ধে লইয়া খেইচ্চা দৌড় দিলাম।
একটু পরে দেহি ভাইয়ে লেংরাইয়া লেংরাইয়া আইতাছে।চউখমুখ শুকায়া কৈলাম ভাই বেশি পেদাঁইছে? খাড়াও এর বদলা যদি আমি না লৈছি আমার নাম চেয়ারম্যান ই না
পরেরদিন নদীতে গোসল করতে গিয়া দেহি লায়লার ঐ বিখাউজ ভাই ও আইছে।হেরে দেইক্কা তো আসিফ ভাই পারলে উল্টা সাতার শুরু করে।আমি কৈলাম খাড়াও।আমার তেলেসমাতি দেহো
ইয়ালি কৈয়া একদম লইয়া এক ডুবে পানির তল দিয়ে লায়লার ভাইয়ের কাছে গেলাম গা পরের কাম যা করছি ফেলপস,ইয়ান থর্পের মতোন সাতারু বেডারাও পারতো না একটানে ভাইজানের লুংগি খান খুইল্লা দিয়া আবার আগের পজিশনে আয়া পড়লাম বালা মাইনসের মতোন।উকটু পরে দেহি ঢেউয়ে ঢেউয়ে লুংগি ভাইসা যাইতাছে।আর সবাই মিল্লা চিক্কুর শুরু করলাম গেলোরে গেলো কার লুংগি ভাইস্যা গেলোরে ঘাটের মাইয়া,পোলা আন্ডা বাইচ্চা সবাই মিল্লা হাসে আর ঐদিকে লায়লার ভাই লুংগির পিছনে সাতরায়
এর পরে ঐ পোলায় আর কুনোদিন আমার লগে কথা কয় নাই ;
উৎসর্গ : গেমার বয়,নোবিতা রিফু এবং নাফিজ মুনতাসির ভাই কে।