ইয়ো ম্যানস এন্ড মেনিস দিস ইজ হয় চেয়ারম্যান ০০৭ রিটার্ন আইছি এগেইন উইথ লুল ইস্টোরি।সো ডিয়ার চুশিল বেরাদার এন্ড ছাইয়াস ফিলিজ গু ব্যাকছাইড অ্যান্ড সাক ললিপপ আর ডিয়ার লুল ভাইয়েরা দূরে কেন আউগায়া বহেন
ছুডু বেলায় বাংলা ছিনেমা দেহেন নাই এমুন মুমিন মুসলমান মনে হয় এই ব্লগে নাই,থাকলেও চিপায় যান।অহনে ডিস্টাপ দিয়েন না যাই হোক আমার মতোন দুধের অবলা শিশুও শুক্কুরবার দিনে ২ টেকার বুট লইয়া সবাইরে ঠেলা দিয়া চোখ ২ টা রসগোল্লার লাহ বড়ো বড়ো কৈরা টিভির সামনে বইয়া যাইতাম।নায়িকার চউখ্যের পাত্তি পড়লেও আমি পাত্তি ফালাইতাম না।সো কুনু সিন সিনারির বাপের খেমতা আছিলো না আমার চউখরে পল্টি মারে।পরমান চান ?
নায়িকার হাতে আচার নাইলে তেতুল দেখলেই যার ওয়ারিশ হেয় জাননের আগে আমি জানতাম।খাড়ার উফরে চিক্কন সুরে মাইক মাইরা বাসার সবাইরে জানান দিতাম " বেডির বাইচ্চা অইবো " মাঝে মইদ্যে আম্মা ঘষেটি বেগম লুক দিলেও আমি জয়ের আনন্দে দাত কেলাইতাম আর আন্টিগো বাহবা কামাইতাম।আর বন্ধু বান্দুবি কইতো কিরে বেডা বাইচ্চা কার তোর না আলমগীরের ? তুই কেমতে আগে ভাগে বুঝলি ?শুনিয়া হেই বয়সেও আমি বেফুক পুলক অনুভব করতাম
যই হোক বাংলা ছবিতে লুটে নেওয়া নেওয়ির দৃশ্য খুব ভালা পাইতাম তয় বুঝতাম না কি এমুন জিনিস যে না্য়িকা দেয়না আর ভিলনে না লইয়া যায়না? এই জিনিস আমার ক্ষিরার ন্যায় কচি মনে বেফুক দাগ কাটিলো
আমাগো কয়েক বন্ধুর কাম আছিলো প্র্তি শুক্কুরবার ছবিতে যা দেখতাম তা সন্ধা সময় বাইরে গিয়া ডায়লগ মারা আর অভিনয় করা ।একদিন বাইরে খেলতে গিয়া ১ বন্ধুরে কইলাম আয় আইজকা তোরে আমি লুটি নিমু।আরেক বন্ধুরে বানাইলাম নায়ক মানে সে আইসা বাচাইবো ।যাই হোক লুটতে গিয়া দেখি টেস নাই হঠাৎ বেরেইন এ ইয়াদ দিলো আরে পুলা মাইনসেরে লুইট্যা ফায়দা কি? সাইডে চায়া দেহি ঐ পোলার ভইনের শাড়ি।আস্তে কইরা কইলাম এইটা পেচায় ল! শালায় না করতেই দিলাম এক বন চটকনা! এরপরেও ২ টেকার পেয়াজুর লোভ দেখায়া শাড়ি কুনুমতে দিলাম পেচাইয়া ।এইবার আসল মজাক,দেহি মনের মইদ্যে লুলামি করতে মুন্চায় ।হো হু হা হা.. কে বাচাবে সুন্দরি ?খাইছি তোরে কইয়া ঝাপাইয়া পড়লাম ।
দোস্ত ও দেহি আরেক কাঠি সরেস কয় শয়তান তুই আমার দেহ পাবিনা কারন নিচে হাফপেন্টের লগে আন্ডুও পড়ছি মনে মনে কৈ কস্কি মমিন? তবুও সর্বশক্তি দিয়া যহন হের ইজ্জত বাজেয়াপ্ত করার টেরাই দিতাছি এমুন সময় পিছন থাইকা কেডায় জানি আমার কান ধইরা সরল দোলকের লাহান লটকাইয়া ফালাইলো চাইয়া দেহি খালাম্মা ।হের আরেক হাতে নায়কের কান ধরা
কয় কিরে কি করস? আমি ৩৩ দন্ত বিকশিত কইরা একটা মাছুম লুক দিয়া কৈলাম খালাম্মা লুটালুটি খেলি কইয়া ই দিলাম খিচ্চা দৌড়।পরের ২-১ সপ্তাহ আর হেইদিকে যাই নাই
এই দুঃখে ঠিক করলাম না আর ছবি না, এইবার আলিফ লায়লার কেহেরমান হমু।চেহার,বডি সবই ঠিক আছে খালি দরকার একখান তলোয়ার ।আমার প্যান প্যানানিতে মুগ্ধ হইয়া আমার গুনমুগ্ধ মা কাঠ কাইট্টা দিলো একখান তরবারী বানায়া যদিও যথারিতী আমার বদমাইশ ভইনে ভেটো দিছিলো।অবশ্য পরে মাঝে মইদ্যে ২-৪ বাড়ি দিয়া হের ভেটো দেওনের সাধ ভুলায়া দিছি
পত্তেক দিন মাঠে গিয়া বন্ধু কাউরে হাতে একটা লাঠি ধরায়া দিতাম।কৈতাম তুই সিনবাদ আর আমি কেহেরমান হে শয়তান সাহায্য করো কইয়া পোলার হাতের লাঠি আমার কাঠের লাঠি দিয়া ২-৩ বাড়িতে কোপাইয়া ভাজ কইরা রাজ্য জয়ীর বেশে ঘরে ফিরতাম আর মন মেজাজ বেশি ভালো থাকলে মাথার ২-৪ টা ছুল ছিইড়্যা হো হো হা হা কইয়া কেহেরমানের লাহান ভইনেরে নিরস্ত্র অবস্থায় হামলা কইরা ২-১ খান বাড়ি দিয়া খাটের তলে গিয়া লুকাইতাম
একদিন বাসার নিচে এলাকার সুন্দরি আপুরা সবাই মিল্লা খাজুরা গপ্পো করতাছিলো আর আমি এক পোলার লগে তলোয়ার ফাইট পিরাকটিশ দিতাছি।এমুন সময় পাশের বাসার বড়ো ভাই ভাব দেহানির লাইগ্যা আয়া কয় ছুডু ভাই আসো তোমারে আমি তলোয়ার ফাইট শিখাই,আমি একসময় যাত্রায় দেখছি কেমনে তলোয়ার চালায়
কৈলাম কাক্কু অফ যান।আমার কেহেরমানি তলোয়ারের কাছে যাত্রা ফাত্রার টাইম নাইক্কা।হেয় পার্ট্ লওনের লাইগ্যা কয় দেহি তাইলে আসো কেডা জিতে? আমাগো এই টানটান ডুয়েল দেখার লাইগা মাইয়ারা সব নাওয়াখাওয়া ভুইলা বইয়া গেলো
আমিও ২ হাতে বালু মাইখা শিম্পান্জির লাহান বুকের মইদ্যে ২ চাপড় দিয়া যুদ্ধে ঝাপায়া পড়লাম।পরথম রাউন্ডে হাইরা গেলাম ২য় রাউন্ডে আমি জিতলাম ভাইয়ের দেহি মাথা খারাপ মান সন্মানের সাবজেক্ট
৩য় রাউন্ডে ভাইরে চামে পাইয়া চউখ বুইন্জা ইয়া আলি কইয়া দিলাম তলোয়ার ধা্ক্কাইয়া ,কৈ গেলো কৈতারানি খালি ফড়ফড় শব্দ হুনলাম চাইয়া দেহি ভাইয়ের লুন্গি ছিইড়া ১ পার্ট উত্তর মেরুর দিকে বাতাসে উড়তাছে আরেক পার্ট পতাকার লাহান দক্ষিন মেরুর দিকে উড়তাছে।মাঝখানে ভাইজান ২ হাত কুমেরু ঢাইকা খিচ্চা দৌড় দিলো।আর আমিও বিজয়ীর বেশে আফাগো নয়নের মনি হইয়া বাসায় প্রত্যাবর্তন করলাম
লেখাখান ছুডু ভাই ফান্টা ,মোঃ আলাউল হক সৌরভ ও আমি বন্য কে উৎসর্গ করলাম