*
*
*
*
*
*
:>
আগেই কই চুশিল সমাজ মাইনাচ সহ তফাতে অবস্থান নেন ,বাকিরা পিলাচ বাটন হাতে লইয়া আ্উগাইয়া বহেন।
তহন আমার চুডু বয়স।কেলাস ৪ কি ৫ এ পড়ি।রোজার মাস ,ইস্কুল ও বন্ধ।কাম নাই তাই ফুটকা ভইরা খাই আর বাইরে গিয়া আগের রাইতের আলিফ লায়লার কেহেরমান আর সিন্দাবাদের পার্ট করি,মাইয়াগো লগে কুতকুত আর কানামাছি খেলি।
মায়ে আমার চাপে পইড়া লাঠি দিয়া একখান সোলেমানি তরবারি বানাইয়া দিছিলো।সকাল হইতেই সিন্দবাদর লাহান "ইয়া আল্লাহ শক্তি দাও" কইয়া আমার অবলা ভইনের উফরে ঝাপায়া পড়তাম।আর চুল ছিইড়্যা কেহেরমানি পার্ট লইতাম ( যার কারনে বর্তমানে আমার চন্দির মাল খুব কম ই টিইক্কা আছে ) কিন্তু আমার কপালে বুঝি এতো সুখ সইলো না। অহনো মনে পড়লে শইল্ল্যে কাটা দিয়া উঠে।
একদিন রাইতের বেলা এক খান আমপারা কায়দা আর ১ প্যাকেট বেলা বিস্কুট হাতে ধরাইয়া দিয়া বাপে কইলো ,কাইল থাইকা মক্তবে যাইবা ঈমানি শিক্ষার লাইগা আর হুজুর রে বিস্কুটের প্যাকেট দিয়া কইবা সব পোলাপাইন রে ভাগ কইরা দিতে।
আমি তো চউখ্যেমুখে আন্ধাইর দেখলাম।মায়ের দিকে মাছুম একটা লুক লইয়া চাইলাম সাহায্যের আশায়।লেকিন না, মায়ে পুরাই কিরকেট আম্পায়ারের লাহান আমার আবেদন নাকচ কইরা দিল ।মনে হইলো তবে কি কাইল থাইকা
@ আমি সকাল ৯ টা পর্যন্ত ঘুমাইতে পারমু না?
@ রোকেয়া আপার লগে কুতকুত খেলতে পারমু না?
@ সিন্দাবাদের লাহান তলোয়ার ফাইটিং বন?
@ সকাল বেলা কারটুন দেহা অইবো না?
ভাবতেই ১০ মাসের পোয়াতি বেডির লাহান মাতাডা চক্কর দিয়া উঠলো। :-&
মনের দু:খে ঘুমাইয়া গেলাম।পরের দিন এক বোগলে আমপারা কায়দা আরেক বোগলে বেলা বিস্কুট লইয়া বাপ মায়েরে সেলাম কইরা বিদ্যার্জনের জন্য বাইর হয়া গেলাম।
অর্ধেক পথ যাইতেই চিন্তা করলাম বিস্কুট কিনছে আমার বাপে,পোলাপাইনরে দিমু কেন? ভাবতে দেরী মাগার খাইতে দেরী করলাম না,খুইলাই ৫-৬ টা চালান কইরা দিলাম।অহনে বাকি গুলান লইয়া কি করি? নগদে পান্জাবি আর পায়জামার পকেটে ভইরা লইলাম।আরো বাকি রইলো যে কয়ডা ঐগুলান খাইতে খাইতে হাটা দিলাম।
মক্তবে যাইতেই হুজুর আমারে দেইখা কয় "সালাম স্যার, আফনে কষ্ট কইরা আইলেন কেন? আওনের কথা সকাল ৭ টায় অহনে বাজে ৭ টা ২০ কি ছুটির ঘন্টা বাজাইতেন আইছেন নি?"
আমি তো আর কইতে পারিনা রাস্তায় খাওনের বিরতি লইছিলাম।হেইদিন পড়া শেষ কইরা বাসায় আয়া পড়লাম।
২০-২৫ জন পোলাপাইন একলগে পড়তাম।পরতেক দিন সকালে যাই সুর কইরা আলিফ ,বা তা ছা পড়ি।
২ দিন পরের ঘটনা, মক্তব থাইকা আইয়া মায়ের কইলাম নাস্তা দেও।
মায়ে কয় কেন ? বেলা বিস্কুট শেষ?
আমি কই মায়ে জানলো কেমতে?
মনে পড়লো আমি হালায় আবাল বিস্কুট যে পকেটে হান্দাইছিলাম হেইগুলান আর ভক্ষন করা হয় নাই।মায়ে আমারে কানে ধইরা আলমারির কাছে লয়া গেলো। দেহি আমার সাধের বেলা বিসকুটের লাইগা এসেম্বলির লাহান পিটি কইরা পিপড়া লাইন দিছে ।মায়ে কয় আইজকা এইগুলান খায়া শেষ কর।
কইয়া রাখি আমাগো হুজুরের আবার শাস্তি দেওনের বিভিন্ন তরিকা আছিলো।যেমন- ১-কান ধইরা খাড়ানো
ক, এক পায়ে
খ, ২ পায়ে
২- কুমড়া ছেংগি
( মাথা নোয়াইয়া হাত ঠেংগের নিচ দিয়া নিয়া কান ধরা,সে এক অপুরুপ সিন সিনারি।যদিও হুজুর এই শাস্তিডা মাইয়াগো দিতোনা।আপচুচ..সবখানেই লিংগ বৈষম্য।
৩- বেতের বাড়ি
ক, হাতে
খ, পশ্চাতদেশে
৪- বেতের বাড়ি দূর থাইক্কা লম্বা লাডি থাকতো।ঐডা দিয়ে মাথায় বাড়ি দিতো।
৫- ১ ঘন্টা আমপারা কায়দা হাতে হুজুরের পাশে খাড়াইয়া থাকা আর হুজুরের আংগুল ফুটাইয়া দেওন্তি আর কতো কি....
একদিন সকাল বেলা আম্মা আমারে নাস্তা দিলো আলু ভাজি দিয়া রুটি।আমি কইলাম কাইলকা রাত্রে শুটকি দিয়া মুলা রানছিলা যে ঐডা কই?
কয় রাইতের তরকারি অহনে খাওনের কাম নাই।
আমি কইলাম না খামু দেও।
আম্মারে জোর করনে পরে গরম কইরা দিলো।খাইয়া গেলাম মক্তবে।একটু পরে দেহি হুজুরে রানিক্ষেত মুরগির লাহান ঝিমায় :-< ।চামের উফরে আমি লগের দোস্তের লগে খাজুরা ইস্টরি শুরু কইরা দিলাম।
বেত্তামিজজজজজ...
হুজুরে দেহি ঘুমে ইস্তফা দিয়া আমার দিকে এনাকোন্ডা কাল নাগিনির লাহান চাইয়া আছে।
কয় এদিকে আয়।কুমড়াছেংগি দে
হাতেনাতে খাইলাম ধরা
এখন আর কি করা?
কুমড়াছেংগি দিতে হবে
মান ইজ্জত সবি যাবে।
মাইয়ারা মুচকি হাসে :>
কেউ যে নাই আমার পাশে :-&
যেই না ময়ুরির লাহান ৩৬" মান্জাখান বেকাইয়া কুমড়া হইতাম গেছি, কোন রকম আবহাওয়া বুলেটিন ছাড়াই পশ্চাতদেশ দিয়া বিকট শব্দে ১০ মাত্রার ঝড়ো ও দমকা হাওয়া বইয়া গেলো।আর যায় কই ঈদের আগেই পোলাপাইনের মুখে চান্দের হাসি বইয়া গেলো।
মাগার ১০ সেকেন্ডা যাইতে না যাইতেই মাতম শুরু হয়া গেলো।হইবো না শুটকি আর মুলার ডাইরেক্ট একশান শুরু হয়া গেছে যে।সবাই দিলো খেইচ্চা দৌড়।আমিও শরমে মরমে দৌড়ায়া বাসায় আয়া পড়লামএরপরে আর মক্তবে যাই নাই,আব্বায় বাসায় হুজুর রাখছিলো।শরমের কথা কি কমু এই হুজুর ছিলো সেই একই হুজুর। :!> :!> :!>
[লেখাটি উৎসর্গ করলাম আমার কিছু প্রিয় এবং নিয়মিত পাঠক( মিথিলা,সুলতানা,চারশোবিশ,বাহার ভাই,.... ) কে যারা এখনো সেফ হননি,কিন্তু মেইল করে তাদের ভালোলাগার কথা আমাকে জানাতে ভোলেন না।]