উপন্যাসের যে চরিত্রের প্রেমে প্রথম পড়ি সেটা হচ্ছে "শুভ্র" পৃথিবীর শুদ্ধতম পুরুষমানুষ। অনেক বেশি ভালো লাগা ছিল এই শুভ্র চরিত্রে কারন মনে হতো শুদ্ধতম শুধু শুভ্রই আর কেউইনা কিছুদিন আগে একজনকে দেখলাম হিমুকে নিয়ে লিখতে আমারও খুব ইচ্ছে হল শুভ্রকে নিয়ে লিখি ,লিখে ফেললাম।অনেকদিন হল, বিপত্তি ঘটলো যখন সামুতে দিব নিজের লিখা অনেক বার পড়লাম না হুমায়ুন স্যারের ধারে কাছেও যায়নি আসলে তা সম্ভব না, একজনের সৃষ্টি করা চরিত্র অন্য একজন সেভাবে লিখতে পারেনা। আমার মত নগন্য একজনের কাছেতো স্বপ্ন তাও অনেক বেশি ভালবাসা নিয়ে ক্ষুদ্র একটা প্রচেষ্টা আমার শুভ্র লিখা,আশা করছি ভালো লাগবে......।
শুভ্র টেবিলের নিচে মাথা নিচু করে কি যেন খুজছে।না পেয়ে মাথা উঠিয়ে মোটা কালো ফ্রেমের চশমাটা মধ্য অঙ্গুলি দিয়ে চাপ দিয়ে ঠিক করে এদিক সেদিক তাকিয়ে বলল
-কেউ কি আমাকে একটা স্কেল দিতে পারে??
কারো কাছে সরাসরি কিছু চাইবেনা এটার তার বদ অভ্যাস না সে সরাসরি চাইতে লজ্জা পায়। নীরার কাছে না চাওয়া সত্ত্বেও নীরাই তাকে স্কেলটা এগিয়ে দিল।শুভ্র ছেলেটার প্রতি নীরার অনেক মায়া যদিও সে তা দেখায় না। একসাথে বেশ কয়েকজন ছেলে মেয়ে তারা স্যারের বাসায় একসাথে পড়ে। প্রতিদিন না শুধু শুক্র বার স্যার সবার একসাথে অংক পরীক্ষা নেয়।শুভ্রর বাবার প্রভাব প্রতিপত্তি একটু বেশি এটা সবার জানা তাই বলে যে স্যার তাকে সমাদর একটু বেশি করে তা নয় ,শুভ্র ছাত্র হিসেবে মেধাবী নম্র ভদ্র সে হিসেবেই স্যারের পছন্দের তালিকায় আছে।ঝুমুর মেয়েটা শুভ্রকে ম্যাচের কাঠি ম্যাচের কাঠি বলে উক্তক্ত করে।শুভ্র চুপচাপ সহ্য করে যায়,মাঝে মাঝে প্রতিউত্তর করতে যায় তবে ঝুমুর যে হারে চেপে ধরে তার সাথে পেরে উঠা কঠিন হয়ে পড়ে। নীরার এসব একদমই ভালো লাগেনা। মেয়েটা প্রানবন্ত,সুন্দরী, মন ভালো শুধু একটাই বাজে স্বভাব মানুষকে খেপানো।মানুষকে খেপিয়ে যেন তার তৃপ্তি ।ঝুমুর যেকোন মানুষকে উল্টাপাল্টা নাম করে অথবা আসল নামের বিকৃত করে ডাকা শুরু করে। একবার কি হল তাদের ব্যাচে এক নতুন মেয়ে এসেছে নাম তার তানিয়া।মেয়ে দৈঘে প্রস্থে তানিয়া একটু ছোট তাই ঝুমুর তার নাম রেখেছে কদুর বিচি।তানিয়া কষ্টে শোকে নিরুপায়।শেষ মেষ কিছু না পেরে স্যারকে জানালো।স্যার কড়া শাসন ভঙ্গিতে ঝুমুরকে হালকা একটা ধকম দিল।তানিয়ার বোধ হয় তা পছন্দ হয়নি মেয়েটা কষ্ট করে একটা মাস শেষ করে আর পড়তে আসেনি।নীরা ঝুমুরকে কিছু বলতে গেলেই ঝুমুর তার উপরই চড়াও হয়। অগত্যা নীরা চুপ মেরে যায়।তবে ঝুমুরকে কাবু করতে পারে এক মাত্র শুভ সে উলটা ঝুমুরকে নাম দিয়েছে মুরগি,সারাক্ষন মুরগির মতন ক্ক ক...করে তাই এই নামকরণ। তাদের এইসব বাক বিতণ্ডায় নীরা যেন শুভ্রের একজন ঠিক করা উকিল। ঝগড়ার এক পর্যায় শুভ্র নীরার দিকে অসহায় দৃষ্টি নিয়ে তাকায় নীরার কাছে যেন আশ্রয় খুঁজে।
স্কুল থেকে ফেরার পথে শুভ্র পথে দাঁড়িয়ে আছে।নীরা ভয়ে চুপসে যায়।এই বেকুব ছেলে কি করতে যাচ্ছে?? এই নম্র ভদ্র ছেলেটাকে নিশ্চয়ই তার বন্ধুরা কেউ পড়িয়ে ভুল ভাল কান পট্টি দিয়ে পাঠিয়েছে।নাহ! তেমন কোন আজে বাজে প্রস্তাব নয়।শুভ্র নীরাকে তার বন্ধু বানাতে চায়।পারমানেন্ট উকিল !!বন্ধু হয়ে পাশে থাকবে সব সময় সহায় থাকবে। নীরা কোন উত্তর না দিয়ে চলে আসে কারন সেতো জানে শুভ্র তার বন্ধু ঘটা করে বলতে হবে কেন।শুভ্রকে এভাবে অপমান করাতে শুভ্রের খুব গায়ে লেগেছে।ঝুমুরের আজে বাজে কথায় শুভ্রের মেজাজ খারাপ হয় তবে কখনও মন খারাপ হয়না। আজ নীরার এই নির্লিপ্ত অদ্ভুত আচরনে শুভ্রের ভীষণ মন খারাপ হয়েছে।সেদিনের পর থেকে শুভ্র নীরার দিকে অভিমান নিয়ে তাকায়,নীরা কখনও যায়নি সেই অভিমান ভাঙ্গাতে।মনে মনে ভাবে এই বোকা ছেলেটার একটু অভিমান হওয়া দরকার আছে।স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে শুভ্রকে উপস্থপনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাথে আরও দুজন মেয়ে সহপাঠী।কথা কম বললেও সবার প্রিয় মেধাবী ছাত্র ,শুভ্র র রাশ ভারী কণ্ঠ। ম্যাডাম এবং স্যারদের তাই ধারনা ।তাই তাকেই বেছে নেয়া হয়েছে।অনুশীলন এর সময় কয়েকবার নীরা শুভ্রকে দেখেছে আড় চোখে কিন্তু শুভ্রর অভিমানী চোখ এখনও বদলায়নি। আর সময় ও হয়ে উঠেনি।
মাধ্যমিকের পালা শেষ করে সবাই উচ্চ মাধ্যমিকে চলে যায়।জীবনের গতি বদলায়।স্রোতের মুখে জোয়ারে অনেকে ভেসে যায়।কেউ কুল পায় কেউ পায়না।শুভ্রর বাবা সাইদুর রহমান সাহেব তার ছেলেকে কম্পিউটার কিনে দিয়েছেন।শুভ্রর কোন বন্ধু কম্পিউটার পায়নি শুধু তার বাবাই তাকে কিনে দিয়েছেন।আশেপাশের বন্ধুদের তুলনায় সে অনেক বেশি কিছু পেয়ে বড় হচ্ছে তারপর ও তার হাহাকার কি যেন নেই!!
শুভ্র এখন কলেজে সেকেন্ড ইয়ার পড়ে। কিছুদিন হল তার ভেতর আত্নহত্যা করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। বাবার সাথে শুভ্র দুরুত্ব বজায় চলে।খুব বেশি কথাও হয়না।বাবা ব্যবাসার কাজে ব্যস্ত থাকেন।ঘরে তার মা ছাড়া আর একজন আছে যে তাকে একটু বুঝতে পারে ।তার ছোট মামা ইকনমিক্স এ অনার্স করছে। মামাকে কিছু বললেই মামা কথাটা হেসে উড়িয়ে দেন।বলেন এই বয়সে অনেক ব্যাপার কাজ করে এগুলো পরে ঠিক হয়ে যাবে।শেষে বাধ্য হয়ে কলেজের প্রফেসর সাথে যোগাযোগ করে।শুভ্রদের কলেজে মানসিক সমস্যা দেখা দিলে সেইসব ছাত্রদের জন্য স্পেশাল কন্সাল্টেন্ট আছে। তিনি শুভ্রকে শুইয়ে দিলেন তারপর চোখের সামনে চেইনের মাথায় একটা ঘড়ি লাগানো পেন্ডুলাম দোলাতে থাকলেন।শুভ্র র হিপনোটাইজের এই কৌশল জানা আছে।কিছুক্ষন পর চোখ খুলে রাখতে পারছেনা শুভ্র।হ্যা, কৌশল টা তার উপর কাজ করছে।তারপর আর কিছু মনে নেই। তারপর থেকে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।আত্বহত্যার প্রবণতা দমে গেছে।
***
কলিং বেলের আওয়াজ শুনে দরজার খুলতে শুভ্রর মা এগিয়ে গেলেন।গিয়ে দেখলেন একটা মেয়ে শুভ্রকে খুঁজছে, দেখেই তিনি দরজা না খুলে শুভ্রকে বলতে গেলেন।মেইন দরজা খুললে সামনে ছোট একটা কলাপ্সিবল গেই্ট আছে।অতিমাত্রায় সতর্কতা অবলম্বনে এই ব্যবস্থা অনেক বাসায় রাখা হয়। সিঁড়ি দিয়ে পার হয়ে নিচে আরও একটা গেইট।দোতলায় শুভ্ররা থাকে।মেইন দরজা খোলা রেখে ই তিনি ভেতরে গেলেন।একটু পরে শুভ্র চাবি নিয়ে দরজা খুলতে আসল। নীরা দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে।শুভ্র একটুও বিচলিত হয়নি মনে হয় সে জানতো কোন একদিন নীরা ঠিক এভাবেই আসবে।নীরা অবাক হল এই দেখে শুভ্র কেন অবাক হলনা।তাকে দেখে সরল সুন্দর অমায়িক হাসি দিয়ে শুধু বলল –
নীরা কেমন আছ?? “এসো”।
সুন্দর পরিপাটি ঘরের ড্রইং রুমে নীরাকে নিয়ে বসালোনা।সোজা তার ঘরে নিয়ে গেল।সুন্দর গোছানো একটা ঘর,বাম পাশে কম্পিউটার টেবিল তার সাথে একটা বইয়ের তাক গুছানো কিছু বই।ডান পাশে শুভ্রর খাট।টেবিলের একটু দূরে দরজার সাথে ছোট একটা বারান্দা।ঘরে দুইটা জানালা একটা খাটের সাথে অন্যটা বারান্দার সাথে লাগোয়া।
শুভ্রর বাবাকে ব্যবসার কাজে মাঝে মাঝে বিদেশে যেতে হয়| শুভ্র প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করেছে সেই সুবাদে শুভ্র কেনন এর একটা ক্যামেরা পেয়েছে| নীরাকে বের করে দেখালো আর নীরার একটা ছবি তুলতে আবদার করলো| নীরা না না করতে গিয়েও তুলতে দিল| শুভ্র র মা নাস্তা পাঠিয়েছেন | ফল আর আইসক্রিম |নীরা পা উঠিয়ে খাটে বসেছে জানালার পাসে| কোন এক অজানা কারনে মেয়েটার মন খারাপ ছিল শুভ্র জিজ্ঞেস করেছিল
নীরা তোমার মন খারাপ?
নীরা: হুম
শুভ্র আর কিছু জিজ্ঞেস করেনি গল্পের এক ফাকে আত্বহত্যা র ঘটনাটি নীরাকে বলেছে| শুনে নীরা হেসে দিল।নীরার সাথে অনেক্ষন গল্প হল। শুভ্রর জীবনে অনেক বেশি ভালো লাগার একটা সময় নীরা শুভ্রকে উপহার দিল।যা সে নিজেও জানেনা,শুধু জানে শুভ্র।নীরা চলে যাবে নীরাকে বিদায় দিতে শুভ্র নিছে নেমে এল।শুভ্রর খুব ইচ্ছে করছে নীরার সাথে আর একটু পথ হাটতে কিন্তু লজ্জায় বলতে পারছেনা।তাই গেইট থেকে বিদায়।নীরা চলে যাচ্ছে,...।।
শুভ্রকে মা খুজছেন রুমে নেই| বারান্দায় রকিং চেয়ারে বসে আছে|পরীক্ষা শেষ হালকা হালকা লাগছে। কোলে ক্যামেরা রাখা| বসে বসে নীরার ছবিটা দেখছিল|হালকা বেগুনি আর টিয়ার মিস্রনে স্ট্রাইপের একটা জামা পরেছিল সেদিন নীরা। অপরূপ সুন্দর লাগছে, নীরার সবকিছুতে মায়া শুভ্র দেখেছে এই মেয়েটা যখন চুপ করে থাকে তখন যেন বেশি কথা বলে|উচ্চ মাধ্যমিক ফাইনাল শেষ করে অনিচ্ছা সত্তেও বাবার কথা মত. শুভ্র মেডিকেল ভর্তি কোচিং এ ভর্তি হয়েছে |মা বারান্দায় এসে কাধেঁ এক হাত রাখলেন আর অন্য হাত দিয়ে মাথার চুল গুলো ঠিক করে দিতে দিতে বললেন-
মা: কি রে বাবা শরীর খারাপ লাগছে?
শুভ: না মা কিছু হয়নি|
শুভ্র র কথা শুনেই মা বুঝলো এই ছেলের ঠান্ডা লেগেছে | ছেলেটার ঠান্ডা লেগেই থাকে|
মা: আদা চা বানিয়ে দিব?খাবে?
শুভ্র: দিও করে, আর কিছুক্ষণ থাকো তারপর করে দিও|
শুভ্র : আচ্ছা মা ডাক্তার হওয়া কি খুব জরুরী?
মা: না জরুরী না| তবে তোমার বাবা চাচ্ছেন তুমি ডাক্তার হও. তুমি ছাত্র ভাল হ তে দোষ কি?
মা চলে গেল| শুভ্র চোখ বন্ধ করে দুলছে|এ পৃথিবীর সবকিছু এত কঠিন কেন? নাকি শুধু তার কাছেই জটিল লাগে অন্য কারও কাছে হয়ত সহজ|
দেড়বছর পার হয়ে গেছে।নীরার সাথে কোন যোগাযোগ নেই।একটা নাম্বার আছে নীরার বাবার জিপি নাম্বার।শুভ্রকে তার বাবা অনেক আগে মোবাইল কিনে দিয়েছিল, কলেজের শেষের দিকে সেই সুবাদে নীরার বাবার নাম্বার টা নিয়েছিল।বাবাকে মনে মনে একটা ধন্যবাদ দিল।কেমন আছে নিরা??অনেক বদলে গেছে হয়ত।এতদিন ডাক্তারি পড়ায় ব্যস্ত হয়ে নীরার সাথে এবং আর অনেকের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি।
নীরা বাবা ফয়েজ আহমেদ ফোনটা নীরাকে এনে দিল তার কোন বন্ধু যেন নীরাকে চায়।
নীরাঃ হ্যালো!
শুভ্রঃ কি খবর? কেমন আছ নীরা?
নীরাঃ আমতা আমতা করে বলল ভালো।
গলার স্বর একটু নামিয়ে বলল কে?
শুভ্রঃ অনেক বছর পর কথা হচ্ছে,বলতে পারো আমি কে?
গলার স্বর অচেনা।তাছাড়া পরিচিত সবার কাছে নীরার নাম্বার আছে কে হতে পারে।
নীরাঃ চিনতে পারলাম না।
শুভ্রঃ আমি শুভ্র!
নীরা অবাক হল শুভ্র নীরাকে ফোন করবে তা নীরা আশা করেনি।বন্ধুদের কাছে জেনেছে শুভ্র মেডিকেলে পড়ে কিন্তু কখনও যোগাযোগ করতে চায়নি।
নীরাঃ হুম ভালো। তোমার কি খবর??
শুভ্রঃভাল।(শুভ্রর গলায় বেশ উল্লাস যা নীরার গলায় নেই)
শুভ্রকে নিজের নাম্বারটা দিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলে বিদায় নিল।অনেকদিন পর শুভ্রর সাথে কথা হল ভালো ও লাগলো।
শুভ্র আলো নিভিয়ে অন্ধকার ঘরে শুয়ে আছে।কিছুক্ষণ ল্যাপটপে কাজ করেছে।ক্লান্ত লাগছে।নীরার সেই ছবিটা অতিযত্নে রেখেছে ল্যাপটপে।ছবিটা দেখে মনটা ভারী হয়ে গেছে। আজ নীরার হলুদ ,কাল নীরার বিয়ে ।শুভ্র গিয়েছিল নীরা অনেক করে যেতে বলেছে।সবাই হলুদ লাগিয়েছে হাতে শুধু শুভ্রকে নীরা হলুদ লাগাতে দিয়েছে গালে। নীরার হাসির আড়ালে একটু বিষাদ কি ছিল? যা শুভ্র দেখতে চেয়েছিল।নীরাকে বলা হয়নি তার অসংজ্ঞায়িত ভালবাসা ভাললাগার কথা।বরাবরই কিসের যেন বাধা অনুভব করেছে,বলি বলি করে বলা হয়নি।এই পৃথিবীর সকল সিদ্বান্ত বরাবর ই শুভ্রর কাছে জটিল হয়ে ধরা দিয়েছে যেন তার উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।তার মেনে নিতে কষ্ট হয় তাও মেনে নেয় নিরবে ,অভিযোগ করতে যায়না কখনও কারন তার জানা আছে এই পৃথিবীতে সুখ যত বড়ই হোক দুঃখটা কুমিরের মতন গব করে সুখটাকে খেয়ে ফেলে তখন দুঃখ হয়ে যায় বড়।তবে আজ কষ্ট বেশি হচ্ছে ভেতরে কোথায় যেন পিন পিন করে ব্যাথা , শুভ্রর চোখে জল! মনে হচ্ছে একটা শুন্য পৃথিবীতে যেন শুভ্রর বসবাস।
শুভ্রর শুন্য পৃথিবী!!
====***======***====