২ দিন ধরে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের লীলাভূমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে র্যাগ বিষয়ে ব্লগ, ফেসবুক, পত্রিকায় সাম্প্রতিক যে র্যাগিং ঘটনার কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণই গুজব। বাস্তবে কোনা ছাত্রী এমন কোনো ঘটানার সম্মুখীন হয়নি।
ব্লগার স্বর্ণমৃগ বা ফেসবুকে মাহবুব ভাই জাবির আই টি প্রথম বর্ষের ছাত্রীর উপর তা সিনিয়র আপুদের দ্বারা মানষিক- শারীরিক নির্যাতনের যে ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে সবার সহযোগিতা চেয়ে পোষ্ট করছেন তার জায়গা হতে সঠিক কাজটিই করেছেন। আমি তার পোষ্ট টি কে যথার্থই মূল্যবান মনে করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এবং ঐ ছাত্রীর সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশ্বস্থ করেছিলাম। জাবির বর্তমান অনেক শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী ব্লগার বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়েছেন। কারণ আমরা জাবির অংশ হিসেবে কোনোভাবেই চাইছিলাম না এরকম একটি বাজে ঘটনার ভিকটিম কেউ হোক। বিষয়টি নিয়ে ব্লগ, ফেসবুক তোলপাড় হয়ে যায়। কেউ জাবিকে বেশ্যালয়, মানিকের দালাল, কিংবা জাবির কোনো মেয়েকে বিয়ে করবো না, কেউ বলেছেন, জাবিতে ভর্তি হয়েই বড়ভাই বা পলিটিক্যাল লিডারদের কাছে দেহ বিসর্জন দিতে হয় নাহলে তাকে বের করে দেয়া হয় ইত্যাদি নানান ধরনের মন্তব্য পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিক ক্ষোভ প্রকাশেই সবাই হয়তো এগুলো বলেছেন, কেউ আবার অতি উৎসাহী হয়ে অতিরিক্ত করছেন। তবে অনুসন্ধানে দেখা যায় ঘটনাটির সাথে বাস্তবতার কোনো মিল ছিলনা। আমি বলছিনা যে জাবিতে র্যাগ ছিলনা বা হয়নি। র্যাগ হয়েছে। এছাড়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এবং সত্যতার ভিত্তিতে তাদের অপসারণ করা হয়েছে।
এখন জাবির সেই আগের অবস্থা নেই। প্রশাসন আগের চেয়ে অনেক কঠোর র্যাগ বিষয়ে। অনেকজন কেই বহিস্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে সাম্প্রতিক র্যাগের ঘটনা সত্যিই গুজব। কারো ভয় বা অস্থিরতা প্রকাশের কোনো কারণ নেই। আমরাও র্যাগকে না বলছি সবসময়।
ফেসবুক, ব্লগ ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এখন সবকিছুই সবাই জানার সুযোগ পায় এবং এর প্রভাব ও সমাজে পড়ছে। তাই আমার অনুরোধ পোষ্ট করার আগে যথেষ্ট সতর্কতা ও আন্তরিকতার সহিত পোষ্ট করুন সবাই।
বাংলানিউজ২৪.কম আজ এ বিষয়ে একটি লেখা প্রকাশ করেছে। আশা করি সবাই দেখবেন এবং আরো ভাল বুঝবেন।মেয়েদের উচ্চশিক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে “র্যাগিং গুজব”
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০