এই পার্ক আর ব্রিজের আইডিয়াটা আসে ১৯৯৯ সালের ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের ৫০ তম এনিভারসেরির সময়। নদীত তীরের ১৫০ হেক্টর জায়গা জুড়ে গড়েতোলা এ পার্কের কাজ শেষ হয় ২০০৪ সালে।
একাডেমিক ক্লাসের জন্য মাস তিনেক পর পরই যাওয়া হয় খেইলে। আর এই পার্ক বা ব্রীজ বিকেল বেলার সময়টা পার করার বেশ ভাল একটা জায়গা। চলুন তাহলে দেখে নেই পার্কটি কেমন-
পার্কটি সবার জন্য উন্মুক্ত আর এটাতে জার্মান সাইট থেকে ঢুকার অনেকগুলো গেইট থাকলেও ফ্রান্সের সাইট থেকে ঢুকার একটি গেইট চোখে পরল। আর অনেক বড় হওয়ায় ফ্রান্সের সাইটটা ঠিক মত ঘুরে শেষ করতে পারি নি। চলুন তাহলে পার্কে ঢুকা যাক। আমি জার্মান সাইট থেকে ঢুকব । আর ঠিক ব্রিকের সামনের গেইট দিয়ে ঢুকছি। যেহেতু ব্রিজটি শুধু পায়ে চলা বা সাইকেল নিয়ে পার হওয়া যায় তাই শুরুতেই বেড়িগেট পার হতে হল।
ব্রিজের উপর দিয়ে সামনের দিকে এগুনো যাক
এখানে এসে সামনের দিকে বামে যেতে হবে কারন ডান দিকের অংশে সিড়ি রয়েছে যেটি দিয়ে ঠিক নদীর পাড় থেকে ব্রিজে উঠা যায়
পেছনের দিকে একটা ছবি
হাটতে হাটতে আমরা ব্রিজের মাঝাখানে চলে এসেছি। এখানে এসে ব্রিজটি ২ দিকে চলে গেছে। বামদিকের সাইকেল চলার আর ডানদিকে পায়ে হেটে। আপনি পায়ে হেটে গেলে যে কোন সাইট দিয়েই যেতে পারেন কারন সাইকেলওয়ালারা আপনাকে পাশ কাটিয়ে যাবে।
ব্রিজের ঠিক মাঝখানের জায়গাটা আরো মজার। এখানে সারি সারি বেঞ্চ পাতা আছে বসার জন্য। এই খানে বসে জিরিয়ে নেয়া যায়। দারুন একটা জায়গা।
আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। দেখুন ব্রিজের কলামগুলো কি করে বানানো হয়েছে
আমরা ফ্রান্সের সীমানায় চলে এসেছি। আমার মোবাইলে ইতিমধ্যে মেসেজ চলে এসেছে ফ্রান্সের নেটোয়ার্কে স্বাগতম জানিয়ে।
ব্রিজের উপর থেকে ফ্রান্সের অংশ
ব্রিজ থেকে নামার পরেই ডান পাশে ফ্রান্সের অংশের গার্ডেনের একটা ম্যাপ দেয়া আছে
২০০৯ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারক উবামা এই পার্কে গিয়েছিলেন , তার ভিডিও দেখুন
আজ এ পর্যন্তই , সামুতে ইমেজ আপলোড করতে ভীষন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে । আগামি লেখায় গার্ডেনের ফ্রান্স অংশ আর জার্মান অংশে ঘুরিয়ে দেখাব । সে পর্যন্ত ভাল থাকবেন সবাই , ধন্যবাদ ।
প্রবাসে পরিভ্রমন ২- দুই দেশ এক বাগান ( Deux-Rives garden ) (পর্ব -২ )
প্রবাসে পরিভ্রমন ৩- দুই দেশ এক বাগান ( Deux-Rives garden ) (শেষ পর্ব )
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৭