খুব সিম্পল একটা সামাজিক আন্দোলন - কোটা সিস্টেম সংস্কার করে একটা ফেয়ার কোটা সিস্টেম রাখা। আহামরি অন্য কোন দাবীও নাই যা সরকারের পক্ষে রাখা সম্ভব না। শিক্ষামন্ত্রী বা সরকারের কোন প্রতিনিধি এই ছেলে-মেয়েগুলোর সাথে প্রথমদিকে বসলে কয়েকদিনেই আন্দোলন শেষ হয়ে যেত। কিন্তু না, আমরা হলাম ঘাড়ত্যাড়া জাতি। আমাদের সবার ঘাড়ের একটা করে রগ ত্যাড়া হলে রাজনৈতিক নেতাদের সবগুলো রগই ত্যাড়া। এইজন্য তারা সিদ্ধান্ত নিলেন আন্দোলন দমনের জন্য তাদের দামাল ছেলেরা রয়েছে, পাশাপাশি তাদেরল এনফোর্সমেন্ট বাহিনীগুলোতো রয়েছেই। যখন সরকারি দলের দামাল ছেলেরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা শুরু করে, শান্তিপূর্ণ একটা সামাজিক আন্দোলন ভয়াভহ একটা সহিংসতায় রূপ নেয়। আন্দোলনকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারের পক্ষের সবাই চড়াও হয়।
এতগুলো প্রান যাওয়ার পরে এখন সরকার আলোচনা বসেছে। এই আলোচনাটা আগে করে একশজনের বেশী লোকের প্রান যেত না?? তবে আলোচনার ফলাফল যাইহোক, এত মানুষের মৃত্যুর দায় আপনারা এড়াতে পারবেন না। এই অন্তত ১১০ জন মানুষের ভালোবাসার মানুষগুলো কখনও ক্ষমা করবে না। ইতিহাস আপনাদেরকে ক্ষমা করবে না। হায়েনার মত শক্তি প্রদর্শন আর বলপ্রয়োগ করে এই ন্যায্য আন্দোলন দমনের চেষ্টা করে আপনারা সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হাওয়ার মত একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিলেন। কারন আপনার ভুলে গেলেন যে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবির প্রতি দেশের সাধারন মানুষের সমর্থন রয়েছে।
দেশকে এই সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার পরেও আপনারদের সামনে এই সহিংসতা বন্ধ করার সহজ সমাধান আছে। সরকারের সব বাহিনীসব মাঠ থেকে সেনা বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিন, কারফিউ তুলে নিন, সর্বোপরি ছাত্রদের দাবীগুলো মেনে নিয়ে প্রত্যেকটা মৃত্যুর বিচার খুব দ্রুততম সময়ে করুন।
আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, এই প্রত্যশায় নতুন ভোরের অপেক্ষায়!!
নোট - মৃতের ১১০ সংখ্যাটা বিবিসি বাংলা থেকে নেওয়া আর ছবিটা গার্ডিয়ান থেকে নেওয়া।