আমি বিজ্ঞাপন জগতের মানুষ। নাটক বা টেলিভিশন মুভি বানানোর প্রতি তেমন একটা আগ্রহ নাই। খুব বেশি জানিও না এই সম্পর্কে। তবে বন্ধু বান্ধবদের অনুরোধে চেষ্টা করছি কিছু খোজ খবর নেয়ার। সেখান থেকে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। কিছু সমস্যা ফেস করছি। এই সমস্যা আমার একার নয়। নতুন কাজ করছে, বা করতে ইচ্ছুক, এমন অনেক তরুনদের কমন প্রবলেম।
প্রথম সমস্যা হচ্ছে, আপনি কোথায় টেলিভিশনের কাজ শিখবেন। ফিল্ম মেকিং এর উপর বাংলাদেশে কোন ইনসটিটিউশন নেই। এই ব্যাপার টা আমাকে অবাক করে, একটা ফ্রেমে কাজ করার জন্য যেখানে চারুকলার মত বিশাল একটা প্রতিষ্ঠান আছে, সেকেন্ডে ২৪ ফ্রেমে কাজ করার জন্য সেখানে কোন প্রতিষ্ঠান নেই। আমার বাইরের বন্ধু বান্ধব রা বেশ অবাক হয়, বলে- তোদের দেশের ছেলেমেয়েরা ফিল্ম মেকিং শিখে কোথায় ? এতগুলা টিভি চ্যানেল, টেকনিশিয়ান আসে কোথা হতে ? আকাশ থেকে তো আর হেল্প আসবে না। আসলেই তো তাই। আমি বলি- কেন ? কোন ডিরেক্টর বা মেকারের লেজ ধরে ধরে শিখবে। একটা ইউনিটে কোনভাবে প্রোডাকশনের কাজে লেগে থাকতে থাকতে শিখে যাবে। তারা হাসে, আমিও দুখ নিয়ে হাসি। আসলেই, এভাবে কি সম্ভব ? ডিএফআই বা বিএফআই , কিংবা স্ট্যামফোর্ডের কিছু স্টুডেন্ট আছে, যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পড়েছে সিনেমা নির্মান বিষয়ে। কিন্ত ইন্ডাস্ট্রিতে খুব একটা দেখা যায় না তাদের। কাজেই ফিল্ম মেকিংএবং টেলিভিশন সম্পর্কিত সাব্জেক্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ওপেন করা এখন সময়ের দাবী।
টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি একটা মহা ভেজাইল্যা যায়গা। আপনি যদি রিনাউন্ড কোন মেকার হন, তাহলে আপনার পিছনে স্পনসর লাইন লাগিয়ে ছুটবে। ছুটবে চ্যানেলের মানুষজন। বস একটা নাটক বানিয়ে দেন না ঈদের জন্য। যা টাকা দরকার হয়, আমরা দিবো। স্টোরি বা মেকিং যি হোক না কেন। মনে করেন গত ঈদে প্রচারিত ইফতেখার ফাহমীর "আমাদের গল্প", এয়ারটেল নিবেদিত। অর্থাৎ এশিয়াটিকের তত্বাবধানে (এয়ারটেলের সমস্ত কাজ এশিয়াটিকের আন্ডারে হয়), যাই হোক, আমাদের গল্প যে কি হইসে, আল্লাহ মালুম। যেমন বাজে মেকিং, তেমনি বাজে ক্যামেরার কাজ। অথচ প্রিশ্যুট মার্কেটিং এ এশিয়াটিক খরচ করেছে লাখ টাকা। বিলবোর্ড, প্রেস এড ইত্যাদি হাবিজাবি। এই ঈদে গেলো রেদোয়ান রনির "কিকঅফ", অর্থাৎ নাম করা একজন মেকার হচ্ছে একটা ব্রান্ড, যাদের তৈরি করা প্রোডাকশনের টিআরপি ভালো হবে। কাজেই এয়ারটেল বা গ্রামীন এর মত বহুজাতিক কোম্পানিগুলা কাজে লাগাচ্ছে তাদের।
আবার ধরেন আমি একজন নতুন মেকার। আমার কোন শর্ট ফিল্ম /টেলি অন এয়ার হয়নি। তার মানে আমার কোন গুড উইল নেই এখনো। অথচ আমার কাছে মাথা নষ্ট কিছু স্ক্রিপ্ট আছে। এ অবস্থায় আমার হাতে অপশন হচ্ছে দুইটা। এক নম্বর, লাইম লাইটে আসার জন্য আমি সেইরকম কোন স্টোরি দিয়ে ৪২/৬০ মিনিটের একটা টেলিফিল্ম বানালাম। প্রিশ্যুট মার্কেটিং করে, সাংবাদিক দের দিয়ে পত্রিকায় লেখিয়ে ফোকাস করলাম নিজেকে। কাস্টিং এ সব ব্রান্ড ফেস নিলাম। সাপোজ, আরেফিন শুভ, মশারফ করিম, জয়া কিংবা তিশা। ইরেশ জাকের বা আলী জাকের কেও নেয়া যেতে পারে। এটা একটা স্ট্রাটেজি। শূভ আর জয়ার ব্রান্ড ভ্যালু এখন সর্বাধিক। স্পনসর এদের ফেস দেখেই টাকা দিবে, হোয়াট এভার দ্যা স্টোরি। ইরেশ জাকের কিংবা আলী জাকের কে নেয়া যেতে পারে এশিয়াটিক কে হাতে রাখার জন্য। আবার সুবর্না কে কাস্ট করলে হেল্প পাবো সৌদ সাহেবের। অথবা আসাদুজ্জামান নূর কে কাস্ট করলে দেশ টিভিতে আমার জন্য স্লট ওপেন থাকবে নিশ্চিত। মানে পুরা ব্যাপারটাই এক ধরনের পলিটিক্স। কিন্ত কাহিনি হচ্ছে, আমি এই টেলিফিল্ম টা বানাতে মার্কেটিং এর খরচ সহ মিনিমাম ৫ লাখ টাকা লাগবে । আমি হয়তো কষ্ট করে লাখ তিনেক টাকার স্পনসর ম্যানেজ করলাম। বাকি দুই লাখ টাকা আসবে কোথেকে ? এদিকে চ্যানেলের কাছে বিক্রির সময়, ধরেন এনটিভির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কামরুল হাসান সৌদ আমাকে সাফ বলে দিবে দুই লাখ বিশের এক পয়সাও বেশি দিতে পারবো না। তাহলে আমি কিভাবে আমার প্রডিউসারের টাকা ব্যাক করবো ? প্রফিট তো দূরে থাক, আমাকে বাপের পকেট থেকে কিংবা নিজের ও বন্ধুদের ধার করা টাকা থেকে গচ্চা দিতে হবে বাকি টাকা।
দুই নম্বর পদ্ধতিতে আসার আগে একটু উপক্রমনিকা দেয়া প্রয়োজন। বর্তমানে নাটক মানেই টাকা। অনেক আলতু ফালতু নাটক, টেলি ফিল্ম যায় টেলিভিশনে। অনেক চ্যানেল, অনেক ফিল্ম , কোনটা শর্ট, কোনটি এক পর্বের, কোনটি ৪২ মিনিটের, আবার কোনটি ৬০ মিনিটের টেলি। এই ফিকশন গুলার কোন আগা মাথা নাই, কোন স্টোরি নাই। পাবলিক দেখেনা। তারপরেও কেন চলে ? কারন হচ্ছে বিজ্ঞাপন। ৩০ মিনিটের একটা নাটকে ১৬ মিনিট থাকে বিজ্ঞাপন। আর বিজ্ঞাপন মানেই টাকা। প্রতি রবিবার রাতে স্কয়ারের একটা স্লট থাকে ১ ঘন্টার। এই স্লটে যে কোন নাটকের মাঝে সমস্ত এড যাবে স্কয়ারের বিভন্ন পন্যের। কোনভাবে কেই যদি এই স্লটের জন্য একটা নাটক বানাতে পারে, চ্যানেল তাকে টাকা দিতে বাধ্য। কারন আস্ত স্লটটাই কিনে নিয়েছে স্কয়ার। এখানে টাকার আবার ভাগ বাটোয়ারার ও একটা ব্যাপার আছে। ধরা যাক, রাতের সেই চাঙ্কে ২৫ টি বিজ্ঞাপন যাবার কথা। সারাদিনে যাবার কথা ১০০ টি বিজ্ঞাপন। কিন্ত কে বসে বসে হিসাব রাখেব কয়টা বিজ্ঞাপন গেলো ? স্কয়ারের যিনি মিডিয়া বায়িং এন্ড প্লানিং এ আছেন, তার কাজ হচ্ছে এইগুলান তদারকি করা। কিন্ত তার এত সময় কোথায় ? সো চ্যানেলের ক্লায়েন্টস ডিপার্ট্মেন্ট এবং স্কয়ারের মিডিয়া ডিপার্ট্মেন্টের কর্মকর্তার সাথে একটা অলিখিত ডিল হয়। ১০০ এর যায়গায় বিজ্ঞাপন যায় হয়তো ৮০ টি। সেই যায়গায় ঢুকে পড়ে অন্য বিজ্ঞাপন। সেখানেও টাকা। এখন একজন প্রডিউসার বা ডিরেক্টরের সাথে যদি চ্যানেল এবং এজেন্সির ভালো সম্পর্ক থাকে অনায়াসে সে সেই স্লটে যে কোন নাটক চালাতে পারে। সেটা ইন্টেলেকচুয়াল কিংবা বালছাল যাই হোক না কেন।
অনেক খন বকবক করলাম। এবার আসি আমার দুই নম্বর পদ্ধতিতে। মনে করেন আমার কাছে একটা খুব ভালো মানের স্ক্রিপ্ট আছে। কিন্ত আমি বানাতে পারছিনা টাকার অভাবে। কারন চ্যানেল কিংবা প্রডিউসার আমাকে ১ লাখ ৬০ থেক ২ লাখ এর বেশী দিবেনা। বাধ্য হয়েই আমাকে বানাতে হচ্ছে কম বাজেটের ধুন ফুন নাটক। আর যেহেতু নাটক টি ভালো হবেনা, তাই আমিও লাইম লাইটে আসবো না। মহা যন্ত্রনা। লাইম লাইটে না আসলে স্পনসর পাবো না, আবার স্পনসর না পেলে ভালো কিছু বানিয়ে লাইম লাইটে আসতে পারবো না। কাজেই লাইম লাইটে আসার জন্য আমাকে বেশি বাজেট দিয়ে ফিল্ম বানিয়ে নিজের পকেট থেকে টাকা গচ্চা দিতে হবে। একবার ফোকাসে আস্তে পারলে আমাকে আর পায় কে।
মিডিয়াতে যারা কর্তাব্যাক্তি, কিংবা সাধারন কাজ ও করছেন, প্রত্যকেই বলেন, মিডিয়ার লাইন ভালো নারে ভাই, মানুষ টিভি দেখেনা। টাকা আসেনা , ব্যাবসা খারাপ। হা হা হা...
এবার শুনেন কাহিনী, মনে করেন একটা ধারাবাহিক নাটক চ্যানেল নাইনে যায় প্রতি সোম থেকে বুধ, সপ্তাহে তিন দিন। চ্যানেল প্রতিটা পর্বের জন্য দেয় কম বেশি ৮০ হাজার টাকা। প্রতি পর্বে কাস্টিং, ইকুইপমেন্ট ও আনুসাঙ্গিক প্রডাকশন খরচ পড়ে ৫০ হাজার টাকার মত। ডিরেক্টর নেয় ১০ হাজার । বাকি ২০ হাজার টাকা যায় প্রোডিউসারের হাতে। এটা একদিনের হিসাব। তারমানে সোম থেকে বুধ সপ্তাহে তিন দিনে প্রডিউসারের থাকে তিন বিশ ৬০ হাজার টাকা। মাসে হলো চার সপ্তাহ। তার মানে মাসে তার আসছে ২ লাখ ৪০হাজার টাকার মত। এখন কোন প্রডাকশন হাউজ থেকে যদি মাসে ৫ টা নাটক যায়, মোট লাভ ১২ লাখ টাকা। হায় সেলুকাস, মিডিয়াতে নাকি টাকা নাই।
তাহলে বলেন দেখি আমি এখন কি করি ? আমার তো বাবার কাড়ি কাড়ি টাকা নাই, যে নিজের বাপের প্রোডাকশন হাউজ থেকে ছবি বানিয়ে ফেল্বো। ব্লগার বন্ধুদের কাছে পরামর্শ চাই, আছেন নাকি কেউ , প্রডিউসার হতে আগ্রহী ?
আরেক টা ব্যাপার নিয়ে বলি। এটা অবশ্য একান্তই আমার এজাম্পশন।
পরিবর্তন সময়ের দাবী। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে একই রকম ধারা বহাল ছিলো, সেই আদিম যুগের ম হামিদ আর হাসান ইমামের দেখানো পথ। সময় বদলেছে, দিন বদলেছে, কালচার এডপ্ট করেছে নতুন নতুন জিনিস। দেশ, মা, প্রেম, বিরহ, বিচ্ছেদ, প্রাকৃতিক সসৌন্দর্য, এইসব বিক্রি করে আর কতদিন ? আরে বাবা, নতুন কিছু তো করে দেখা । নতুন বোতলে পুরাতন মদ আর কতদিন খাওয়াবি ? গ্রামের মানুষজন পর্যন্ত বোর হয়ে গেছে চেয়ারম্যানের মেয়ের সাথে বর্গা চাষির প্রেম দেখতে দেখতে। আসুক না নতুন কিছু। এখন মফস্বলের মানুষ ও মফস্বলের কাজ দেখতে চায় না। তারা চায় নতুন কিছু দেখতে। চাকচিক্য দেখতে, স্পেশাল এফেক্ট দেখতে। যে যাই বলুক, ডিজুস জেনারেশনের ছেলেপেলেদের নিয়ে কাজ করার একটা বিরাট স্কোপ আছে। আপার ক্লাশ এবং এলিট সোসাইটির লাইফ স্টাইল, তাদের সাইকোলজি আর হিপোক্রেসি ও একটা ফ্যাক্টস। এমন একটা ফ্যাক্টস, যেটা টেলিভিশন বা মুভিতে আগে দেখানো হয় নি।
আপেলবক্স প্রোডাকশনের পিপলু আর খান একটা এড বানিয়েছিলো ডিজুসের। সেখানে অনেক তরুন দের দেখানো হয়েছে। তারা ঘুরে বেড়ায় বাইকে করে, উত্তাল আনন্দে, মশাল মিছিল করে, মোবাইল দিয়ে তৈরি করে বাংলাদেশের মানচিত্র। আবার অমিতাভ রেজা বানিয়েছিলো ডিজুসের আরেকটি এড। এটা কিন্ত আমাদের এজেন্সির বানানো। , সেখানে সে প্রায় ২০০ ছেলে মেয়েকে কাস্ট করে। গিটার , গান আড্ডা, হই চই, এইতো জীবন। হারিয়ে যাও, বাধ ভেঙ্গে দাও, এইতো মটিভেশন। এটাই তারুন্য। আমার মনে হয় তরুনদের আধুনিক লাইফ স্টাইল। এই সেক্টরটাতে এখনো তেমন কোন কাজ হয়নি। গিয়াসুদ্দীন সেলিম "বিপ্রতীপ" নামে একুশে টিভিতে একটি ধারাবাহিক নাটক নিয়ে কাজ শুরু করলেও কন্টিনিউ করতে পারেন নি। ছবির হাট নিয়ে কাজ করা যেতে পারে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি নর্থসাউথের কালচার ও উঠে আস্তে পারে। এই জেনারেশন কে নিয়ে যেমন কাজ করা যায়, এই জেনারেশন কে দিয়েও তেমন কাজ করা যায়।
ইন্ডিয়ার ফারহান আখতার। বিত্তবান পরিবারের ছেলে। বলিউড থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়, এইটা তার উদ্দেশ্য না। কারন সে আজীবন ই মিডিয়াটিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছে। আজকে সে জিন্দেগি না মেলে দোবারা তৈরি করে ফেলে। দুখের সাথে বলতে হয়, এফডিসি এবং টভি মিডিয়ার বেশিরভাগ মানুষ ই এসেছে গ্রাম থেকে, মফস্বল থেকে। নো অফেন্স, এদের বেশির ভাগ এর ই নিয়ত হলো কিভাবে মিডিয়া থেকে টাকা বানানো যায়। দশ বছর আগে যে ফকিরাপুল থাক্তো, আজকে সে মিডিয়াতে কাজ করে গুলশানে থাকে, আলিশান গাড়িতে চড়ে। এদের কাছে মিডিয়া টাকা বানানোর একটা ক্ষেত্র মাত্র। একটা কমন সাইকোলজি হলো, এরা একা উঠতে চাইয়। অন্য কাওকে উঠতে দেখলে, বা ভালো কিছু করতে দেখলে এরা পিছন টা ধরে টেনে নামাতে চায়।
আমার মনে হয়, বিত্তবান ফ্যামিলি থেকে এবং মিডিয়ার উপরে পড়াশোনা করে আশা ছেলেমেয়েরা এমন টা হবেনা। তারা মিডিয়াকে সমৃদ্ধ জন্যেই আসবে। তারা মিডিয়া কে কিছু দিতে আসবে, শুধু নিতে নয়।
সুশীল সমাজ এদের ডিজুস জেনারেশন বলে। ঐ যে- কাশ্মিরী শাল বাকা করে, নাকের উপর মোটা চশমা পরে বলে - "এদের মাঝে দেশপ্রেম দেই, এরা মাটির প্রতি টান অনুভব করেনা" বড়দের শ্রদ্ধা করেনা।" অথচ এই তরুনরাই কিন্ত বিজয় দিবসে রাতভর আলপনা আকে, শহীদ মিনারে রাতের বেলায় ফুল দিতে যায়, ফ্রি ল্যান্সিং করে নিয়ে আসে দেশের জন্য পুরস্কার, আন্তর্যাতিক গণিত অলিম্পিয়াড থেকে পুরস্কার নিয়ে আসে। অলিম্পিকের কোরিওগ্রাফি করে, লর্ড অফ দ্যা রিংস এর এনিমেশন করে। এই তরুন সমাজ ই সৃষ্টিশীলতার মূলে, তারা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী, দূর্গতদের জন্য ত্রান নিয়ে যায় দূর দুরান্তে, ত্রদিব রায়ের মত ঘৃন্য ব্যাক্তির লাশ আনা ঠেকিয়ে দেয়। আজকের এই ফেসবুজ জেনারেশন ই বাংলাকে বিশ্ব দরবারে করেছে পরিচিত
১৩ অক্টোবর ২০১২, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য এই দিনের সন্ধ্যাটা স্মরণীয় একটা মুহূর্ত হয়েই থাকবে। এ দিন এশিয়ার সেরা চলচ্চিত্র উৎসব 'পুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'-এর এবারের সমাপনী প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হলো মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নতুন ছবি 'টেলিভিশন', প্রথমবার বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্র এমন বিরল সম্মান লাভ করল। একই অনুষ্ঠানে আরো ছিলো শাহেদের সল্প দৈর্ঘ্য ছবি "দি কন্টেইনার"।
কিম কি দুকের সাথে ফারুকির ছবি ট্যারা চোখে দেখে বাকা করে কাশ্মিরী শাল পরিহিত ও মোটা চশমা চোখে তথাকথিত নাট্যসমালোচক রা কি বলে এবার, বড়ই দেখতে ইচ্ছা হয়।
সিনেমা ও টেলিভিশন , উভয় মিডিয়াতেই এগিয়ে যাক তরুন রা। এই প্রত্যাশাই করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০৩