somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিফার স্টিকিপোস্ট সঙ্ক্রান্ত কিছু প্রাসঙ্গিক কথা...

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ফিফার পোস্টের ব্যাপারে বলতে গিয়ে এই পোস্টের অবতারনা। ফিফার পোস্টের ব্যাপারে বলা যেতে পারে-

"অনলাইন গনমাধ্যম নীতিমালা ২০১২"- আমাদের সাধারন নাগরিক হিসেবে "ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন" এবং জার্নালিস্ট বা ব্লগারদের " ফ্রিডম অফ স্পিচ" যা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, তা ক্ষুন্ন করে। আরো মজার ব্যাবার হচ্ছে, এই নীতিমালা বানানো হয়েছে প্রিন্ট মিডিয়া এবং কমিউনিটি রেডিও সঙ্ক্রান্ত নীতিমালা হতে অনুপ্রানিত হয়ে। বলা যেতে পারে অনেকাংশে কপিও করা হয়েছে সরাসরি, যা অত্যন্ত হাস্যকর এবং দুক্ষজনক ও বটে।

মান্ধাতা আমলের সেই প্রেস ল " এক্ট অফ ১৯৭৩ এর অনুচ্ছেদ ৩৯(১) এবং দুইয়ের মাঝখানের ফাকটাকে। আমি সরাসরি কোট করি

"Article 39(1) of the Constitution provides for freedom of speech, expression and the press but Article 39(2) makes the enjoyment of these rights subject to "reasonable restrictions" in the interests of "the security. of the state, friendly relations with foreign states, public order, decency and morality in relation to contempt of court, defamation or incitement to an offence."

অর্থাৎ, আর্টিকেল ওয়ানে আপনাকে ভুজুং ভাজুং ফ্রিডম অফ স্পচ দেয়া হয়েছে, এবং আর্টিকেল টু তে সেটা কৌশলে কেড়ে নেয়া হয়েছে।

আরো বলা হয়েছে, "to ban publications and to search premises. Section 99A of the Code of Criminal Procedure made any printed matter, defamatory of the country's President or the Prime Minister, an offense punishable by imprisonment from two to seven years."

অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রির বা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কিছু বললে ২-৭ বছরের সাজা হতে পারে সাংবাদিকদের।

গঠন করা হলো প্রেস কাউন্সিল, কিন্ত কি লাভ হলো ? আবারো কোট করি "The PC has no powers to take action against the government for transgressing the freedom of the press, nor does the government consult the PC before taking action against a newspaper or a journalist.


ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন এবং ফ্রিডম অফ স্পিচ আমাদের সাংবিধানিক অধীকার। অথচ বর্তমান সরকার, পূর্বে সাইবার আইন ও এখন অনলাইন গনমাধ্যম নীতিমালা প্রনয়ন করে সেই অধীকারের দ্বার রুদ্ধ করে দিচ্ছে। এইসব নীতিমালা প্রনয়নের কারনে সরকার এখন সরাসরি মনিটর করতে পারবে নিউজসাইট বা ব্লগ। এতেকরে ব্লগারদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তাছারা আজগুবি সব নিতীমালা প্রনয়ন করে সরকার তাদের দীনতা ও মুর্খতা প্রকাশ করছে নিসন্দেহে। নিতীমালা টা একবার পড়লেই ক্লিয়ার হয়ে যাবে আপনাদের কাছে।

'অনলাইন গণমাধ্যম পরিচালনা নীতিমালা ২০১২

লাইসেন্স এর ব্যাবস্থা চালু হলে অনেক নিউজসাইট ই সরকার অবৈধ বলে চালিয়ে দিতে পারবে। কারন মাচ লাখ টাকা এককালীন এবং মাসিক ৫০ হাজার টাকার ব্যাপারটা একটু বেশিই বাড়াবাড়ি। লাইসেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে যারা লাইসেন্স করাবেনা সরকার তাদের অবৈধ বলে ঘোষনা দিবে। কাজে বৈধ, অবৈধতার লিগাল ইস্যুতে সরকার সূযোগ নেয়ার চেষ্টা করবেই। এর পিছনে সরকারের তরফ থেকে কোন ব্যাখ্যা তো নাই ই বরং সিটিজম জার্নালিজম কে এপ্রিশিয়েট না করার একটা পদ্ধতি। আর গোদের উপড় বিষ্ফোড়ার মত বিডিনিউজ তো এর সপক্ষে সরকারের পশ্চাদ্দেশ চাটতেও দ্বিধা করছেনা, মনোপলি অনলাইন নিউজ মিডিয়ার উদ্দেশ্যে নিজেদের মিডিয়া এথিক্স ভংগ করছে তারা, পরনত হয়েছে পুরোপুরি কর্পোরেট একটা অর্গানাইজেশনে।


একই সাথে এই টা স্পষ্ট যে, সরকার অনলাইন মিডিয়াকে থ্রেট হিসেবে বিবেচনা করছে। সাইবার আইন, কিংবা নিউ মিডিয়ার নিতিমালার পয়েন্টগুলো দেখলেই তা বোঝা যাবে। আর জামাতি ইসলাম সহ সকল রকম রাজাকার বা যুদ্ধপরাধিদের বিচার নিয়ে এক্মাত্র অনলাইন মিডিয়ার পাঠকগন ই সবচাইতে বেশি কনসার্ন। কাজেই ভবিষ্যতে নির্বাচনের আগে যুদ্ধপরাধের বিচার সঙ্ক্রান্ত বিষয়ে সরকার যদি কোন ডাইভার্শনের চিন্তায় থাকে, নিসন্দেহে বলা যায়, অনলাইন মিডিয়ায়, ব্লগে ফেসবুকে এর নিন্দায় ঝড় বয়ে যাবে। এখানেই সরকারের ভয় ??

কাজেই বলা যায় সামনে নির্বাচন কে সামনে রেখে অনলাইন এক্টিভিস্ট ও নিউজ কে একটা টাইট পজিশনে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই অপচেষ্টা। গত দু এক বছরে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে "ফেসবুকের" মাধ্যমে একটা সরকার কে ক্যু করে দেয়া হয়েছে। কাজেই কারিগরি জ্ঞান বা অনলাইন মিডিয়া সম্পর্কে সরকার ক্লিয়ার না হলেও, এর ক্ষমতা সম্পর্কে পুর্ন ওয়াকিবহাল।

আমাদের মতন একজন মিডিয়া কর্মী হোক,জার্নালিস্ট হোক কিংবা একজন সাধারন নাগরিক হোক, প্রত্যেকেরি এর গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রতিবাদে যাওয়া উচিত।

সময় হয়েছে অনলাইন এক্টিভিজমের সাথে সাথে ফিল্ডেও নামার। এইটা আমাদের সময়ের দাবী, অধিকারের দাবী, আমাদের রাইট, ফ্রিডম অফ স্পিচ।

কাজেই দেরী না করে আসুন জয়েন করি ফেসবুকের এই ইভেন্টস এ, যোগ দিন মানব বন্ধনে, আগামীকাল বিকাল ৫ টায়, প্রেসক্লাবে।

https://www.facebook.com/events/499835310029163/?ref=notif¬if_t=plan_user_joined


সেই সাথে আপনারা যারা যারা যেতে আগ্রহী তারা নিজেদের ভিতরে যোগাযোগ করতে পারেন এই পোস্টে।

সবাইকে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩০
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×