শুনেছি শুধূমাত্র গাছ লাগিয়েই নাকি একজন মহিলা নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন ! এবং সেটি দক্ষিনআফ্রিকায় । সবুজ বনায়নের এই আন্দোলন এখন বিস্ব জুড়ে । আমাদের সরকার এবং জনগণ সবাই এখন বৃক্ষ সম্পর্কে সচেতন । তাই সামাজিক বনায়ন বিষয়ে আগ্রহের কমতি নেই কোথাও । এইতো সেদিন শেষ হলো সিলেট বিভাগীয় বৃক্ষমেলা । সিলেট সার্কিট হাউজের পাশে সুরমা নদীর তীর ঘেষে কীণ ব্রীজের নীচে আয়োজিত এ মেলার আয়োজক ছিল সিলেট সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন । অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই আয়োজকদের ।
আমিও বৃক্ষপ্রেমে উস্টা খাওয়া মানুষ । বার বার ছূটে আসি বৃক্ষের কাছে! বার বার ফিরে যাই বৃক্ষের কাছে । এমনি একবার টেলিভিশন চ্যানেলের বদৌলতে ছূটে গিয়েছিলাম মানিকগন্জের কৌড়িগ্রামে । পরপর কয়েকটি চ্যানেলে এ গ্রামটি এবং বিশেষ একজন মানুষকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ গ্রামটি দেখার আগ্রহ জন্মে । তখন ঢাকায় থাকি । কবি বন্ধূ কুতুব উদ্দিন কে সঙ্গী করে ছূটলাম নিসর্গের টানে, সবুজের হাতছানিতে ।
অবশেষে আমরা কৌড়িগ্রামের সৌন্দর্য্য পান করেছিলাম ! সারি সারি পাম জাতীয় বৃক্ষ । দেবদারু । ঝাউ গাছ । পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট । পরিচ্ছন্ন ঘরদোর । সবকিছূর মাঝেই যেন সিনেমাটিক একটি ব্যাপার রয়ে গেছে ।
ছবির মতো গ্রাম । কৌড়িগ্রাম ।হ্যা, এই গ্রামটিতে সিনেমা-নাটকের শুটিং হয় নিয়মিতই ।
এমন সৌন্দর্য্্য সাধকের নাম মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ভাই । তারই প্রচেস্টায় কৌড়িগ্রামের রাস্তাঘাট, স্কুল! কলেজ, হাট-বাজার, বাড়ি ঘর সবখানে বৃক্ষের সাজানো বাগান । আমরা অনেক খোজাখুজির পর তার সন্ধান পেলাম । তারপর ঘূরে ঘূরে দেখলাম পুরো গ্রামটি । শুধূ গ্রাম নয় তিনি সাজিয়েছেন পুরো এলাকাটি । সবুজ বনায়নের এটি একটি অনন্য দৃস্টান্ত ।