নিসর্গের মায়ার টানে-
হাকালুকির ভরা যৌবনে
আমরা ক'জন মেতেছিলাম সেদিন
প্রাণরস আর সুরে-গানে গানে ।
দুরন্ত কিশোর বাবু ও তার সহযোগী মাঝি
কথায় কিংবা কৌশলে ছিল বড় পাজি
আমরা ঘুরবো নৌকায়...
এক কথাতেই হয়ে যায় রাজি ।
ইন্জিনের দড়ি টেনে
হাল ধরে একজন তার-
পলাশের কন্ঠে নীল দরিয়ার টান
যেনো সফেদ সমুদ্র আর হাওর, দুই একাকার ।
উচ্ছাসে হাসানের বেসুরো সামাল
জুলহাস-বাবর দেয় লয়ের তালি
সংগেতে বোম্বের চিপ্ স মোটে
প্যাকেট চার খালি ।
দূর থেকে আবিস্কার চর এক অদূরে
ওখানেই সবজন কলম্বাস যেনো-
নেমে পড়ি, হইচই কত!
চর দখলের মতো, খুটি দেই কলমিতে জোরে ।
ছাগল ডজনখানেক ছোটবড় মিলে
আনন্দ-ভ্রমণকে দ্বিগুণ করে
রাখাল বালকের মতো
ক্ষণিক সংগি ছিল বলে...!
অবশেষে চোখ পড়ে
রাজহাসের ডানা ঝাপটা দলে
আবারও ছূটে যাই
জলসুখ উচ্ছাসে, চোখ টলমলে ।
খোপে খোপে টিলা
অপরূপ নিসর্গের কী অপরূপ লীলা!
নৌকাবাইচের শতহাতি প্রায়
নৌকা একখানি,
দুদিন পরেই খেলতে যাবে
হয় জানাজানি ।
তারই পাশে জড়ো হয়
শিশু শতাধিক
পুস্টির অভাব ছাপিয়ে যারা
সমবেত হয়েছিল আমাদের চারদিক ।
এমন দেশের সুজলা শ্যামলা
নিসর্গের পাশে
দু:খ শত, কস্ট হাজার
উকি দিয়ে হাসে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩