আপনারা কি ভাবছেন, TVC বা Asian Skyshop এর বিজ্ঞাপণের মতো এ কথা বলছি কেন? TVC বা Asian Skyshop মানুষের জন্য যেসব পণ্য ও যান্ত্রিক শারীরিক সুস্থতা প্রদায়নকারী পণ্যের বিজ্ঞাপণ করে তাতে কি মানুষ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়েছে বা কেউ কি দীর্ঘায়ু লাভ করেছে?
বরংচ সাময়িকভাবে আমাদের শরীরতন্ত্রকে অতিমাত্রায় উত্তেজিত করে সুস্বাস্থ্যের নামে আমাদের আয়ুকে খর্ব করে দিচ্ছে। সুপ্রাচীনকালে আমাদের লোকেরা কি এসব পণ্য ব্যবহার করে সুস্বাস্থ্য লাভ করত? তাহলে কিভাবে তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ছিল? কিভাবে তারা দীর্ঘায়ু লাভ করত?
আমি আপনাদের জানা অনেক প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে খুবই সহজ ও জীবন ঘনিষ্ঠ কিছু উপায় নিয়ে আজ আপনাদের সামনে এসেছি। আমি যা জানলাম তা আপনাদের জানানোর লোভ সামলাতে পারলাম না, তাই এ প্রবন্ধের অবতারণা।
আজ থেকে প্রায় ৭৫ বছর পূর্বে, তৎকালীন পাবনার হেমায়েতপুরে গ্রামে সৎসঙ্গ আশ্রম নামক এক স্থানে দুজন ব্যক্তির কথোপকথনকে উপজীব্য করেই আজকের এ প্রবন্ধ।
এ পৃথিবীতে আয়ুবৃদ্ধির কলাকৌশল নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, এখনও অনেক গবেষণা চলছে, এমনই এক প্রেক্ষাপটে আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের জ্ঞাণের ভান্ডারে সঞ্চিত কিছু জ্ঞাণ আজ আমি উন্মোচিত করছি।
প্রশ্নকর্তা হলেন কৃষ্ণ প্রসন্ন ভট্টাচার্য্য (যিনি ভারতের পদার্থে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী গবেষক সি.ভি. রমন - এর সহকারী গবেষক ছিলেন এবং কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি বিষয়ে মাষ্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন এবং কৃতিত্বের জন্য স্বীকৃতি স্বরুপ দুবার স্বর্ণ পদক লাভ করেন)। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, আপনি বিভিন্ন বিষয়ে বিবাহ, শিক্ষা প্রভৃতির সংস্কারের কথা বলছেন। সংস্কারতো করতে হবে বুঝলাম কিন্তু নাই যদি বাঁচলাম তবে কি জন্যই বা এসব করা? আমাদের গড় আয়ু যে কুঁড়ি-বাইশ বছর নেবে গেছে। চল্লিশ বছর বয়স হতে না হতেই যে আমরা মরে যাচ্ছি, তাঁর হাত থেকে বাঁচার কোন পথ নেই কি? থাকলে সেটাইতো সর্বাগ্রে করণীয়?
উত্তরদাতার পরিচয় আমি প্রবন্ধের শেষেই দেব। উত্তরদাতা বললেন, যা’ জীবন ও বৃদ্ধিকে ধরে রাখতে পারে তাকেই বলে ধর্ম। তবেই যদি বাঁচতে চাই, বৃদ্ধি পেতে চাই - তাহলে ধর্মের বিধিগুলোকে প্রানপণে আঁকড়ে ধরে, করায়-চলায় সেগুলিকে অটুঁট ও নিরন্তন করতে হবে। তাই, সর্ব্বাগ্রে সবের ভিতর ধর্মকে নিয়ে চলা চাই-ই। এইতো আমাদের পূর্বপূরুষ ঋষিদের অমোঘ নির্দ্দেশ।
কি পাঠক বন্ধুরা বুঝলেনতো উত্তরটা।
তাহলে দেখি ঋষিরা কি বলেছেন। মহাভারতে আছে, “ধর্ম্মে বর্দ্ধতি বর্দ্ধন্তি সর্ব্বভূতানি সর্ব্বদা / তস্মিন্ হ্রসতি হীয়ন্তে তস্মাদ্ধর্ন্মং ন লোপয়েৎ ” (শান্তিপর্ব ৯০/১৬)। অন্যদিকে নোবেল বিজয়ী Maurice Maeterlinck বলেছেন, “ Ò No religion …. Ever thought of rejecting the indisputable law of endless movement of the eternal becoming ; and it must be admitted that everything appears to justify it”
উত্তরদাতা আরো বললেন, “আয়ুকে অক্ষুন্ন ও অকাট্য রাখতে হলে, শারীরিক বিধানগুলো যাতে সুস্থ সবল থাকে Ñ পোষণ ও রক্ষন দ্বারা তাই করণীয় ”।
তিনি চার ধরণের অস্বস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো: ১. মানসিক অস্বস্থতা ২. কর্ম ও আচরণের অস্বস্থতা ৩. আহার্য্য ও পরিপোষণের অস্বস্থতা ৪. চলন ও চেষ্টার অস্বস্থতা। আপনিই ভেবে দেখুন এসব অস্বস্থতা যদি এড়িয়ে চলা যায়, তাহলেই আমরা সুস্থ থাকতে পারব। আমাদের প্রচলিত ধর্মনীতিগুলো আমরা যদি ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখতে পাব বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ধর্মাচরণ প্রচলণ, যাতে এ ধরণের সমস্যা এড়িয়ে মানুষ তাদের জীবনকে সুস্থ ও সাবলীন করতে পারে তার দিক নির্দেশনা আছে।
হিন্দুধর্মের অতি পরিচিত ধর্মগ্রন্থ গীতা। গীতায় আছে - যাহাদের আহার, বিহার, চেষ্টা, কর্ম, স্বপ্ন, জাগরণ ইত্যাদি উপযুক্তভাবে নিয়ন্ত্রিত যোগ তাহাদের সমস্ত দূঃখকে হরণ করে।
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ঘটে যাওয়া নানা অস্বাভাবিক চিন্তা কর্ম, সাংসারিক জীবনের কঠিনতম প্রতিদ্ধন্ধিতা সবকিছুইতো আমাদের আস্তে আস্তে গ্রাস করে। প্রশ্নকারী তাই আরোতর সহজ করণীয় জানতে চাইলেন। উত্তরদাতাও কিছু সাবধান বাণী দিয়েছেন।
সেগুলো হলো: ১. অবৈধ আহার না করা (যাতে পরিপাকের অবসন্নতা ঘটে) ২. নিয়মিত নিঃস্রাবন (প্রস্রাব, বাহ্য, ঘর্ম, লালা, শুক্র ইত্যাদির স্বাভাবিক নিঃসরণ) ৩. যথোপযুক্ত চেষ্টা ও চলন ৪. সর্বোপরি, ইষ্ট বা ভগবদনুরক্তি (ইষ্ট মানে মঙ্গল, সদা প্রতি-প্রত্যেকের মঙ্গল চিন্তা করা) ।
এতে আমরা দেখতে পাই, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বা অনাহার আমাদের শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যেসব খাবার আমাদের শরীর বিধানকে অবসাদগ্রস্থ করে তোলে তা থেকেও দূরে থাকার আভাস আমরা পায়। শরীরের সকল ক্ষতিকারক, বিষাক্ত দ্রব্যগুলো যাতে বের হয়ে যেতে পারে তার জন্য নিয়মিত নিঃস্রাবনের কথা বলা হয়েছে। যথোপযুক্ত চেষ্টা ও চলন থাকলে আমাদের চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু মস্তিষ্ক অযথা অবসাদগ্রস্থ হবে না এবং চলনও যদি নিয়ন্ত্রিত হয় তাহলে মাংসপেশী ও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোও সতেজ থাকবে। আর, ভগবদনুরক্তির কথা কি বলব, গুরুকে শ্রদ্ধা আমাদের জন্য কতটা জরুরি সে প্রসঙ্গে সুপ্রাচীন বৈদ্যশাস্ত্রে, ইষ্টানুরক্তি না থাকা একটা অরিষ্ট বা মৃত্যুলক্ষণের মধ্যে গননা করা হয়েছে।
কিন্তু তাতেও প্রশ্নকর্তার মনঃপূত হয় না। তিনি উত্তরদাতাকে জীবনীশক্তি ও আয়ুবৃদ্ধি করতে হলে আমাদের জাতির ঠিক কী কী করণীয়, যা আমরা সহজেই করতে পারি তা জানতে চাইলেন, উত্তরদাতাও যথারীতি বললেন, এগারটি বিশেষ বিষয়ের কথা।
১. ইষ্টে সহজপ্রাণতা, তঁদ্বিত্তপরায়ণতা ও তৎপ্রতিষ্ঠ হয়ে তৎস্বার্থপরায়নতা।
২. পারিপার্শ্বিকের প্রতি সেবা, সম্বর্দ্ধনা, সাহার্য্য ও সাহচর্য্য পরায়ণ হয়ে তাদের ইষ্টস্বার্থ ও ইষ্টপ্রতিষ্ঠায় প্রবুদ্ধ করে তোলা।
৩. নিয়মিত সন্ধ্যা, প্রার্থনা, ব্রাহ্মমুহুর্ত্বে শয্যাত্যাগ (সূর্যোদয়ের পূর্ব মুহুর্ত্বে) এবং প্রথমে একক ভ্রমন ও তৎপর অর্দ্ধ হইতে এক ড্রাম থানকুনি পাতার রস একটু দুধ ও ইক্ষুগুড় দিয়ে বা শুধু ইক্ষুগুড় দিয়ে খেয়ে, বেশী পরিমানে জল খাওয়ার পর সঙ্গিগনসহ ভ্রমনে আরো সুবিধা হতে পারে। এতে একটু বেশী প্রস্রাব হয়ে শরীরের Toxin গুলো প্রায়ই বেরিয়ে গিয়ে থাকে।
৪. বেশ সাদাসিদে সহজ-পুষ্টিকর সুপাচ্য আহার সাধারণত দিনে রাত্রে দুবার।
৫. ক্ষুধাকে কখনো জব্দ না করা - regulated uncivilized রকমে সম্ভবমত কম প্রয়োজনের ভিতর দিয়ে জীবন চালান।
৬. বিরুদ্ধভাবের সংঘাতে Temper lose না করা - অন্তঃত unprofitably temper lose না করা।
৭. 7. Unregulated ভাবে যাতে নাকি শরীর ও মনের অবসাদ আসে এমনভাবে স্ত্রী সহবাস না করা; অন্তঃত স্ত্রী কতৃকsolicited না হয়েsexuall y engaged না হওয়া।
৮. 8. Life with Superior Beloved; life in seclusion, life with immediate environment, i.e; with family and life for and with the public - একটি factor সম্ভবত বেশ করে observe করা।
৯. কু-ব্যাধি সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধী আচার-নিয়মকে প্রতিপালন করে শুদ্ধ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাসকে জীবনে সহজ করে তোলা।
১০. শুধু ভাবপ্রবন না হয়ে ভাব ও বোধগুলিকে করা-বলার ভিতর দিয়ে জীবন বৃদ্ধির অনুগ করে বাস্তবে পরিণত করা।
১১. শরীর ও সময়ের উপযুক্ততা হিসাবে মাঝে মাঝে নাম মাত্র আহার করা বা বিধিপূর্বক উপবাস করা।
আমার মনে হয় সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু হওয়ার সব মন্ত্রই উপরোল্লেখিত এগারটি বিষয়ের মধ্যেই আছে। সংক্ষেপে এ ১১টি বিধানকে আমরা Guideline for long life বলতে পারি। এই ১১টি বিষয়ের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে আমি কিছু তুলনামূলক আলোচনা করলে আপনারা বিষয়গুলো আরো ভালভাবে উপলব্দি করতে পারবেন।
এখানে নিয়মিত প্রার্থনা করার কথা বলা হয়েছে। স¤প্রতি, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে যেসব ব্যক্তি নিয়মিত প্রার্থনা বা Prayer করেন, তারা অন্যদের তুলনায় গড়ে ১০-১৪ বছর বেশীদিন আয়ুস্কাল লাভ করে।
এখানে থানকুনি পাতার রসের কথা উল্লেখ আছে। Newyork Times এর একটি সংখ্যায় আমরা দেখি, পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘজীবন যে চীনা জাতি লাভ করে, তাদের গোষ্ঠীগতভাবে জীবনাচরণে দেখা যায়, তারা থানকুনি পাতার রস নিয়মিত সেবন করে। যা তাদের শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বর্হিগমনে সহায়তা করে।
সহজ-পুষ্টিকর সুপাচ্য আহারের কথা মনে হয় বলার কোন অপেক্ষা রাখে না। ক্ষুধাকে জব্দ না করার জন্য বলা হয়েছে, এ ক্ষুধাকে জব্দ করেই আজকালকার সময়ে সর্বজন বিদিত সমস্যা গ্যাস্টিক আলসারের সৃষ্টি। কিন্ত তার সাথে সাথে সহজ সরল অর্থাৎ Simple life, High thinking এর কথা বলা হয়েছে।
প্রবন্ধের এ পর্যায়ে আমার মনে হয় উত্তরদাতার পরিচয়টা প্রদান করা উচিত। তিনি জন্মগ্রহন করেছিলেন, বাংলা ১২৯৫ সনের ৩০শে ভাদ্র, তাল নবমী তিথিতে এ বাংলার পাবনায় হিমায়েতপুর গ্রামে। পেশায় তিনি কিছুদিন ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। কিন্তু যে দার্শনিক শক্তি তিনি লাভ করেছিলেন, তা তাঁর এসব ক্ষুদ্র পরিচয়ের গন্ডিকে ভেদ করে পৌঁছে গিয়েছিল অনেক উর্দ্ধে। পাবনার সাধারণ জনগন তাঁকে অনুকূল ঠাকুর নামে জানে। তাঁর ভক্তদের কাছে তিনি দয়াল ঠাকুর। পুরো নাম অনুকূলচন্দ্র চক্রবর্তী। শুধুমাত্র আয়ু বাড়ানোর কৌশল বাতলে দিয়েই তিনি কান্ত হননি। সর্বমানবের মঙ্গলাকাঙ্কী, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পুষ্টিবিদ, চিকিৎসক কিভাবে স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হয় তারও সহজ সাধারণ ব্যবস্থা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে - প্রথমেই চাই পারিবারিক শান্তির ব্যবস্থা। স্বাস্থ্যের নিয়ন্ত্রনে প্রধান ও প্রকৃষ্ট শিক্ষক যদি নিজ নিজ পরিবার হয়, তো তার চাইতে সুন্দরব্যবস্থা আর কি হতে পারে?
তিনি আরো বলেছেন, আমাদের বাসস্থানে যথেষ্ট পরিমান আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সর্বোপরি তিনি সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিবারের সকলের মধ্যে সুসম্পর্কের উপর জোর দিয়েছেন। কারণ, হতাশ্বাস ও অবসাদই স্বাস্থ্য ভাঙনে মূখ্য ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের উল্টো চলন তাকে আরো বেগবান করে মাত্র।
এ পারিবারিক বিষয়ে তিনি নারীদের উপর বেশী নির্ভর করার কথা বলেছেন। কারণ, একজন নারীই প্রকৃতপক্ষে একটি পরিবারের মূল পরিচালক। তার অবশ্যই জানা থাকতে হবে পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্যের জন্য কেমনতর আহার, শুশ্র“ষা ও সেবার দরকার। এজন্য তিনি মেয়েদের গাহর্স্থ্য শিক্ষার ক্ষেত্রে এসব বিষয়ের অন্তর্ভূক্তি ও অনুধাবনের উপর জোর দেন।
আমরা অন্তঃত প্রত্যেকে এটা উপলব্দি করতে পারি, একটি সুশৃঙ্খল ও সুনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস আমাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারে।
এরপর তিনি জোর দিয়েছেন পারিপাশ্বিকের সেবা ও সম্বর্দ্ধনার দিকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এ ধরণের সেবামূলক চলন হতে একজন ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিক দুই ধরণের শক্তিই অর্জন করতে পারে। যদি আমরা এমনতর শারীরিক পরিশ্রম করতে না পারি তাহলে আমাদের প্রয়োজন হবে ব্যায়ামের।
সুস্বাস্থ্যের অন্যতম উপাদান হিসেবে তিনি উপযুক্ত বিবাহকে চিহ্নিত করেন। যা তার শারীরিক ও মানসিক শান্তি প্রদানে যথেষ্ট পরিমাণ ভূমিকা রাখে। পরবর্তী কোন লেখায় তাঁর আহার বিষয়ক বিধি বিধান তুলে ধরার চেষ্টা থাকবে। সর্বোপরি, যদি সকলের মঙ্গল চিন্তা করা যায়, নিজে আনন্দে থেকে প্রতিবেশীকে কিছুটা হলেও আনন্দে থাকার ব্যস্থা করা যায় এবং দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্ম নিজেরা করতে পারি, তবেই আমরা সুস্বাস্থ্য তথা দীর্ঘায়ু লাভ করতে পারব।
লেখক: রিন্টু কুমার চৌধুরী, কম্পিউটার প্রকৌশলী,
পরিচালক, শ্রেয় অন্বেষা (সেন্টার ফর রিচার্স অন শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র)।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২১