শ্রীশ্রীঠাকুর প্রবর্তিত সৎসঙ্গের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে
সৎসঙ্গ কথার মধ্যেই সৎসঙ্গের উদ্দেশ্য নিহিত আছে। সৎ এসেছে অস্-ধাতু থেকে। অস্ ধাতুর মধ্যে আছে সত্তা; অস্তিত্ব, বিদ্যমানতা। আর সঙ্গ এসেছে সন্জ-ধাতু থেকে।সন্জ ধাতুর মধ্যে আছে আসক্তি, অনুরাগ, মিলন ইত্যাদি। তাই সৎসঙ্গের উদ্দেশ্য হলো সত্তানুরাগী হওয়া তা নিজের ও পরের। সত্তানুরাগী হতে গেলে সব সত্তার মূল উৎস যে পরম সত্তা, যার মূর্ত্ত বিগ্রহ জীবন্ত স˜গুরু তাতে অনুরক্ত হতে হবে। তখনই আসবে আবার সত্তার প্রতি অনুরাগ। তখনই আমরা সবাই সত্তাপোষনী হয়ে উঠব। প্রবৃত্তি আসক্তি সত্তা পোষনার ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারবেনা। এছাড়া কোন অস্তিত্বের ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারবেনা। এছাড়া কোন অস্তিত্বের আর কী চাইবার আছে? তাই প্রতিটি সত্তার শাশ্বত চাহিদা যা সৎসঙ্গেরও চাহিদা তাই। এটা বুঝতে কারো কোনও কষ্ট হবার কথা নয়। প্রত্যেকে নিজের দিকে চাইলে এটা বুঝতে পারবে। (আলোচনা প্রসঙ্গে, ৪র্থ খন্ড)
যার প্রতিনিধিত্ব করছে সৎসঙ্গ বাংলাদেশ। এছাড়াও সিলেটে রয়েছে শ্রীহট্ট সৎসঙ্গ বিহার। কর্মভিত্তিক ধর্মচর্চার অন্যতম পাদপীঠ এ সৎসঙ্গ বিহার। যার দায়িত্বে আছেন শ্রীশ্রীঠাকুরের পূত পবিত্র পাঞ্জাধারী কর্মী শ্রীরামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য। বৃহত্তর সিলেটের সকল নবীন-প্রবীন কর্মী ও সৎসঙ্গীদের সাথে নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন পাহাড়ের উপর নয়নাভিরাম সৌর্ন্দয্যে ভরপুর এ সৎসঙ্গ বিহার।
সম্পাদনায়; রিন্টু কুমার চৌধুরী
পরিচালক, শ্রেয় অন্বেষা
(শ্রীশ্রীঠাকুরের আদর্শবিষয়ক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১০ রাত ১:৪১