শার্লক হোমস ! গোয়েন্দা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র । ১২৬ বছর পরেও যার জনপ্রিয়তা এতোটুকু কমেনি। মূল লেখকের মৃত্যুর পরেও তাকে নিয়ে ভক্ত অনুরাগীরা লিখে চলেছেন একটার পর একটা নতুন গল্প, তাকে নিয়ে বের হচ্ছে জনপ্রিয় সব মুভি এবং টিভি সিরিজ। তাকে নিয়েই আজকের লেখা...
লেখকঃ
শার্লক হোমস চরিত্রের অমর স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েল(২২শে মে ১৮৫৯ - ৭ই জুলাই ১৯৩০, এডিনবারা, স্কটল্যান্ড)।
পেশায় তিনি একজন স্কটিশ লেখক এবং ডাক্তার। এই অসামান্য প্রতিভাধর লেখকের অন্যান্য রচনার মধ্যে আছে কল্পবিজ্ঞান গল্প, নাটক, প্রেমের উপন্যাস, কবিতা, ননফিকশন, ঐতিহাসিক উপন্যাস এবং রম্যরচনা। বাস্তব জীবনেও তিনি দু-দুবার গোয়েন্দাগিরি করে অন্যায়ভাবে দোষী-সাব্যস্ত ব্যক্তিদের নির্দোষ প্রমাণ করতে সফল হন।
ডয়েলকে বোয়ের যুদ্ধের সময় দক্ষিণ আফ্রিকান এক মাঠ-চিকিৎসাকেন্দ্রে অবদান রাখার জন্য ১৯০২ সালে নাইট উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
প্লাইমাউথের বুশ ভিলাতে আর্থার কোনান ডয়েল ডাক্তারির পাশাপাশি গোয়েন্দা কাহিনী লিখবেন মনস্থ করেন।
শার্লক হোমসকে নিয়ে প্রথম লেখাটি লেখা হয় ১৮৮৭ সালে। আর শেষ লেখা হয় ১৯২৭ সালে। শার্লক হোমসকে নিয়ে ৪ টি উপন্যাস ও ৫৬ টি ছোটগল্প লেখা হয়েছে।
ডয়েল চেয়েছিলেন এডগার অ্যালান পো’র গোয়েন্দা চরিত্র দুপ্যাঁকেও বুদ্ধিতে ছাড়িয়ে যায় এমন একটি গোয়েন্দা চরিত্র সৃষ্টি করতে। অনেক চিন্তা ভাবনা করে ডয়েল এই 'হোমস' চরিত্রটি তার শিক্ষক 'ড. জোসেফ বেল' এর আদলেই গড়ে তোলেন। মানুষকে পর্যবেক্ষণের এমন অসাধারন ক্ষমতা সত্যিই ড. বেল-এর মধ্যে ছিলো।
ডক্টর যোসেফ বেল তখন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং এডিনবরা মেডিকেল জার্নালের সম্পাদক। এডিনবরা গোলন্দাজ বাহিনীর তিনিই তখন উপদেষ্টা চিকিৎসক'হোমস' এর চেহারা এবং স্বাস্থ্যও ছিলো ড.বেল এর মতই। অর্থাৎ, 'ডয়েল' তার 'হোমস' চরিত্রটি সম্পূর্ণই একজন সত্যিকার মানুষের আদলে গড়ে তোলেন।
১৮৯২ সালের ৪মে কোনান ডয়েল এক চিঠিতে ডক্টর বেলকে লিখেছিলেন, “এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, আপনাকে দেখেই আমি শার্লক হোমস এর চরিত্র সৃষ্টি করেছি। শার্লক হোমসের বিশ্লেষণী ক্ষমতা কোনও বানানো অতিরঞ্জিত ব্যাপার নয়। এডিনবরা হাসপাতালের বহির্বিভাগে আমি নিজে আপনাকে ওই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে দেখেছি।”
হোমসের মত লেখক আর্থার ও ছিলেন বিখ্যাত বক্সার...
শার্লক হোমসঃ
উইলিয়াম শার্লক স্কট হোমস। প্রথমে অবশ্য ডয়েল তার নামকরন করেছিলেন শেরিনফোর্ড হোমস। পরে তা পরিবর্তন করেন। হোমস পদাবিটি বিখ্যাত মার্কিন লেখক"অলিভার অয়েন্ডেল হোমসের" নাম থেকে নিয়া...
তার জন্ম ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে ১৮৫৪ সালের ৬ জানুয়ারী। সাইগার হোমস এবং ভায়োলেট শেরিনফোড এর সন্তান তিনি। তার দাদা মাইক্রফট হোমস। হোমসের বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলে বড় হইয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে, কিন্তু হোমস হয়ে যান কনসাল্টিং ডিটেকটিভ। হোমস পড়াশোনা করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। যদিও এ নিয়ে বহু বিতর্ক আছে। কেমব্রিজ এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বহু বছর ধরে এ বিতর্ক চলে। শেষে অবশ্য অক্সফোর্ডের দিকেই পাল্লা ভারী হয়। তিনি অবিবাহিত। নারী বিদ্বেষী। হোমস এছাড়াও বক্সিং,তলোয়ার যুদ্ধ, ঘোড় সওয়ারে দক্ষ ছিলেন।
সহকারী ডক্টর ওয়াটসনঃ
ড. জন এইচ ওয়াটসন একজন যুদ্ধফেরত চিকিতসক সৈনিক। কোন একসময় তিনি হোমসের ফ্লাটে রুমমেট হয়ে উঠেন। এ সাক্ষাতেই শুরু হয় হোমসের প্রথম অভিযান "A Study In Scarlet" (ডয়েল গল্পটি লেখেন ১৮৮৬ সালের মার্চ মাসে , প্রকাশিত হয় এর পরের বছর) । হোমসের বেশিরভাগ গল্পই বর্ণিত হয় ওয়াটসনের মুখ থেকে। ওয়াটসন তার মেডিক্যাল ডিগ্রি লাভ করেন Barts and The London School of Medicine and Dentistry,এবং the University of London 1878 সালে। পরবর্তীতে তিনি ট্রেনিং নেন ব্রিটিশ আর্মিতে। দ্য এডভেঞ্চার অফ দ্য এম্পটি হাউজ - এ ওয়াটসনের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু ঘটে। পরের বিভিন্ন বইয়ে ওয়াটসনের দ্বিতীয় স্ত্রীর অস্তিত্ব জানা গেলেও, ডয়েল তার নাম উল্লেখ করেননি। ওয়াটসনের সর্বমোট ৬ স্ত্রীর কথা জানা যায়।
অন্যান্য চরিত্রঃ
বলা হয় এই সিরিজে শার্লকের চেয়েও প্রতিভাধর ৩টি চরিত্র রয়েছে-তার একটি হচ্ছে প্রফেসর মারিয়র্টী। তিনি উপন্যাসের প্রধান ভিলেন চরিত্র। তাকে ডয়েল উল্লেখ করেছেন " নেপোলিয়ন অফ ক্রাইম" হিসেবে। The Adventure of the final problem এই মরিয়র্টির উত্থান হয়। ইংল্যান্ডের পুরো অপরাধ জগতকে মরিয়র্টি নিয়ন্ত্রণ করতেন। প্রকৃতপক্ষে ড ওয়াটসনও কোনদিন মরিয়র্টিকে সরাসরি দেখেননি। শার্লক হোমসের তীক্ষ্ণবুদ্ধিকে মরিয়র্টি পর্যন্ত সম্মান করতেন। তবে তার আসল উদ্দেশ্য ছিল হোমসকে খুন করাই।
আইরিন এডলার হচ্ছে এই সিরিজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নারী চরিত্র। একজন নারীকেই হোমস সম্মান করতেন তিনি হচ্ছেন - আইরিন এডলার। তার কথা উঠলেই তিনি শ্রদ্ধার সাথে বলেন- "সেই ভদ্রমহিলা"।
ইন্সপেক্টর লেস্ট্রাড , স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডে কাজ করেন। তার সম্পর্কে বলা হয়- "স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডে হেটে যাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় গোয়েন্দা" ।
গল্পগুলোঃ
শার্লক হোমসের প্রথম গল্প "A study in Scarlet" ফ্লপ হয়।
১৮৯০ সালে প্রকাশিত হয় ডয়েল এর পরবর্তী গল্প "The Sign Of Four" । গল্পটির পটভূমি ১৮৮৮ সালের। ড. ওয়াটসনের হবু স্ত্রী Mary Morstan কেও এ গল্পে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় ।
শার্লক হোমসকে নিয়ে করা ৪টি উপন্যাসঃ
A Study in Scarlet
The Sign of the Four
The Hound of the Baskervilles
The Valley of Fear
ডয়েলের গবেষণাঃ
ফরেনসিক সাইন্স নিয়ে হোমসের গবেষণাগুলো বাস্তবক্ষেত্রেও প্রয়োগ হয়েছে। লেখক ডায়ালের ক্রাইম তদন্তে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি কেবল গল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এশিয়া , ইউরোপ, আমেরিকা গোয়েন্দা সংস্থায় অনুসৃত হচ্ছে সেই সব পদ্ধতি।শার্লক হোমস উদ্ভাবিত অনেক পদ্বতি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পুলিশরা ব্যাবহার করে...
কোথাও বোমা হামলা বা খুন হলে তার আশেপাশের এলাকা "Crime Scene" লেখা একটি টেপ দ্বারা ঘিরে দেয়া হয় , এটি হোমসেরই অবদান।
চীনা ও মিশরের পুলিশের পাঠক্রমে শার্লক সিরিজ পাঠ্যহিসেবে নির্দিষ্ট...
চলচ্চিত্রঃ
পৃথিবীর চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার চিত্রায়িত চরিত্র। প্রায় ২০০ এর অধিক মুভি এবং ৭০ জনেরও বেশি অভিনেতা এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন। Sherlock Holmes Baffled হচ্ছে প্রথম চলচ্চিত্র হোমসকে নিয়ে করা। এর দৈর্ঘ্য ১ মিনিটেরও কম। ১৯০০ সালে এটি চিত্রায়িত হয়।
এছাড়া বিগত কয়েক বছরে শার্লক হোমসকে নিয়ে সাড়া জাগানো কিছু মুভিও রিলিজ হয়েছে। গাই রিচির পরিচালনায় Sherlock Holmes (2009) এবং Sherlock Holmes: A game of Shadows (2011). দুটি মুভিই বক্স অফিসে ভালো আয় করে। রবার্ট ডাউনি জুনিয়র এখানে শার্লক হোমসের চরিত্রে অভিনয় করেন এবং জুড ল অভিনয় করে ওয়াটসনের চরিত্রে। এ মুভিতে অভিনয়ের জন্য রবার্ট ডাউনি জুনিয়র গোল্ডেন গ্লোব এওয়ার্ড পান। 'শার্লক হোমস- এর এই দুটি হলিউডি মারদাঙ্গা ছবি। যদিও এ মুভিগুলোতে তীক্ষ্ণবুদ্ধির শার্লক হোমসের পরিবর্তে একশন হিরো হোমসকে দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। প্রচুর গোলাগুলি, বিস্ফোরন, খালি হাতের মারামারি এই ছবিতে আমাদের পরিচিত শার্লক হোমসকে একজন গোয়েন্দা থেকে একশান হিরো বানিয়ে দিয়েছে।
গেইম অব শ্যাডোজ এ প্রফেসর মরিয়ার্টি হিসেবে জার্ড হ্যারিসের অভিনয়ও ছিলো প্রশংসনীয়। প্রফেসর মরিয়ার্টির যে চারিত্রিক গাম্ভীর্য আছে তা জার্ড হ্যারিস পূরণ করেছেন।
প্রতিটি সেকেন্ডে বানিজ্যিক প্রয়োজনে টানটান উত্তেজনা রাখতে গিয়ে শার্লক হোমস চরিত্রের প্রখর পর্যবেক্ষন ক্ষমতার কোন বিশদ বিবরন পাওয়া যাবে না। ছিটেফোটা কিছু একটু পাওয়া যাবে।
টিভি সিরিজঃ
১/শার্লকঃ
বিবিসি এর বিখ্যাত শার্লক টীভি সিরিজ। IMDB রেটিং দেখেই বোঝা যায় কি পরিমাণ জনপ্রিয় এই টিভি সিরিজটী। বেনেডিক্ট কাম্বার ব্যাচ এবং মার্টিন ফ্রিম্যান যথাক্রমে হোমস ও ওয়াটসন চরিত্রে অভিনয় করেন। আধুনিক এই শার্লক টিভি সিরিজেও খুজে পাওয়া যাবে না উপন্যাসের সেই শার্লক হোমসকে। তার চরিত্রের অনেক পরিবর্তন রয়েছে এখানেও। এখানে পাওয়া যাবে নন স্মোকার, স্মার্ট এবং তরুণ শার্লক কে যার আছে একাধিক বিষয়ে জ্ঞান , সূক্ষ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং কিছু প্রযুক্তিগত দক্ষতা । কাহিনীরও রয়েছে অনেক পরিবর্তন।
এই সিরিজের বেশিরভাগ পর্যালোচনাই পেয়েছে ইতিবাচক রূপ। টিভি সিরিজটি BAFTAs এবং মুখ্য এমিস সহ আরো অনেক পুরস্কারের জন্য বিভিন্ন বিভাগ জুড়ে নমিনেশন পেয়েছে । প্রথম সিরিজ BAFTA শ্রেষ্ঠ টিভি সিরিজের জন্য পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে । IMDB তে ভালো রেটিং পেয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি রেটিং পেয়েছে ‘স্ক্যান্ডাল ইন বেল্গ্রেভিয়া’ ।
২/ ইলিমেন্টারিঃ
আধুনিক শার্লকের আমেরিকান ভার্সন হচ্ছে ইলিমেন্টারি সিরিজের প্রধান চরিত্র শার্লক হোমস। এইখানে অভিনয় করেছেন জনি লি মিলার। ইলেমিন্টারির প্রতিটি সিজনে পর্ব সংখ্যা ২৪। এই গোয়েন্দা সিরিজের গল্পগুলো গতানুগতিক নয়।
এই সিরিজের সবচেয়ে বড়ো ধাক্কা হচ্ছে ওয়াটসন এখানে একজন নারী! লুসি লিউ এখানে ওয়াটসনের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। জন ওয়াটসনের নাম পাল্টিয়ে এখানে নাম জোয়ান ওয়াটসন।
তবে আরও বড় ধাক্কা অচ্ছে এই সিরিজে মরিয়র্টি পর্যন্ত একজন নারী (!!!)
রাইখেনবাক জলপ্রপাতঃ
এই সেই জলপ্রপাত। প্রফেসর জেমস মরিয়র্টির সাথে লড়াই করতে গিয়ে এখানেই তার মৃত্যু হয় ।
রাইখেনবাকের এই ভয়ংকর খাদের কিনারায় দাড়িয়েই দ্বন্দযুদ্ধ হয় তাদের মাঝে। লড়াই করতে করতে দুজনই খরস্রোতা পানির মাঝে পড়ে যান। হোমসের সাথে সাথে তলিয়ে যান মরিয়র্টিও। এভাবেই " Final Problem" গল্পে মৃত্যু হয় শার্লক হোমসের। তবে তার দেহ পাওয়া যায়নি । এছাড়াও আরও অমীমাংসিত অনেক ঘটনা রয়েছে গল্পে যার কারণেই পাঠকেরা বিশ্বাস করতে পারেনি শার্লক হোমসের মৃত্যু।
জনপ্রিয়তাঃ
হোমসের মৃত্যুকে সহজভাবে নেননি তার ভক্ত অনুরাগীরা। শার্লক হোমস তাদের কাছে এক অমর,অবিনাশী চরিত্র। এমনকি তার স্রষ্টাও তাকে মারতে পারেন না। প্রকাশকদের অনুরোধে এবং পাঠকদের চাপে ডয়েল বাধ্য হন শার্লক হোমসকে মৃত্যু থেকে ফিরিয়ে আনতে। "The Return Of Sherlock Holmes" এ আবার দেখা গেল হোমসের উপস্থিতি। বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে এরকম ঘটনা আর নেই।
প্রকৃতপক্ষে আর্থার কোনান ডয়েল শুধুমাত্র গোয়েন্দা কাহিনী লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাছাড়া এধরনের কাহিনী লিখতে গেলে প্রচুর মাথাও খাটাতে হয়। এ থেকে বাচতে তিনি আরও একবার চেষ্টা করেন হোমসকে শেষ করে দিতে- "His Last Baw" (1914) তে। এ গল্পে তিনি দেখেন ক্লান্ত হোমস এখন গোয়েন্দাগিরি বাদ দিয়ে মৌমাছি পালনে ব্যস্ত আছেন। হোমস এই গল্পে নিজ মুখে বলেন- এটি আমার শেষ তদন্ত অভিযান।
কিন্তু হোমস পালিয়ে কোথায় যাবেন! যতোই সরে পড়ার চেশটা করেন তাকে ফিরে আসতে হবেই। নিজের জালে নিজেই আটকা পড়েছেন ডয়েল। আবারও তিনি বাধ্য হন হোমসকে ফিরিয়ে আনতে- " The Case Book Of Sherlock Holmes" এ ।
বিখ্যাত ঠিকানাটিঃ
We met next day as he had arranged, and inspected the rooms at No. 221B, Baker Street, of which he had spoken at our meeting. They consisted of a couple of comfortable bed-rooms and a single large airy sitting-room, cheerfully furnished, and illuminated by two broad windows.
(Arthur Conan Doyle, A Study in Scarlet, 1887)
২২১ বি বেকার স্ট্রিট! লন্ডনের একটি ঠিকানা এটি। আর্থার কোনান ডয়েল গল্পগুলোতে হোমসের ঠিকানা হিসেবে এটী ব্যভার করেন। প্রথমে এই ঠিকানার কোন অস্তিত্বই ছিল না, পরবর্তী হোমসের সম্মানে তা তৈরী করা হয়।
প্রতিদিন শার্লক হোমসের নাম প্রচুর পরিমাণে চিঠি এসে এখানে জমা হয়। একটি নিতান্ত কাল্পনিক চরিত্রের প্রতি ভক্তদের এমন ভালোবাসা কল্পনা করা সত্যিই কঠিন!
স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের সৃষ্ট এই ধ্রপদী চরিত্র রক্তমাংসের মানুষ হয়ে গিয়েছেন স্রষ্টার অনুপম লেখনীর জোরে..
যতোদিন মানবসভ্যতা থাকবে ততোদিন শার্লক হোমসও থাকবেন।
তথ্যসূত্রঃ Wikipedia