somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভৌগোলিকভাবে এশিয়ার বিখ্যাত স্থানসমূহ

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্যবিলনের শূন্য উদ্যানঃ ইরাকে খ্রিস্টপূর্ব ৬০৩ সালে ইউফ্রেটিস নদীর তীরে নির্মান করা হয়েছিল। এটি নির্মান করেন ক্যানডিয় রাজা লেবু চাঁদ নেজার। এটি বর্তমান সপ্তাশ্চর্যের একটি।
৪০০০ শ্রমিক রাতদিন পরিশ্রম করে তৈরি করেছিল এই বাগান। বাগান পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত ছিল ১০৫০ জন মালী। ৫ থেকে ৬ হাজার প্রকার যুলের চারা রোপণ করা হয়েছিল এই ঝুলন্ত বাগানে।



ম্যানিলা- ফিলিপাইনের বৃহত্তম নগরী ও বন্দর। এখানে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা সংস্থা (IRRI) এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।




তাজমহল- ভারতের আগ্রায় যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত মূল্যবান শ্বেত পাথরের তৈরী মনোরম স্মৃতি স্তম্ভ। মোঘল সম্রাট শাহজাহান তার সহধর্মিনী মমতাজ মহলের সমাধির উপর ২২ হাজার লোকের ২৩ বছরের শ্রমের সাহায্যে এই সুরম্য স্মৃতিসৌধ নির্মান করেন। এটি মধ্য যুগের পৃথিবীর অন্যতম সপ্তাশ্চর্য।




ইস্পাহান- ইরানের প্রাচীন রাজধানী এবং বাণিজ্য পথের সংযোগস্থল । অনন্য ইসলামী স্থাপত্য, ছাদ ঢাকা সেতু, মসজিদ ও মিনারের অসাধারণ সৌন্দর্য আজও এসফাহনকে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে রেখেছে। এসফাহনের সৌন্দর্য কিংবদন্তীতুল্য।নাক্‌শ-এ-জাহান চত্বর বিশ্বের সবচয়ে বড় চত্বরগুলোর মধ্যে অন্যতম।





জেরুযালেম- ইসরায়েরলের একটি শহর। মুসলমান ,খ্রিশটান ও ইহুদীয়দের নিকট এটি পবিত্র ভূমি বা পবিত্র নগরী নামে পরিচিত
এই নগরটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে দু’হাজার সাত’শ ফুট এবং মরুসাগর থেকে চার হাজার ফুট উপরে। চারটি পাহাড়ের উপরে এ নগরীটি তৎকালে ছিল অনেকটা ঘোড়ার খুরের মত দেখতে, যার উত্তর দিকটা খোলা এবং পূর্ব, পশ্চিম এবং দক্ষিণ দিক সংকীর্ণ খাদ দ্বারা ঘেরা। পূর্বদিকে গভীর কিদ্রোণ স্রোত। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিন্নোম উপত্যকা শুরু হয়ে পশ্চিম দিক দিয়ে দক্ষিণামুখী হয়ে পূর্বদিকে নগরীর দক্ষিণ পূর্বে কিদ্রোণের সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
২৩ বার অবরুদ্ধ হয়েছে এ নগরী , হাত বদল হয়েছে ৪৪ বার, আক্রান্ত হয়েছে ৫২ বার ,আর সম্পুর্নভাবে ধ্বংশ হয়েছে দুই বার, পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এ নগরী। এখানেই ইহুদি ধর্ম ও ইসলামের পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ (যা টেম্পল মাউন্ট নামেও পরিচিত) অবস্থিত।



ইস্তাম্বুল- এই শহরটি এশিয়া ও ইউরোপ উভয় মহাদেরশের মধ্যে অবস্থিত। তুরস্কের প্রাচীন রাজধানী ও প্রাচীন নগরী। এর পূর্ব নাম কন্সট্যাটিনোপোল। ১৯২৩ সাল পর্যন্ত এখানেই ছিল তুরস্কের রাজধানীএছাড়া এটি বাইজান্টিয়াম পরিচিত ছিল। ১৪৫৩ সালে এটি তৎকালীন উস্‌মানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী হিসেবে ঘোষিত হয়। এটি তুরস্কের বৃহত্তম শহর যার জনসংখ্যা ১২.৮ মিলিয়ন। ইস্তানবুলের আয়তন ৫.৩৪৩ বর্গ কিলোমিটার (২,০৬৩বর্গ মাইল) । ইস্তানবুল একটি আন্তর্মহাদেশীয় শহর, এর এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা এশিয়ায় বসবাস করলেও এইটি ইউরোপর বাণিজ্যিক এবং ঐতিহাসিক কেন্দ্র।ইস্তানবুল একটি আন্তর্মহাদেশীয় শহর, এর এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা এশিয়ায় বসবাস করলেও এইটি ইউরোপর বাণিজ্যিক এবং ঐতিহাসিক কেন্দ্র।



তিয়েন ম্যান স্কোয়ার- চীনের রাজধানী। বেজিং এ অবস্থিত ঐতিহাসিক গুরত্বপূর্ণ স্থান। তিয়েন ম্যান অর্থ চির শান্তির তোরণ। এই স্কোয়ারে দাঁড়িয়ে ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর চীনের মহান নেতা মাও সে তুং চিনকে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেন। এই স্কোয়ারে দাঁড়িয়ে ১৯৮৯ সালের জুন মাসে চীনা ছাত্ররা গণতন্ত্রের জন্য বিক্ষোভ শুরু করলে চীন সরকার সে বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমন করে। এজন্য চীনকে পশ্চিমা বিশ্বের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।




চীনের প্রাচীর- ১৯৬৮ কিমি দীর্ঘ এই ঐতিহাসিক প্রাচীরটি চীনের হেবী প্রদেশ থেকে পর্বতাকীর্ণ অঞ্চল পেরিয়ে উগুয়ান গিরিপথ হয়ে গোবি মরুভূমিতে এসে শেষ হয়েছে। চীনের মহাপ্রাচীর মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য।এটা পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি এবং পর্যটকদের নিকটি একটি দর্শণীয় স্থান। দ্বাদশ শতেওকে যুদ্ধরাজ মঙ্গোলদের আক্রমণ থেকে চীনকে রক্ষার জন্য তদানিন্তন চীনা সম্রাট এই প্রাচীরটি নির্মান করেন।



স্বর্ণমন্দির - ভারতের পাঞ্জাব প্রদেরশের অমৃতসর নগরীতে অবস্থির শিখদের পবিত্র মন্দির। ১৯৮৪ সালে ভয়ারতের ইন্দিরা সরকার স্বাধীনতাকামী শিখদের দমনের জন্য উক্ত মন্দিরে ব্ল স্টার নামক অভিযান পরিচালনা করে। এর ফলে শিখ সম্প্রদায় এর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে নহত হন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।




স্বর্ণমন্দির ভ্রমণ নিয়ে ব্লগার কুন্তল_এ এর পোস্টঃ
ভ্রমণ : দিল্লী থেকে অমৃতসর ... স্বর্ণমন্দির ছুঁয়ে একটি ঝটিকা সফর - ১ম পর্ব





আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী যাদের এতোদিন কমেন্ট দিয়ে বিরক্ত করেছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
৩৯টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×