'৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নেতৃত্বে ছিলো বিএনপি।
পরবর্তী ক্ষমতায়ও বসেছে বিএনপি, তারপরও সে যুগপৎ আন্দোলনে জাতীয় পাটি ছাড়া দেশের অন্য সকল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা ছিলো।
কিন্তু বর্তমানে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে একমাত্র বিএনপি ছাড়া আর কোন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নেই বললেই চলে।
অন্য ছোট খাটো ব্যানারে কিছু মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে চেষ্টা করছে তার মধ্যে ভিপি নুর, মাহমুদুর রহমান মান্না ভাই, জেনারেল ইব্রাহিম বীর উত্তম সাহেব, সহ গুটি কয়েক সংগঠন ও ব্যক্তি বিশেষ ।
এক্ষেত্রে ফ্যাসিস্ট শাসকের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত অন্য একটা রাজনৈতিক দল বিশেষ করে স্বাধীনতা বিরোধী অপবাদ পাওয়া দল জামায়াত ইসলামী তাদের নেতা সাইদী হুজুরের রায়ের পর যে অবরোধ করেছে তারপর থেকে রাজপথ থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে আত্মরক্ষার ভিন্ন কৌশলে অবস্থান করছে...তাদের অনেক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা নাকি আগামী ৫০ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে! তাদের এই পরিকল্পনা বড় উদ্ভুতও বটে। হাত-পা গুটিয়ে নিজেকে সেইফ জোনে নিয়ে যাওয়া বড় বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
যদিও আমরা গণতন্ত্রপন্থীরা বিশ্বাস করি দেশে একদিন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, আর তার নেতৃত্ব আবারো বিএনপি দিবে।
এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মুক্ত দেশে আবারো অনেকে মাস্তানি ও ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে টানাটানি করবে।
এটা অতীতেও দেখেছি ভবিষ্যতেও এমনটাই হবে, কারণ বিএনপিতে খাঁটি দলপাগল কট্টর বিএনপি থেকে হাইব্রিড ও জামায়াতপন্থী বিএনপির সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
এবং দলের সুসময়ে আজকের নব্য লীগারদের হয়ে অনেকে নিজ দলের নেতাকর্মীদের বিপক্ষে অবস্থান নিবে।
আমি মনে করি এখনি জামায়াত সহ অন্য সকল গণতন্ত্রপন্থী দলের ফ্রন্ট লাইনে এসে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা উচিত।
ভোটের জোটে না থেকে যে যার মতো একক প্রার্থী দিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক।
আগে সবাই মিলে ৯০ এর মতো স্বৈরাচার বিদায়ের প্রস্তুতি নিতে হবে সবাইকে।