ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে তে এবং আইটিতে কাজের সুবাধে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটা ধনী ডিজিটাল দেশে প্রায় যাওয়া হয়। তবে বেশিরভাগ সময় থাকি সৌদিতে।
সৌদিতে আমার বাসায় সপ্তাহে ১ দিন দুই তিনজন লোক এসে কলিং বেল দেয়। সেই সময়টা বিকেল বেলায় আমার রেস্টের সময় । মাঝে মধ্যে বিরক্তিবোধ করলেও পরক্ষণে চিন্তা করি এটা তাদের ডিউটি এবং এই ডিজিটাল রাষ্ট্রের রুল ।
লোক গুলো আসে প্রতি সপ্তাহে ১ বার কিচেন ও ওয়াশরুমে বিশেষ এক ধরণের স্প্রে দেয়ার জন্য।
এই স্প্রেতে মশা, মাছি, তেলেপোকা, উইপোকা সহ সকল ক্রীটপতঙ্গ থেকে মানুষ এবং খাদ্য নিরাপদ থাকে।
বিনিময়ে কোন অর্থ তাদের দিতে হয় না । এরা চাকুরী করে বলাদিয়া কোম্পানীর হয়ে । আর কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছে সৌদি রাষ্ট্র।
তারা বাসায় এসে তাদের কাজ শেষ করে প্রতিদিন তাদের ওয়ার্ক রুটিন বুকে আমার নাম, স্বাক্ষর মোবাইল নং এবং কাজ করার সময় ছবি তুলে রাখে ।
তারা যে প্রতিটি বাসায় ডিউটি পালন করেছে তার প্রমাণ স্বরূপ ।
এবং সৌদিতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ফগার মেশিন দিয়ে অলিগলিতে মশা মারার স্প্রে সহ ধোঁয়া ছিটানো হয়।
হঠাৎ কথাগুলো বলার পিছনে একটি কারণ আছে সম্প্রতি আমাদের নাইট ভোটের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিবিসির এক সাংবাদিকের স্বাক্ষাত হয়েছে । স্বাক্ষতে দেশের সময়সাময়িক নানান সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিবিসিকে দেয়া স্বাক্ষাতকারে সাংবাদিক সম্প্রতি ঢাকা সহ সারাদেশে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণে সরকার বা সেটি করর্পোরেশনের কোন ব্যর্থতা আছে কিনা বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আগাম সতর্ক বার্তা পাওয়ার পরও ব্যবস্থা না নেয়ার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে করা প্রশ্নে নাইট ভোটের সরকার প্রধান উল্টো দুই ব্যর্থ মেয়রের পক্ষে সাফাই গাইলেন তিনি। এবং তিনি
বলেন সিটি করর্পোরেশনের লোক প্রতিটি ঘরে ঘরে যেতে পারবে না। এটা সম্ভব না। মশা নিধনে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে ।
হই হলো রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর কথা।
কিন্তু আমরা যখন যখন বিদেশে যাই সেখানে দেখি এসব রাষ্ট্রের বা সিটি করর্পোরেশনের নিয়মিত রুটিন ।
যদি এসব দায়িত্বের কথা অস্বীকার করে তবে দেশ কিভাবে ডিজিটাল হয়েছে বলে সাফাই গায়?
ডিজিটাল দেশের নাগরিকরা কি মশার কামড়ে মৃত্যু বরণ করে গণহারে ?
আর কি কি সুবিধা পেলে েএকটি দেশ ডিজিটাল বা হাফ ডিজিটাল হতে পারে এসব প্রশ্নের উত্তর চাই ১ এই বিশ্বয়নের যুগে ১ যুগ ধরে তথাকথিত উন্নয়নের দোহাই দিয়ে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারীদের কাছে।
কানাডায় একটি ভবণে আগুণ লেগে ৪ জন শিশুর মৃত্যুতে সে দেশের একজন হেভিওয়েট মন্ত্রী পদত্যাগ করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছিলো। আর আমার দেশে ব্যর্থদের পক্ষে সাফাই গেয়ে তাদেরকে বাহবাহ দেয়।
কতটা নিষ্ঠুর ও বেহায়া হলে একটি দেশের সরকার প্রধান নিজেদের ব্যর্থতা দায় স্বীকার করে না । যেখানে ১ শ’র উপরে মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮