সম্প্রতি রবি ঠাকুরের লিখা জাতীয় সংগীত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে দেশের কতিপয় হুজুগে দেশপ্রেমিক
“আমি এই দেশে এই সমাজে জন্মেছি বলে শুধু এই দেশের এই সমাজের নয়, আমি সকল দেশের, সকল মানুষের”
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কথাটির মর্মার্থ কেউ বুঝেছেন কি ?
কবি সাহিত্যিকরা যেখানেই জন্ম গ্রহণ করুক না কেনো তারা নির্দিষ্ট কোন দেশের, জাতির বা বর্ণের নয়। তারা সকলের
আমাদের জাতীয় সংগীতে ইসলাম বিদ্বেষী কোন শব্দ নেই, নেই কুরূচিপূর্ণ কোন শব্দও নেই। আছে দেশের প্রতি মায়া মমতা আর গুণগান।
এখনে হুজুগেদের চোখে দুটা সমস্যা একটি তিনি হিন্দু ছিলো, দ্বিতৃয়টি এখানে নাকি বাংলাদেশকে প্রজেন্ট করা হয়নি বলেছেন। আমি এমনটি মনে করি না। আমি মনে করে সোনার বাংলা সংগীতটিতে দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পায় প্রতিটি নিঃশ্বাসে ।
তবে হ্যাঁ বিশ্বের ৩০ টির বেশী দেশে ২য় বার তাদের জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করেছে। এবং অনেক দেশ তাদের জাতীয় পতকাও পরিবর্তন করেছে। যদি সংখ্যাগিরিষ্ট নাগরিক সেটি চায় তবে তার উপর একটা গণভোট হতে পারে এতে দোষের কিছুই নাই। রাষ্ট্রদ্রোহিতারও কিছুই নেই।
তবে বাংলাদেশে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত হাজার সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে ফ্যাসিবাদ , অগণতন্ত্র, দুশাসন, জুলুম, লুটপাট, দুর্নীতি, খুন, ধর্ষণ, জণগনের অধিকার লুন্টুন ভোট ডাকাতি, ব্যাংক ডাকাতি।
বন্যা সহ প্রাকৃতিক দূযোগে সরকারের ব্যর্থতা ।
সামান্য মশা নিধেনে ব্যর্থতার কারণে দেশের ২ শ’র উপরে মানুষের জীবন চলে গেছে এছাড়ও
উন্নয়নের নামে তামাশা। দ্রব্যেমূলের লাগামহীনতা, অব্যবস্থাপনা, সড়ক দুর্ঘটনা, এসব বড় ইস্যু থাকতে হঠাৎ জাতীয় সংগীত নিয়ে জলঘোলা করা ভিশন দৃষ্টিকুটু দেখায়।
তাই সকলের প্রতি আহবান প্রতিবাদ করুন সমসাময়িক অনিয়মের বিরুদ্ধে বা সেটি দরকার , অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে নয় ।
নোবেল হয়তো কথাটি সেই ভাবে বুঝিয়ে বা গুছিয়েছে বলতে পারিনি। বা অসাবধানতায় বলে ফেলেছে তাই বলে তার কথাটিকে একেবারে উপরে তুলে বাংলাদেশ গানটিকেই জাতীয় সংগীত করতে হবে ?
আমি মনে করি এসব অতি রঞ্জিত বাড়াবাড়ি ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৭