বদু কাকা যখন বিকল্পধারা গঠণ করলেন।তাদের চকমপ্রদ কথায় গলে গিয়েছিলাম।মনের ভিতর ইচ্ছা এবার ডানা মেলতে শুরু করলো।ভবিষ্যতে রাজনীতিতে নাম লিখাবো।কিছুদিন না যেতেই দেখি ডানা ঝাপটানোর আগেই আমার ডানার সব পালক ভেংগে গেছে।তারপর ইউনুস সাহেব আসলেন তার একথায় স্বপ্ন আমার হয়েছিল রাজী।রচনায় শুধু এতোদিন পড়েছিলাম। আমি ডাক্তার হবো। আমি রাজনীতিবিদ হবো এই কথা কেউ লিখার সাহস তো দূরের ব্যাপার।ইচ্ছা করাও যেন পাপ।
ইউনুসের পক্ষ্যে কথা বলা শুরু করলাম।কথার বেলুন ফুটে চুপসে গেছে
শেখ হাসিনা আসলেন দিনবদলের সনদ নিয়ে। দিন বুঝি এইবার সত্যিই বদলাবে। আবার ফিড়ে আসলাম ব্যক টু দি প্যাভিলিয়ন। কিছুদিন যেতে না যেতেই দেখি শিয়াল যেমন রঙ পাল্টানের পরও তার জাতির ডাক কুহ কুহ পাল্টাতে পারেনা।এই দিন বদলের পরিবর্তে শুরু হলো তেলবাজী,শেয়ারবাজার লুট,কলা ভবনের সামনে মিছিলের নামে হুংকার।ব্যাংক লুট,দুর্নীতিরর কথা নাইবা বদলাম।নাটকের পর নাটক দেখতে দেখতে নিজের উপরে নিজের ঘৃনা ধরে গেল। ভিন্ন মত আর ভিন্ন পথের হলে কিভাবে গলা চিপে ধরতে হয়।এই সবে পারঙ্গম। এই দিন বদলের জন্যে বাড়ি বাড়ি ঊঠান বৈঠক।মিছিলের নেতৃত্ব। মানুষকে নৌকায় ভোট দিতে উতসাহিত করা। যারা অন্যদলের ভোটার তাকে নিরতসাহিত করা সহ দিন রাত এককরে পরিশ্রম করা।এতো শ্রম আর এতো পরিশ্রম দেখে মা বলতে বাধ্যহলো কোনোদিন তো দেখিনি রাজনীতি করতে, এখন এই রকম ভাবে খানা দানা ভুলে ভোটের মাঠে নামলি।কবর থেকে উঠে তোর বাবা কি নির্বাচন করছে?
আমি বললাম মা এইবারের নির্বাচন আশাবাদীর নির্বাচন। এইবার মাথা উচু করে বাচার নিশ্চয়তার নির্বাচন।এবার দিন বদলের নির্বাচন।
এইবার উন্নয়ন আর সুসাশনের নির্বাচন।
দিনবদলের সরকার আসলো। এইবার মাথা উচু করে বাচবো।সম্মান নিয়ে বাচবো।,,,
এক উন্নয়ন ছাড়া আর কিছুই দেখিনি।সম্মান যেটা আগে সেটা ছিলো সেইটুকুই তো নেই। স্বাধীনতা সেতো পরাধীনতার অন্যনাম।মাথার উপরে ঋণের বোঝা চাপিয়ে আজ সত্যিই উন্নয়ন দেখতে ভালো লাগছেনা উলটো আপদ মনে হচ্ছে ১০ বছরে মাথাপিছু ঋণ বেড়েছে ১০ গুনের চেয়ে বেশি।বিদেশে টাকা পাচার গত ৪০ বছরে যা হয়েছে গত ১০ বছরে তার চেয়ে বেশি।
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ কয়েকগুণ বেড়েছে একই পরিবারে মামলা মোকাদ্দমা বেড়েছে শুধু ভিন্ন মতের কারণে। হিংসা বিদ্ধেষ রেশারেশি অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে।
দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার চেয়ে ব্যক্তি ও দলের প্রতিই বেশি । চরিত্রহনন সেটাতো এখন ডালভাত। সত্য কিছুই বললেই দেশোদ্রোহী।সাংবাদিকতা হয়েছে দলদাস ছাংবাদিকতা।এতো অন্যায়, এতো অনিয়ম দেখেও মাঝে মাঝে আমরা আশাবাদী হতাম।
কপিনের শেষ পেরেক হিসেবে ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া। যেই ভোটের অধিকার চাইতে গিয়েই মুলত দেশ স্বাধীন হয়ে।যে ভোটের অধিকার চাইতে গিয়ে মার্চের কালো রাত নেমে আসে।যে ভোটের অধিকার চাইতে গিয়ে ঢাকার রাজপথে রক্তগঙ্গা বয়েছে। আজ স্বাধীন দদেশে সেই ভোটের অধিকারই নেই ।২০১৪ সালে আমি নিজেও একজন আওয়ামী কর্মী, সমর্থক, সংগঠক। আমার মতো লক্ষ লক্ষ এই রকম আওয়ামী সমর্থক নয়, লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মী ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। সাধারণ জনতার কথা নাইবা বললাম।নিজের দল ক্ষমতায়।। আর আমরা কিনা ভোট দিতে পারলাম না। এইটা ভাবলেই নিজের প্রতি নিজেই থুথু নিক্ষেপ করি।
তুমি দলদাস, তুমি কৃতদাস হতে পারো।তাই তোমার বিবেক কিছু বলেনা।। মানুষের অধিকার কেরে নেওয়া কেউ আমার নেতা হতে পারেনা।
মাশরাফি তার নিজের যোগ্যতায় নিজেকে অনন্য উচ্চাতায় এনেছে আমার মতো লক্ষ লক্ষ যুবক তার দিকে তাকিয়ে ছিলো।।।
তাকে নিয়ে আশাবাদী হতে চেয়েছিল। বাংলাদেশ একজন নতুন নেতা পাবে তেলবাজী,দলদাস মুক্ত একটি বাংলাদেশ দিবে।
সে আশা আজ গুড়েবালি।ঊনি আজ #MP হতে চান
দেশের মানুষ যে উনাকে p টা আগে এনে #PM হিসেবে দেখতে চায়।
আশাবাদী হতে দোষ নেই কেউ না কেউ ঠিকই একদিন বেড়িয়ে আসবে।।।১৬ কোটি মানুষ তাকিয়ে আছে,, নেতা আসবে,,,
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫