বিমানে বসে আছি।।এর আগে কোনোদিন বিমান চড়েনি।অনেকে শখ করে দুধের স্বাদ গোলে মিটায়।।বিমানের টিকেট কেটে ঢাকা টু কক্সবাজারে যায়।।আমি কোনোদিন বিদেশে চলে যাবো ।।আজ থেকে ৫ বছর সেটা ছিলো আকাশ কুসুম কল্পনা।কেউ আমার সামনে বিদেশ যাওয়ার কোনো প্রসংগো তুলতে পারতোনা। ব্যক্তি আমি সফল নই।না আছে আমার হাইলাইটস করা ক্যারিয়ার,না আছে ভালো সিজিএ। কিছু নেই। সব সময়ে ভাবতাম উদ্যোক্তা হবো।তাই হেন কোনো ছোট কাজ নেই যা করিনি। দেশের প্রথম সাড়ির পাবলিক ইউনি ভার্সিটির একজন ছাত্র হয়েও মিরপুরে মাথায় করে মালের গাট্টি তেনেছি।দিনরাত কারখানায় কাটিয়েছি। আমাদের অন্য বন্ধুরা যখন নারীর প্রেমে ব্যস্ত সময় রেস্টুরেন্টে নির্জনে কাটাচ্ছে তখন আমরা মাথায় করে চাষাড়ায় নিট কাপড়ের বস্তা ট্রেনে তুলছি। হাতে দুদিন সময় পেলে বন্ধুরা যখন হ্যাঙ্গাউটিং যাচ্ছে আমি তখন গ্রামের স্কুলের হোস্টেলে ছেলেদের ইংরেজী পরাচ্ছি ।।রাত জেগে স্বপ্ন দেখাচ্ছি ।।ভার্সিটিতে তোমরাই পড়বে।।এই আমাকে দেখো ।।এই স্কুলের আমি পারলে কেন তোমরা নয় ।।এভাবে যখন ৬ বছর শ্রম দিয়ে আজ শত শত ছেলে শুধু আমাদের গ্রাম থেকে অনার্স করছে।
এভাবে দুহাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছি নিজের উদ্যোক্তার স্বপ্ন আর গ্রামের ছেলেদের স্বপ্ন ।।
এই আমি আজ বিমানে বসে আছি ।।দেশ ছেড়ে চলে যাবো।। উদ্যোক্তা গুনে খাওয়া এক খন্ড কাঠ।।কিছু নেই শুধু কাঠের মতো দেখতে। হঠাৎ করে দেশের শেয়ার বাজার ফল করে তার সাথে ফল করে আমাদের স্বপ্নও।যদিও কোনদিন ফটকাবাজির এই শেয়ারবাজেরে আমাদের ১ টাকাও বিনিয়োগ করিনি তারপরেও আমরা ধরা খেলাম।
এই সব যখন ভাবছি ।।মাটি থেকে হাজার হাজার ফুট উপরে তখন আমার বিমান।
একদম চুরি করে, না বলে ।।দেশত্যাগ।।এ যে এক পরাজিত সেনাপতির প্রস্থান। নিজেকে কোনো ভাবেই সান্তনার দেওয়ার মতো নেই ।কোনো শব্দ নেই ।এক আহাজারি।।এক বেদনা সিক্ত আখ্যান।
এইরকম পরাজয় আমি মেনে না নিয়ে কেন আত্নহত্যা করিনি তা যেমন ছিলো অনেকের কাছে প্রশ্ন।তেমন আমার কাছেও।
দেশ ও মানুষ নিয়ে কি ভাবনাই ভাবতাম । সেই তাগিদ থেকেই একজন উদ্যোক্তা হওয়ার বাসনা,।
সেই পুরুনো কাসন্দি আর ঘাটিনা।
সফলতার পথ শুধু সফলরাই জানেনা ব্যর্থরাও ভালো জানে।ইতিহাস শুধু সফলদের কথা ইতিহাসে রাখে ব্যর্থদের স্থান নেই।
ইতিহাস যদি বুঝতো সে শুধু একটুর জন্যে সফল ।ব্যররথ শুধূ একটুর জন্যে ব্যর্থ?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৭