১৯৯২ সালের ১৬ ডিসেম্বর। ২৬ শে মার্চের পর থিকাই কেমন জানি নেশা ধইরা গেছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আর ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির প্রোগ্রামে যাওয়ার। ১৬ ডিসেম্বর ভোরে ঘুম থিকা উইঠা গেলাম শহীদ মিনার। মানুষে গিজগিজ করতেছিল। একটু পরে চারুকলা থিকা আরো বড় একটা মিছিল আসলো। সাড়ে সাতটার দিকে রওনা হইলো র্যালী। জোটের সাথে ছিল মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ড।
শহীদ মিনার থিকা বাইর হইয়া একেবারে বেইলী রোড দিয়া ঘুইরা কাকরাইল মসজিদ পার হইয়া শিশুপার্কের সামনে দিয়া শেষে চারুকলায় আইসা র্যালী শেষ হইলো। শেষে ফয়েজ আহমেদ একটা জব্বর বক্তৃতা দিলেন।
এই সময়টায় কোন ঢুশঢাশ হয় নাই। কিন্তু পুরা ব্যাপারটার মধ্যে একটা লাইফ ছিল। যেইটা ১৯৯৪ থিকা জোটের আর কোন কর্মসূ্চীতেই দেখি নাই। সবচাইতে ভালো লাগতো শ্লোগান গুলি -
ধর ধর ধর শিবির ধর
ধইরা ধইরা জবাই কর
ধর রাজাকার
খতম কর
মাবোনেরা হুশিয়ার!
রাষ্ট্রপতি রাজাকার !
এগুলা এখনো মনে মনে গুন গুন করি। তবে এগুলি ছিল মজার শ্লোগান। সবচাইতে টাচি শ্লোগান ছিল -
লাখো শহীদ ডাক পাঠালো সব সাথীদের খবর দে
সারা বাংলা ঘেরাও করে রাজাকারদের কবর দে।
সময় গেছে এরপরে বছর পনের। কত কিছু হইলো। রাজাকাররা ক্ষমতায় গেল। যাদের সেদিন সামনে পাইলে পাড়াইয়া চ্যাটকাইয়া মারা যাইতো ভোটের মাইর প্যাচে তারা গদী পর্যন্ত গিয়া পৌছাইছে। ডিজুস প্রজন্ম গোআর মুখে নুর দেখে, যেই মুখে আমরা জামাতে মুতছিলাম ১৯৯২ সালের ২৬ শে মার্চ প্রেসক্লাবের সামনে। এখনো মুতে ধরলে গোলাম আজমের মুখটা মিস করি। আর ওরা নুর দেখে। ওদের দেখানো হয়। আমরা অক্ষমের মতো চাইয়া দেখি। পেশাগতভাবে শিষ্টতা আমার নর্ম। কিন্তু এগুলা দেখলে আর শিষ্ট থাকতে পারি না। এই স্মৃতিগুলা মাথায় কিলবিল করতে থাকে।
আলোচিত ব্লগ
ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।
দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?
বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি হাজার কথা বলে
আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি
ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন