ইটস অল আ্যবাউট লুল গোত্রের সর্দার চেয়ারম্যান ০০৭। ‘লুল ভায়েরা আউগায়া আহেন, চুশিলরা গিয়া ললিপপ চুষো’১।
অনেক দিন চের্ম্যানের খবর না পাইয়া বাড়ি গেলাম। গিয়া দেহি চের্ম্যান বিধবা স্বামীর লাহান ঘরের এক কোনে বইসা আছে। জিগাইলাম মুখ মমতা ব্যানার্জীর মত কইরা রাখছ ক্যান? কয় তুই এসব বুঝবিনা। কইলাম খুইলা কও বুজমু।যা কইল:
গত রাইত মায়েরে কইলাম সব বন্ধু বিয়া কইরালাইছে। আমিও বিয়া করুম। রাস্তায় বাইর হইলে সবাই চাচা ডাকে। মায়ে কয় তুই এখনও ছোড তোর বিয়ার বয়স হয় নাই। তুই এসব পারবিনা বাপেরে কইলাম বাপেও আমারে বিয়া করাইবনা।মনের দুঃখে বনে বাস করতে গেলাম। কিছুক্ষন পরে দেহি মামা হেলে দুলে আইতাছে। ভয়ে আমার পুরা শরীর বরফ হইয়া গেছে। মামু সামনে আইলে কইলাম, আমারে খাইয়োনা। আমার রক্ত বরফ হইয়া গেছে। মামু কয় আরে ভাইগনা আমার তো কোল্ড ড্রিংকসই বেশি পছন্দ। মামুরে জিব্বা বাইর করি লুল ফালাইতে দেইখা দিলাম খিচ্ছা দৌড়। দেহি সিংহ মামু আমার পিছনে দৌড়াইতাছে আর পিচ্ছিল খাইয়া পইড়া যাইতাছে। আইসা খাটের নিচে লুকাই। সকালে মায়ে কয়েকটা চটকনা দিয়া খাটের নিচ থেইকা কান ধরে বাইর করে আনল। দেখি আমার লুঙ্গি ভিজা খাটের নিচেও একটু পানি।
লুল সম্রাট আমারে কয় সিস্টেমে হাঙ্গা করাই দেওন যায় কিনা। কইলাম এক কন্ডিশন শালী থাকলে
আমার লগে লিংক লাগাই দিতে অইব। এক ভেটকি দিয়া কইল আমি রাজি
বিভিন্ন মহলে তদবির চালাইয়া আন্টিরে রাজি করাইলাম। বিয়ার তারিখ ঠিক হৈল। শুভ দিনে বিয়া সম্পন্ন হয়ে আসল বহু প্রতিক্ষীত বাসর রাত। রাতে বিভিন্ন বিষয়ে বউরে নছীহত কৈরা চের্ম্যান কইল যদি অনুমতি দেও আমি তোমারে একটু আদর করমু। বউ শরমিন্দা হইল। চের্ম্যান আবার কয় জান তোমারে আমি চান্দে নিয়া যামু এবার অবলা মুখ খুলল, কৈল চান্দে নিবা না ফার্মগেট নিবা সেটা রকেট দেইখা বুঝা যাইব চের্ম্যান আনাড়ি বেডা কি করছে না করছে বউ পরের দিন হাসপাতাল হয়ে বাপের বাড়িতে ভূপতিত হইল।
কয়দিন পর অসুস্থ ভাবীরে দেখতে যাইতাছি। একটু যাইতেই দেহি ঘুড্ডির পাইলট রাস্তার মধ্যখান দিয়া হাটতাছে। ভাইয়ে কয়েকবার হর্ণ দিল লেকিন সাইড দেওনের কুনো সম্ভাবনা নাই। ভাইয়ে এবার মুখ বাইর কৈরা কৈল সাইড দেন্না ক্যা? শ্বশুর বাড়ি যাইতাছি। পাইলট সাবে কয় একটু আগে আমার উপ্রে দিয়া পিলেন গেছে আমার কিছু অয় নাই। আর আম্নে আইছেন নছিমন নিয়া সাইড নিতে। যান মিয়া ফুডেন। কৈলাম ভাই এ লোক বহুত খতরনাক চলেন আমরা নিচে দিয়া যাই।
ভাই ভাবীরে নিয়া রুমে ডুইকা দরজা বন কৈরা দিল। আমিও সুযোগ বুঝে শালীর লগে মনের ভাব আদান প্রদান কর্তে লাগলাম। লেকিন এ সুখ বেশিক্ষন স্থায়ী হয় নাই। চের্ম্যান মিশা সওদাগরের লাহান আইসা কয় এসব ইটিশ-পিটিশ চৈলবনা। এতো খাড়ার উপ্রে টাস্কি খাইলাম। কৈলাম আমাদের তো চুক্তি ছিল। এ চের্ম্যাইন্না মিরজাপরের লাহান কয় কুনো চুক্তি-টুক্তি নাই।
যাওনের লাই রেডি হও। সিরাজ উদ্দৌল্লারে ডাইকা কৈলাম কবরে আর একা দুঃখ কৈরনা আমিও আইতাছি
মনের মইধ্যে রাফাত নূরের(চে গুয়েভারা) ছবি
ভাইসা উঠতেই প্রতিশোধ স্পৃহ্ জাইগা উঠল। এ অন্যায়ের বিচার হওন দরকার। অ্যজ আমি প্রম নিউখালী, মনের মইধ্যে সুবুদ্ধির উদয় হইল। আমার লগে পোল্টি? দাড়াও তোমার জিন্দেগীরে বাঁশ বাগান বানাইতাছি।
চের্ম্যানের পূর্বের ও বর্তমানের কিছু ঘটনা মশলা মাইখা বেগম সাহেবার কাছে সেন্ড করে সিলসিলা জারি রাখলাম।
এক হপ্তা না যাইতেই চের্ম্যানে কয় হুনলাম বহুত স্বাধের লাড্ডু এ ডাইনীতো আমার জীবনডারে তামাতামা কৈরা দিল। এর পাশবিক অত্যাচারে আমার জীবন জর্জরিত। চল আন্দোলনের ডাকদি। একশান শুরু হই গেছে। আন্দোলন করো আর যাই করো আমার শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাঁশের আবাদ চলবে
১। চেয়ারম্যানের কালজয়ী উক্তি।
বিঃদ্রঃ এ গল্পে দু’জন সম্মানিত ব্লগার ভাইয়ের নাম ব্যবহার করেছি শুধুই মজা করার জন্য। কোন্ ভাবে আঘাত করার জন্য নয়। প্রোফাইলে আমার মেইল আইডি আছে। কোন্ শব্দ খারাপ মনে হলে বললে এডিট করে দেব।
ফডু ক্রেডিটঃ ফটোশপ পাউডার ও গুগল মামা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭