আম্মু...আম্মু... এই আম্মু...
জানো, আজকের দিনটা পৃথিবী তোমাকে উৎসর্গ করেছে। পৃথিবী আজ তোমাকে নিয়ে বড্ডো নাচানাচি করবে। আমিও আর সবার মতো মা, মা, মা করে গলা ফাটাবো। তবে বেশিক্ষণের জন্য নয়, হয়তোবা আজ সন্ধ্যেবেলাই তোমার সাথে কিছু একটা নিয়ে ঝগড়া বাধাঁবো। কথা কাটাকাটি করবো, চিল্লাবো, তোমার প্রেসার উঠবে, ঘুমাতে পারবেনা, অথচ খানিকপর পরই এসে জিজ্ঞেস করবে – ভাত খাবিনা?
মাগো, তোমরা এমন কেনো? কেনো তোমরা অবুঝের মতো আগলে রাখো তোমার সন্তানকে? কেনো সন্তানের শত ভুলেও তোমাদের কন্ঠে মমতার পরশ ছড়িয়ে থাকে? কেনো তুমি আমাদের মতো রাগ করে থাকতে পারোনা? জানি তোমার কাছে উত্তর একটাই। বলবে – আমার মতো মা হলে বুঝতি!
মা, কতটুকু রক্ত দিয়ে এ শরীরে প্রাণ এনেছো? কত ঘাম ঝরিয়েছো শরীরটাকে মানুষ বানাতে? কখোনোকি না খেয়েছিলে আমার জন্য? কতগুলো রাত তোমার বিনিদ্র কেটেছে? কতদিন তোমার ঐ চোখদুটো লাল করেছি? প্রশ্নগুলো বৃথাই করা হবে। কারণ... তুমি মা।
জানো আম্মু, ঐ যে সাগরের নিচে কিলবিল করে ভয়ংকর আটপেয়ে অক্টোপাস, তারও মমতার রূপ আছে। সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে মা অক্টোপাস দিন-রাত জেগে থাকে, না খেয়ে! ধীরে ধীরে একদিন সে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। ছোটবেলায় ডিমে তা দিতে বসে থাকা অথবা বাচ্চাদের নিয়ে হেঁটে বেড়ানো মুরগিকে কত বিরক্ত করেছি। দেখেছি সন্তানকে বাঁচাবার অভিপ্রায়ে সেই নিরীহ মুরগিটাই কি ভয়ানক হয়ে উঠত। কিন্তু তখন বুঝিনি, ঐ মুরগিটাও যে একজন মা!
মা, সন্তানের জন্য তুমি পৃথিবীর সকল স্থানে, ভিন্ন বেশে মমতার একই রূপ! মা... তোমার জন্য কখোনোই একটি দিন যথেষ্ট নয়।
ইতি,
তোমার অধম সন্তান
বিঃ দ্রঃ – আম্মু তোমাকে কখনো উপরের লিখিত ভাষায় কথাগুলো বলতে পারবোনা। কারণ আমি সব সময়ই তোমার সাথে কর্কশ কন্ঠে কথা বলি। কিন্তু আম্মু, তুমিতো জানো তোমার সন্তান কেমন। আমাকে কখোনো ভুল বুঝোনা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১১ দুপুর ২:০০