
২৯শে অক্টোবর’১০(ডায়েরীর পাতা হতে)
আমানবাজার হতে বহু প্রতিক্ষার পর অবশেষে ভার্সিটি গামী ‘তরী’টি এল। উঠে বসলাম। মহিলা সিট গুলোতে বিভিন্ন বয়সী নানা পেশার নারীরা বসে । আমার সামনে বসা মধ্য বয়সী মহিলার সিঁদুর ছড়িয়ে পড়েছে তার চুলে| সামনের সাদা চুল সহ কপাল রক্তিম হয়ে আছে। কুমকুমের টিপটাও বেশ হালকা হয়ে গেছে।
ওফ এই শুক্রবার সকালে কেন ভার্সিটি তরী গুলো এত কম আসে ? ভাবছিলাম...। সেই মূহুতে বাসে উঠল ৭-৮ বছর বয়সী তিনটি ছেলে| রাস্তার ছেলে। বস্তা হাতে। নোংরা! বিশ্রি গন্ধ! ওদের একজন আবার নোংরা ক্যাপ পরে আছে। বাসের ভদ্র যাত্রীরা ওদের উপস্থিতিতে অস্বস্তি feel করছিল। আমি আমার মূল্যবান পা খানি যথাসম্ভব সরিয়ে রাখলাম যাতে ওদের স্পর্শ না লাগে। আমিও ভদ্র(!)কিনা। তারপর মনে হল ওরা তো সুন্দর মডেল হতে পারে আমার চিত্র পটের। এবারে চিত্রকরের দৃষ্টি নিয়ে তাকালাম | `Slum dog' হ্যাঁ ওরা খুবই interesting subject । প্রতিটি র্সজনশীল ভদ্র মানুষের সহজ খ্যাতি পাবার চাবি। কিন্তু তাতে ওদের কি আসে যায়? এমনি করে ওরা সমাজের ভদ্র মানুষদের দূরে ঠেলে দেওয়া ও নাক সিটকানোর স্বীকার হবে। হ্যা এটাই তো স্বাভাবিক। আমি স্কেচ করবার চেষ্টা করছিলাম। ক্যাপ পরা ছেলেটি ঠায় আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। ওর ধূলোমাখা পাপড়িঁ যুক্ত উজ্জ্বল চোখে কি ছিল জানি না.....। খুব অপরাধ বোধ হল।সংকুচিত করা পা’দুটো স্বাভাবিক হয়ে এল। Slum dogরা বুঝতে পারছিল ড্রাইভারের আক্রোশে পড়তে হচেছ হেলপারকে, কেন ওদের বাসে উঠানো হল ? অথবা ওদের কাছে গন্তব্যে পৌছানোর মত ভাড়া ছিল না....। নেমে গেল ১নং গেটে।বাসের জানালা দিয়ে Slum dog`দের চলে যাওয়া দেখছি । কানে আসছিল ড্রাইভারের গালি.......|